নিজস্ব সংবাদদাতা: পি.কের প্রেসক্রিপশন মেনে আগামী দেড় বছরের ইস্তেহার প্রকাশ করেছেন খড়গপুর বিধানসভার উপনির্বাচনের বিধায়ক পদ প্রার্থী প্রদীপ সরকার। ‘প্রদীপের পঞ্চ প্রতিজ্ঞা’ নামক সেই ইস্তেহারে তিনি ভোটে জিতলে কি কি করবেনই তার তালিকা দিয়েছেন। আর সেই তালিকা ধরে আলোচনা করলে বোঝা যাবে আসলে এই তালিকাটা সাড়ে চার বছর খড়গপুর পৌরসভার চেয়ারম্যান হিসাবে থাকা প্রদীপ সরকার যা করতে পারেনি এবং সাড়ে আট বছর রাজ্য সরকারে থাকা তৃণমূল সরকার যা করতে পারেনি তারই তালিকা।
(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});
একেবারে নিচে পাঁচ নম্বর তালিকায় প্রদীপ ‘স্বাস্থ্যই সম্পদ’ শীর্ষক প্রতিজ্ঞায় বলেছেন খড়গপুর মহকুমা হাসপাতালকে মাল্টি ফেসিলিটি হাসপাতাল বানাবেন, ১টি আইসিইউ, ২টি ডায়ালিসিস সেন্টার ইত্যাদি ইত্যাদি করবেন। খড়গপুরবাসী জানে কেন্দ্রীয় সড়ক পারিবহন দপ্তর কয়েকশ কোটি টাকা দেওয়া স্বত্তেও এই হাসপাতালে রাজ্য সরকার ট্রমা কেয়ার ইউনিট চালু করতে পারেনি।
(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});
দুটি জাতীয় সড়ক সংলগ্ন এই শহরে দুর্ঘটনাগ্রস্থ মানুষদের জন্য এই ট্রমা সেন্টার গড়ার জন্য টাকা দিয়েছিল কেন্দ্র। যন্ত্রপাতি পচছে গত ১০বছর ধরে। রাজ্য সরকার জবাব দিতে গিয়ে বলেছেন পর্যাপ্ত চিকিৎসক নেই বলেই সম্ভব হচ্ছেনা ওই ইউনিট চালু করা। প্রশ্ন হল তাহলে প্রদীপ তাঁর আগামী প্রতিজ্ঞা রাখবেন কি করে যেখানে পুরোনো প্রকল্পই তাঁরা করতে পারেননি?
(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});
ওই ইস্তেহারে দ্বিতীয় তালিকায় রয়েছে স্বচ্ছধারার প্রতিজ্ঞা। যার মদ্দা কথা শহরে পরিশ্রুত ও পর্যাপ্ত পানীয় জল পৌঁছে দেওয়া। এই খুড়োর কল সাড়ে চার বছর আগে পৌর নির্বাচনে ঝুলিয়েছিল তৃনমূল। প্রশ্ন হল এতদিন তাহলে প্রদীপ কি করলেন? খড়গপুর শহরের দ্বিতীয় জল প্রকল্পেও কয়েকশ কোটি টাকা দিয়েছিলেন কেন্দ্রীয় সরকার। তখন চেয়ারম্যান তৃণমূলেরই জহর লাল পাল। বিরুদ্ধে দাঁড়িয়ে তৎকালীন কংগ্রেস নেতা রবিশংকর পান্ডের বক্তব্য ছিল, ‘কাটমানির জন্য তড়িঘড়ি করে কোটি কোটি টাকার পাইপ কিনে মাটিতে পুঁতে দেওয়া হয়েছিল। সঠিক পরিকল্পনা , জলের উৎস, পাইপ বেছানোর জন্য জিআইএস ম্যাপিং হয়নি।’
(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});
ফল যা হওয়ার তাই হয়েছে দ্বিতীয় জল প্রকল্পের সুফল পায়নি খড়গপুরবাসী। এখন আবার স্বচ্ছধারা? মনে রাখতে উপরের দুটি প্রকল্পের জন্য রাজ্য সরকারের এক টাকা বরাদ্দ করার প্রয়োজন হয়নি। প্রয়োজন ছিল পরিকল্পনা ও নেতৃত্বের। কি করেছিলেন প্রদীপ সরকার এতদিন?
(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});
প্রদীপের পঞ্চ প্রতিজ্ঞার আরও একটি হল রেল এলাকার বস্তিবাসীদের গৃহ নির্মাণ ও গোলাবাজারের ব্যবসায়ীদের খরচ বাঁচাতে পশ্চিমবঙ্গ বিদ্যুৎ পরিবহন নিগমের বিদ্যুৎ সংযোগ। বোঝাই যাচ্ছে ব্যবসায়ী আর বস্তিবাসীদের একটু বেশি ভালবাসা দেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে। কিন্ত প্রশ্ন হল রেল তো তার এলাকায় কাজই করতেই দেয়না, তাহলে? শুক্রবার এক সাংবাদিক সম্মেলনে প্রদীপ বলেছেন, রেলের সঙ্গে সমন্বয় ও আলোচনা করা হবে। প্রশ্ন হল যেটা আলোচনার বিষয় সেটা ইস্তেহারে আসে কি করে ? কি করে সেটা করবেনই এমন প্রতিজ্ঞা করেন প্রদীপ।
(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});
অবশ্য শহরের বরিষ্ঠ নেতা দেবাশিস চৌধুরী বলেছেন, আসলে এই ইস্তেহারের উদ্দেশ্য শহরের উন্নয়নের প্রশ্নে একটা বিতর্ক তৈরি করা। হয়ত বলেছেন সচেনতা তৈরি করা। কিন্ত ঘটনা হল বিতর্কটাই তৈরি হয়ে গেল এই ইস্তেহারকে ঘিরে যা নিয়ে বিরোধিরা মাঠে নামার ইঙ্গিত দিয়েছেন।