নিজস্ব সংবাদদাতা: ১৯৭৪য়ের রেল ধর্মঘটের পর কেটে গেছে ৪৬বছর কিন্তু খড়গপুর শহরের রেল এলাকা বা রেলওয়ে সেটেলমেন্ট এলাকায় এমন নজরদারি দেখেনি খড়গপুর। খড়গপুর শহরের মধ্যেই রেল এলাকা। বলতে গেলে মিলেমিশে একাকার হয়ে আছে কিন্তু সোমবার শহরে লকডাউন হওয়ার আগেই যেভাবে রেল সেটেলমেণ্টের সাতটি প্রবেশ দ্বারে পুলিশ এবং রেল সুরক্ষাবাহিনী কড়া প্রহরা বসিয়েছে তাতে এই প্রজন্ম চিনে গেল কোনটা রেল এলাকা আর কোনটা তার বাইরে থাকা শহর খড়গপুর।
এদিন আইআইটির দিক থেকে ছোট ট্যাংরা হয়ে চৈতন্য আশ্রমের সামনে দিয়ে রেল এলাকার যে রাস্তা দিয়ে বোগদা বা গোলবাজার যাওয়া যায় তার প্রবেশ মুখে বসেছে নিরপত্তাবাহিনী। চারচাকা গাড়ি , বাইক ইত্যাদি ধরে ধরে হাল হকিকৎ জানতে চাওয়া হয়েছে। অপ্রয়োজনীয় গন্তব্য মনে হলে ঘুরিযে দেওয়া হয়েছে পৌরসভা বা কৌশল্যা মোড় হয়ে। অন্যদিকে পুরোনো বাজার হয়ে বোগদা ঢোকার রাস্তা আটকে দেওয়া হয়েছে পুরোনো বাজারের ট্রাফিক মোড়েই। সেখানেও চলেছে কড়া জিজ্ঞাসাবাদ। এভাবেই নিমপুরা, সিএমই গেট, টাউন থানার মোড় সহ রেলের সাতটি প্রবেশ পথে চলছে কড়া নজরদারি।
অন্যদিকে খড়গপুর শহরে ঢোকা ও বেরুনোর পথেও কড়া নিরপত্তার বেষ্টনী নজরে পড়েছে। সাহাচক, চৌরঙ্গী, ঝরিয়া, কৌশল্যা, বুলবুলচটি ছোট বড় প্রতিটি রাস্তা কার্যত সিল করে দেওয়া হয়েছে। ফাঁক গলে মাছি রুপী বাইকও গলতে পারছেনা ওই পথে। সোমবার পুলিশের শীর্ষকর্তারা শহরের পথে নেমে বন্ধ করে দিয়েছেন অপ্রয়োজনীয় দোকানপাট। আর সঙ্গে কড়া হুঁশিয়ারি মঙ্গলবার থেকে আইন লঙ্ঘন করে রাস্তায় নামলে বা দোকান খুললেই সোজা থানায় নিয়ে যাওয়া হবে বলে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে।