নিজস্ব সংবাদদাতা: ফোনে কি কথাবার্তা হয়েছে আবদুল মান্নানের সঙ্গে তৃণমূলের সর্বোচ্চ নেতৃত্বের তা জানা যায়নি যদিও খড়গপুর নিয়ে একটা বোঝাপড়া হয়েছে এ নিয়ে সন্দেহ নেই। আর সেই বোঝা পড়া অনুযায়ী বিধানসভা উপনির্বাচনে কংগ্রেস থেকে আসা তৃণমূলে চলে আসা রবি শংকর পান্ডের নামটা ঢুকে পড়েছে তৃণমূলের সম্ভাব্য প্রার্থী তালিকায়। অঙ্ক খুবই পরিষ্কার রবি পান্ডেকে প্রার্থী করলে খড়গপুর কংগ্রেসের ইয়ং জেনারেশনকে তৃণমূলের পক্ষে ভোট দেওয়ানো যাবে।
(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});
খড়গপুর তৃণমূল বা জেলা তৃণমূল কি ভাবছে এই নিয়ে বিন্দুমাত্র মাথা ব্যাথা নেই কালীঘাটের। মমতা ব্যানার্জী, অভিষেক ব্যানার্জী সহ তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্বের এখন একটাই লক্ষ্য খড়গপুর দখল করা আর যে ভাবেই হোক বিজেপিকে রুখে দেওয়া। সেই রুখে দেওয়ার কাজে গোষ্টিদ্বন্দের খড়গপুর তৃণমূলের দেবাশিস চৌধুরী কিংবা প্রদীপ সরকারের চাইতে বেটার অপশন রবি পান্ডে এমনটাই বোঝানো হচ্ছে কালীঘাটকে।
(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});
আর এখানেও সক্রিয় প্রাক্তন কংগ্রেস নেতার প্রিয় মান্নানদা কংগ্রেসের পরিষদীয় নেতা আবদুল মান্নানের সোনিয়া গান্ধীকে পাঠানো চিঠি যেখানে বলা হয়েছে খড়গপুরে বিজেপিকে ঠেকাতে তৃণমূলকে সমর্থন জরুরি, সেই চিঠি আসলে খড়গপুর কংগ্রেসকে ভাঙার লক্ষ্যেই এ বিষয়ে কোনও সন্দেহ নেই।
(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});
যদিও কংগ্রেসের পক্ষে এই চিঠি নিয়ে মেদিনীপুর জেলা বা খড়গপুর শহর কংগ্রেসের অভ্যন্তরে তীব্র জলঘোলা হয়েছে। কংগ্রেসের একটি অংশ সরাসরি বলছে ২০২১য়ে তৃণমূলের পক্ষ থেকে নিজের টিকিট কনফার্ম করতেই মান্নানের চাল এটা। প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতির অগোচরেই তিনি চিঠি পাঠিয়েছেন সোনিয়া গান্ধীকে। এবং নিজের লেখা চিঠিটা নিজেই ফাঁস করে জনমানসে বিষয়টিকে তুলে এনেছেন। যাতে কংগ্রেসের মধ্যে বিরোধটি স্পষ্ট হয়, বিভ্রান্তি ছড়ায়।
(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});
কংগ্রেসের এই সম্ভাব্য প্রকাশ্য অথবা গোপন সমর্থনটি মাথায় রেখে বিষয়টি আরও খতিয়ে দেখতে ২দিন সময় নিয়েছে কালীঘাট। ৩১ তারিখ খড়গপুর বিধানসভা ক্ষেত্রের নাম ঘোষনা হবে বলে জানিয়েছেন নেত্রী। এই দুদিন আরও গভীরে গিয়ে পরিস্থিতির নাড়ি বুঝতে চাইছে কালীঘাট।