নিজস্ব সংবাদদাতা: মাছি গলার উপায় নেই। না, ভুল হল । বলা ভাল মশা গলার উপায় নেই। রাতের খড়গপুর শহর মুড়ে ফেলা হয়েছে নিরাপত্তা রক্ষীতে। শহরে প্রবেশের প্রতিটি মুখেই চলছে কড়া নাকা। তিন থেকে চারজন পুলিশ আধিকারিকের নেতৃত্বে কয়েক ডজন পুলিশ আর আধাসামরিক বাহিনী ঘিরে রেখেছে শহরের পাঁচ পাঁচটি বড় প্রবেশমুখ। নিরপত্তার বেষ্টনী ছোট ছোট প্রবেশ মুখ গুলিও। কোনও ভাবেই যেন অস্ত্র শস্ত্র, বোমা বিস্ফোরক, সন্দেহ ভাজন মানুষ শহরে প্রবেশ করতে না পারে।
(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});
মেদিনীপুর থেকে শহরের প্রবেশ মুখ চৌরঙ্গী, ওয়ালিপুর থেকে ঝরিয়া, কলাইকুন্ডা থেকে নিমপুরা, জাতীয় সড়ক থেকে সাহাচক, বেনাপুর থেকে কৌশল্যা হয়ে বড় সড়কে খড়গপুর শহরে কিংবা বলরামপুর হয়ে বুলবুলচটি, জফলা কিংবা সাঁজোয়াল, জাতীয় সড়ক থেকে মালঞ্চ সব সব রাস্তায় মোতায়েন নিরপত্তারক্ষীরা। বাইক , অটো , চারচাকা, লরি , বাস সবই তল্লাশির আওতায়। বড়সড় তল্লাশি গোপলী হয়ে আইআইটি ফ্লাইওভারের মুখেও।
নির্বাচন কমিশনারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, শুধুই রাস্তা নয়, তল্লাশি চলছে শহরের আনাচে কানাচে, গলি , মাঠ এবং অপরাধের রেকর্ড বা আভাস রয়েছে এমন সম্ভাব্য জায়গায়। সারা রাত ধরেই পুলিশ ছুটবে মহল্লা থেকে বস্তিতে। থাকছে বিশেষ টহল ও গুন্ডা দমন বাহিনী।
কমিশনের পক্ষ থেকে শহরবাসীর কাছে আবেদন জানানো হয়েছে, মঙ্গলবার খড়গপুরে সারাদিন থাকছে ব্যাপক নিরপত্তা। নির্বিঘ্নে, ভয়মুক্ত, উৎসবের মেজাজে ভোট দিতে বুথে বুথে হাজির হয়ে যান নাগরিকরা। সমস্ত দায়িত্ব নিচ্ছে কমিশন। কমিশনের পক্ষ থেকে বিশেষ পর্যবেক্ষক ও পুলিশ পর্যবেক্ষক ভোট চলাকালিন সমস্ত পরিবেশের ওপর নজর রাখবেন।
(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});
থাকছে সর্বক্ষনের পুলিশ কন্ট্রোল রুম। এছাড়াও শহরের ১৬টি সেক্টর অফিসে নিরপত্তাবাহিনীর বিশেষ টিম মজুত থাকছে। সাধারন
নাগরিক ও রাজনৈতিক দলগুলির জন্য কমিশনের পক্ষ থেকে কয়েকটি মোবাইল ফোন নম্বর দেওয়া হয়েছে যেখানে ফোন করা মাত্রই কার্যকরী ব্যবস্থা নেবেন সংশ্লিষ্ট আধিকারিকরা।