নিজস্ব সংবাদদাতা: ” পাঁচ বছর আগে যাকে লোকে চিনতই না তিনি আজ জননেতা? নারায়ন চৌবে, চাচা জ্ঞান সিং সোহন পাল তো কোনও দিন নিজেদের জননেতা বলেননি ! উত্তরটা তৃণমূলের দুই নেতা দেবাশিস চৌধুরী কিংবা রবি শংকর পান্ডেরা ভালো দিতে পারবেন কারন প্রথম জন নারায়ন চৌবে আর দ্বিতীয়জন চাচার শিষ্য ছিলেন।” বলছিলেন কংগ্রেস নেতা দেবাশিস ঘোষ।
(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});
রবিবার শহরের ইন্দা এলাকায় জোটের প্রচারের আগে গোল বাজারে চাচার অফিসে বসে সোমেন মিত্র, সুজন চক্রবর্ত্তী সহ একগুচ্ছ নেতার আলোচনায় উঠে আসছিল প্রদীপ সরকারের নেতা হয়ে ওঠার কাহিনী। কিভাবে পুলিশ নেত্রী ভারতী ঘোষ আর দুই মাফিয়া রামবাবু আর শ্রীনু নাইডুর যৌথ অভিযানে সংখ্যালঘু তৃণমূল খড়গপুরের বোর্ড দখল করল আর জহর পাল আর দেবাশিস চৌধুরীদের মামলা আর মানের ভয় দেখিয়ে রজনীতিতে আনপড় প্রদীপ সরকারকে নেতা করে দেওয়া হল।
(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});
যে দলটা এই ভাবে ক্ষমতায় আসে এবং যাদের নেতা হয় ভুঁই ফোঁড়রা তারা কি মানু্ষের মঙ্গল করার জন্য ভোটে দাঁড়ায়? কয়েকবছর আগে সাইকেল চালাত এখন সব চেয়ে দামী গাড়িতে চড়ে। মানু্ষের জন্য যদি ভালো কাজ করেছেন তো সব সময় চারটে পুলিশ নিয়ে চলেন কেন ? রহমান সাহেব , চিত্তরঞ্জন সরকার, রবি পান্ডেদের তো পৌরপিতা থাকার সময় পুলিশ নিয়ে ঘুরতে হয়নি ! ” রবিবার স্যোশাল মিডিয়ায় প্রশ্নটা তুলেছেন খড়গপুরের প্রাক্তন কাউন্সিলর সত্যদেও শর্মা।
(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});
” আসলে খড়গপুরের রাজনৈতিক সহিষ্ণুতা আর সৌজন্যের পরিবেশটাই বদলে দিয়েছে তৃণমূল। একসময় দীর্ঘ সময় সরকারে বাম আর পৌরসভায় কংগ্রেস। একদিকে চাচা বিধায়ক আবার সাংসদ বামেদের। কিন্তু কখনও দখলদারি মনোভাব কাজ করেনি। রাজনৈতিক সৌজন্যতা বিনষ্ট হয়নি। ” সভায় বললেন সুজন চক্রবর্ত্তী।
(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});
এখন মন্ত্রী বলেন , রাজ্যে তৃনমূল আর বিধায়কও তৃনমূল হলে কাজ ভালো হবে। মন্ত্রী বলেন, ‘প্রদীপ সরকারকে জেতালে আমি আপনাদের সব কাজ করে দেব!’ তার উল্টো দিকে কি ? ‘না জেতালে আপনাদের কোনও কাজই হবেনা।’ ঘটনা এটাই যে বিরোধী এলাকায় প্রতিপদে কাজে বাধা দিচ্ছে এই সরকার যা নীতি নিয়ম বিরুদ্ধ। কিন্তু এই অনৈতিকতার চাষ হচ্ছে রাজ্য জুড়ে এবং খড়গপুরেও। আর তার ফল শুধুই রাজ্য বা খড়গপুরবাসীরাই নয় ভোগ করছেন এই শহরের তৃনমূল নেতা কর্মীরাও। না হলে দেবাশিস চৌধুরী , রবিশংকর পান্ডেরা টিকিট না পায়!
আসলে ভারতীর হাত ধরে নেতার জন্ম থেকে মুক্তি চাইছেন প্রদীপ। ওই অনৈতিকতার ওপর সীলমোহর তখনই পড়তে পারে যখন তিনি জনতার রায়ে বিধায়ক হবেন।