নিজস্ব সংবাদদাতা: রবিবার সাত সকালেই অবরোধের মুখ দেখল খড়গপুর শহর। চৌরঙ্গী থেকে খড়গপুর শহরে প্রবেশের মুখেই কমলা কেবিনে টানা দেড় ঘন্টা দাঁড়িয়ে রইল শত শত বাস লরি টেম্পো। অবরোধ মুলতঃ পরিবহন চালকদের হলেও তাতে সায় ছিল স্থানীয় জনতার আর তাতেই আরও জমজমাট হয়ে পড়ে অবরোধ।
(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});
পরিবহন চালকদের আভিযোগ, কমলাকেবিন হয়ে ইন্দা বাসস্ট্যান্ড গোলবাজার ঢোকার মাঝখানে বিভিন্ন পন্য পরিবাহী গাড়ি থেকে চুরি হয়ে যাচ্ছে পন্য। আলু পেঁয়াজের বস্তা, কাপড়ের গাঁট এমনকি শিশুখাদ্যও। আর তার জেরে নিজেদের পকেট থেকে মাশুল গুনতে হচ্ছে ট্রাক লরির চালক, পরিবহন কর্মীদের।
(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});
রবিবার সাত সকালেই ফের এমন ঘটনার স্বাক্ষী হয় একটি শিশুখাদ্য সরবরাহকারী ভ্যান। কমলা কেবিনের কাছেই ওই ভ্যান থেকে নামিয়ে নেওয়া হয় বেশ কিছু কার্টুন। যাতে ঠাসা ছিল প্রচুর শিশুখাদ্যর প্যাকেট। ঘটনাটি নজরে আসে স্থানীয়দের। তারাই হৈ চৈ শুরু করে সজাগ করে ভ্যান চালককে।
সঙ্গে সঙ্গে দাঁড়িয়ে পড়ে ভ্যানটি। ঘটনা জানতে পেরে ক্ষোভে ফেটে পড়ে পন্য পরিবাহী অন্য গাড়ির চালকরাও। রাস্তার মাঝে গাড়ি দাঁড় করিয়ে শুরু হয়ে যায় অবরোধ। তাঁদের আভিযোগ লক্ষ লক্ষ টাকার জিনিস চুরি হয়ে যাচ্ছে দিনের পর দিন অথচ পুলিশ নির্বিকার।
(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});
গাড়ির চালক এবং স্থানীয়রা রোডের মাঝখানে গাড়িটিকে আটকে রেখে অবরোধ শুরু করায় শহরে প্রবেশ ও শহর থেকে বাইরে যাওয়ার রাস্তা বন্ধ হয়ে যায়। এলাকাবাসীদের অভিযোগ দীর্ঘদিন ধরে ভোর হলেই বেশ কয়েকজন দুষ্কৃতীরা তাণ্ডব চালাচ্ছে এই এলাকায়। খড়গপুর শহরে প্রবেশ ও নির্গমনের একমাত্র রাস্তা এই ভাবে অবরোধ হওয়া ব্যাপক যানজট সৃষ্টি হয়েছে প্রায় দেড় ঘণ্টা কেটে গেলেও পুলিশে দেখা না পেয়ে ক্ষোভে ফেটে পড়ে স্থানীয়রা।
(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});
সকাল ৬টা থেকে সাড়ে সাতটা অবধি অবরোধ চলার পর ঘটনাস্থলে আসে পুলিশ। জনতা দাবি করে লুট হওয়া দ্রব্য ফেরৎ না পাওয়া অবধি অবরোধ চলবে। নাছোড়বান্দা জনতার চাপের মুখে সক্রিয় হয় পুলিশ। পুলিশকে দেখা যায় ফোন মারফৎ বিভিন্ন জায়গায় যোগাযোগ করতে। কিছুক্ষনের মধ্যেই ফেরৎ আসে লুটের দ্রব্য । এরপরই অবরোধ প্রত্যাহৃত হয়। যদিও লুটের দ্রব্য ফেরৎ এলেও কাউকে গ্রেপ্তার করা সম্ভব হয়নি এখনও অবধি আর এরপরই জনতার প্রশ্ন যদি পুলিশ লুটের দ্রব্য উদ্ধার করতে পারে তবে লুটেরাদের গ্রেপ্তার করতে পারেনা কেন?
(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});
স্থানীয় বাসিন্দাদের আভিযোগ কমলা কেবিন থেকে ইন্দা মোড়ের মাঝামাঝি যেমন এই কারবার চলে ঠিক একই ভাবে ট্রাফিক থেকে বাসস্ট্যান্ড ঢোকার মুখেও চলে একই কারবার। পুলিশ জানে এটা কারা করে এবং কোথা থেকে করা হয় কিন্ত এদের পেছনে বড় বড় মাথা থাকায় পুলিশ এঁদের ঘাঁটাতে সাহসই পায়না। না হলে যেখানে লুট হওয়া জিনিস উদ্ধার হয় সেখানে লুটেরা গ্রেপ্তার হয়না কেন?