নিজস্ব সংবাদদাতা: মহারাষ্ট্রের মতই করোনা সংক্রমনে কাঁপছে রাজধানী দিল্লি আর সেই দিল্লিতেই নিজস্ব বাহিনীর জন্য আগ্নেয়াস্ত্র আনতে গিয়ে করোনা আক্রান্ত হলেন দক্ষিন পুর্ব রেলের খড়গপুর ডিভিসনের এক রেল সুরক্ষা বাহিনী বা আর.পি.এফ জওয়ান। তাঁকে কটকের একটি কোভিড হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে বলে জানা গেছে। দিল্লিতে জওয়ানের সঙ্গে একই সঙ্গে যাত্রা করেছিলেন এমন ২৭জনকে কোয়ারেন্টাইন করা হয়েছে বলে রেল জানিয়েছে।
দক্ষিনপুর্ব রেলের খড়গপুর ডিভিসনই রয়েছে রেল সুরক্ষা বাহিনীর জোনাল ট্রেনিং সেন্টার। এটি একটি বৃহৎ অস্ত্র প্রশিক্ষন কেন্দ্র যেখানে একই সঙ্গে প্রায় হাজার জওয়ানের প্রশিক্ষন হয়। পাশাপাশি ডিভিশনের কয়েক হাজার জওয়ান বিভিন্ন শাখায় কর্মরত। এই জওয়ানদের জন্য রয়েছে অস্ত্রাগার। সময়ের সঙ্গে তাল রেখেই অত্যাধুনিক অস্ত্র দেওয়া হয় জওয়ানদের হাতে। পুরোনো অস্ত্র ও অচল অস্ত্রগুলি বাতিল করা হয় সংযোজিত হয় নতুন অস্ত্র। সেরকমই এক ঝাঁক অস্ত্র আনার জন্য একটি পার্সেল ভ্যান নিয়ে দিল্লি রওনা হয়েছিলেন কয়েকজন আধিকারিক ও জওয়ানদের একটি দল যাঁরা সংখ্যায় মোট ২৭ জন ছিলেন।
খড়গপুর ছাড়াও সাঁতরাগাছি, বালেশ্বর, উলুবেড়িয়া, ঝাড়গ্রাম ইত্যাদি শাখার জওয়ানরা ছিলেন। দিল্লি অস্ত্র নিয়ে থেকে ফেরার পথে ছুটিতে থাকা এক জওয়ান ওই পার্সেলভ্যানে করেই খড়গপুর ফেরেন। সব মিলিয়ে সংখ্যাটা ২৮শে দাঁড়ায়। ১৪এপ্রিল তাঁরা খড়গপুর ফেরেন। করোনা সংক্রান্ত স্বাস্থ্যবিধির জন্য প্রত্যেককেই নিজ নিজ শাখায় কোয়ারেন্টাইন করা হয়। এরমধ্যে ১৮জন খড়গপুরের টিবি হাসপাতালে কোয়ারেন্টাইন সেন্টারে যান।
ইতিমধ্যে উড়িষ্যার বালেশ্বরে কোয়ারেন্টাইনে যাওয়া এক ৩৩বছরের জওয়ানের জ্বর শ্বাসকষ্টের উপসর্গ দেখা দিলে তাঁর করোনা পরীক্ষা করা হলে কোভিড-১৯ পজিটিভ ধরা পড়ে। সাথে সাথে তাঁকে সোমবারই কটকের অশ্বিনী কোভিড হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। রেল সূত্রে জানা গেছে টিকিয়াপাড়ার আরেক ২৯ বছরের জওয়ান সর্দি কাশিতে ভুগতে শুরু করলে তাঁকে গার্ডেনরীচের তাপস সিনহা মেমোরিয়াল হাসপাতালে পাঠানো হয়। যদিও সে পরে ছাড়া পায়। তাঁর কোভিড উপসর্গ মেলেনি তবে চিকিৎসকরা তাঁকে প্রয়োজনীয় ওষুধ সহ বাড়িতে কোয়ারেন্টাইনে থাকতে বলেছেন।
রেলের খড়গপুর ডিভিশনাল সিকিউরিটি কমিশনার বিবেকানন্দ নারায়ন জানিয়েছেন, ”কোয়ারেন্টাইনে থাকা প্রতি জনেরই করোনা পরীক্ষা করা হবে এবং তাঁদের সংস্পর্শে আরও কেউ এসেছিলেন কিনা তাও খোঁজ নেওয়া হচ্ছে। আমরা কোনও ফাঁক রাখছিনা।”