ওপরে সরকার ও ঝা, নিচে মাস্টারমশাই |
আসনটিতে কংগ্রেসের প্রার্থী ও কয়েক দশকের বিধায়ক চাচা জ্ঞান সিংকে হারিয়ে জিতেছিলেন বিজেপির সভাপতি দিলীপ ঘোষ। কংগ্রেসের কাছে এই লড়াই তাই চাচার আসন ফিরিয়ে আনার। অন্যদিকে বিজেপির কাছে এ লড়াই শুধুই আসন ধরে রাখার নয়, এ লড়াই হারালে ২০২১ বিজেপির কাছে অত্যন্ত খারাপ ইঙ্গিত বহন করবে। অন্যদিকে তৃণমূলের কাছে এ লড়াই অক্সিজেনের। মুখ থুবড়ে পড়া অথবা বুক চিতিয়ে ২০২১লড়ার প্রেরনা জোগাবে দলকে।
(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});
সুতরাং খড়গপুর সদর বিধানসভার উপনির্বাচন তিন প্রার্থীর কাছেই নিজের এবং দলের মুখ রক্ষার লড়াই। তাই বাকি কটা দিন আদাজল খেয়ে লেগে পড়েছেন তিন প্রার্থীই। ভোটার নারায়নদের সন্তুষ্ট করতে সারাক্ষন হাসি মুখে তো থাকতেই হচ্ছে তার সঙ্গে করতে হচ্ছে জড়ো হস্ত, মেলাতে হচ্ছে হাত। আবার কাউকে কাউকে জড়িয়েও ধরতে হচ্ছে। তবে বডি কন্টাক্টের সব চেয়ে মারাত্মক বিষয়টি হচ্ছে পায়ে হাত দিয়ে প্রণাম।
(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});
চিকিৎসকরা বলছেন পায়ে হাত দিয়ে প্রণাম করার পরম্পরাতো আমাদের আছেই কিন্তু তার সঙ্গে যুক্ত হয়ে থাকে জীবাণু সংক্রমনের মত বিষয়টি। এসবের পাশাপাশি আরও একটি বিপদ হল বারবার এই কোমর ঝুঁকিয়ে মানুষের পা ছোঁয়াতে কোমরে মারাত্মক ক্ষতি হতে পারে। এরজন্য প্রার্থীদের উচিৎ চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে সঠিক ব্যায়াম বা যোগাসন করা যাতে কোমরের ক্ষতি না হয় বা ক্ষতি সামলানো যায়।
(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});
কিন্তু উপায় কি ? নির্বাচন বলে কথা। তাই দিনের মধ্যে সকাল বিকাল অন্তত ১০০জন বয়ষ্ক মানুষকে প্রণাম করতে হচ্ছে তৃণমূলের প্রদীপ সরকার কিংবা বিজেপির প্রেমচন্দ্র ঝাকে।
(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});
তবে এই নির্বাচনে এই ধকল থেকে একেবারেই মুক্ত বাম-কংগ্রেস জোটের প্রার্থী চিত্তরঞ্জন মণ্ডল। দীর্ঘ ছত্রিশ বছর শিক্ষকতা করার সুবাদে শহরের এক বিস্তীর্ণ অংশ জুড়ে ছড়িয়ে রয়েছেন তাঁর ছাত্রছাত্রীরা। মালঞ্চ, নিমপুরা, খরিদা মায় সুভাসপল্লী অবধি সেই ছাত্রছাত্রীর দলের অনেকেই আজ চুটিয়ে সংসারী। কারও কারও ছেলে মেয়েদেরও নাম উঠেছে ভোটার তালিকায়। তাই শহরের বিভিন্ন জায়গায় মাস্টারমশাই যখন প্রচারে যাচ্ছেন তখন তাঁকেই এসে প্রণাম করছেন ভোটাররা।