Homeএখন খবরনিজামুদ্দিন যোগ! কোয়ারেন্টাইন ভেঙে বোর্ড মিটিংয়ে খড়গপুরের ভাইস চেয়ারম্যান, বাধা কাউন্সিলারদের, ষড়যন্ত্র...

নিজামুদ্দিন যোগ! কোয়ারেন্টাইন ভেঙে বোর্ড মিটিংয়ে খড়গপুরের ভাইস চেয়ারম্যান, বাধা কাউন্সিলারদের, ষড়যন্ত্র বললেন হানিফ

নিজস্ব সংবাদদাতা: কোয়ারেন্টাইনে থাকা খড়গপুর পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যানের বোর্ড মিটিংয়ে উপস্থিত হওয়ার চেষ্টাকে কেন্দ্র করে এক প্রস্থ নাটক হয়ে গেল শুক্রবার খড়গপুর পৌরসভার মিটিং হলে। অবশ্য এই ঘটনা না ঘটলে জানাই যেত না যে প্রশাসনের তরফে ভাইস চেয়ারম্যানকে হোম কোয়ারেন্টাইনে যেতে বলা হয়েছিল বলে।

জানা গেছে শুক্রবার খড়গপুর পুরসভার বোর্ড মিটিং আহ্বান করা হয়েছিল। মূলতঃ করোনা পরিস্থিতি মোকাবিলা করার জন্য কী কী পদক্ষেপ নেওয়া যায় এবং অন্যান্য বিষয়ই ছিল বোর্ড মিটিংয়ের আলোচনার। ওয়ার্ড গুলির বিভিন্ন কাউন্সিলাররা মিটিংয়ে উপস্থিত হয়েছিলেন, ছিলেন চেয়ারম্যান তথা খড়গপুর সদর বিধায়ক প্রদীপ সরকারও। এই মিটিংয়ে হঠাৎই উপস্থিত হন ভাইস চেয়ারম্যান সেখ হানিফ। বিরোধী কাউন্সিলাররা বিষয়টা কিছুই জানতেন না। শাসকদলের কয়েকজন সদস্য হানিফকে দেখেই আঁতকে ওঠেন! তাঁরা হানিফকে মিটিং ছাড়তে বলেন কিন্তু হানিফ দাবি করেন তাঁর কিছুই হয়নি কেন তিনি মিটিং ছাড়বেন?

নাছোড়বান্দা হানিফকে এবার কয়েকজন শাসক দলেরই কাউন্সিলার জানিয়ে দেন যে তিনি মিটিংয়ে থাকলে তাঁরা মিটিংয়ে থাকবেননা। ওই কাউন্সিলাররা বলেন, ‘আপনাকে যখন প্রশাসনের পক্ষ থেকে কোয়ারেন্টাইনে থাকতে বলা হয়েছে তখন আপনি কেন মিটিংয়ে এলেন? হানিফ প্রত্যুত্তরে বলেন তিনি কেন কোয়ারেন্টাইনে থাকবেন ? তিনি তো কোনও করোনা রুগী বা সন্দেহভাজনের সংস্পর্শে আসেননি। এরপরই কাউন্সিলারদের একটি অংশ সভায় উপস্থিত খড়গপুর মহকুমা শাসক বৈভব চৌধুরীকে আবেদন করেন বিষয়টাতে হস্তক্ষেপ করতে এবং তাঁরই হস্তক্ষেপে মিটিং ছেড়ে যান হানিফ যদিও পৌরসভা চত্বর ছাড়েননি তিনি।

এদিন দুপুর থেকেই হানিফ পৌরসভায় ছিলেন, নিজের অফিস ছাড়াও পৌরসভার বিভিন্ন জায়গায় গিয়েছেন। মিটিং যা কিনা বিকেলট চারটা থেকে সাড়ে পাঁচটা অবধি চলেছে তারপরেও তিনি পৌরসভাতে ছিলেন। জানা গেছে খড়গপুরের সতকুইয়ের মসজিদ থেকে যে সাতজন ইন্দোনেশীয় ও দুজন ভারতীয়কে রাজারহাটের বিশেষ কোয়ারেন্টাইন সেন্টারে বুধবার পাঠানো হয় এবং যারা কিনা দিল্লির নাজিমুদ্দিন মসজিদে তাবলিগী জামাত ধর্ম সম্মেলন থেকে খড়গপুর এসেছিল সেই ৯ জন হানিফের ওয়ার্ড ও সংলগ্ন এলাকার তিনটে মসজিদে ক’দিন ছিল এবং তারা হানিফের সঙ্গে দেখাও করে। সারাদেশ জুড়ে এই নাজিমুদ্দিন যোগে উপস্থিত ৬০০জনেরও বেশি করোনা পজিটিভ ধরা পড়ায় উদ্বেগে সরকার। বুধবার ওই তিন মসজিদের ইমাম সহ তিনজনকে সতকুইয়ের কোয়ারেন্টাইনে নিয়ে যাওয়া হয়। কয়েকজনকে বাড়িতেই কোয়ারেন্টাইনে থাকতে বলে প্রশাসন যাঁর মধ্যে হানিফও রয়েছেন।

এদিকে গোটা ঘটনাকে তাঁর বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র ও তার এলাকাকে বদনাম করার চেষ্টা বলে জানিয়েছেন খড়গপুর পৌরসভার ভাইস চেয়ারম্যান সেক হানিফ। তিনি বলেন, ” আমি সুন্নি সম্প্রদায় ভুক্ত, জামাতি নই । ফলে ওদের সঙ্গে আমার কোনও যোগাযোগ হয়নি। আর ওঁরা এসেছিলেন ১৬/১৭দিন হয়ে গেছে। কিছু হবার থাকলে এতদিন হয়ে যেত। আর কোয়ারেন্টাইনে শুধু আমাকে কেন তাহলে তো গোটা পাঁচবেড়িয়াকেই পাঠাতে হয়।” ক্রুদ্ধ হানিফ এরপরেই বলেন, এটা আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র এবং পাঁচবেড়িয়াকে বদনাম করার চেষ্টা। আমাকে সরকারি পরিকল্পনা থেকে দুরে রাখা হচ্ছে।” অবশ্য কারা এই চক্রান্ত করছেন সেটা নিয়ে কিছু বলেননি তিনি।

RELATED ARTICLES

Most Popular