নিজস্ব সংবাদদাতা: রাত সাড়ে দশটা পেরিয়েও হাওয়াই বাজি উড়ছে খড়গপুরের আকাশে। রঙিন আতশবাজি ঝরছে ফুলঝুরি হয়ে। খরিদা, মালঞ্চ, গোলাবাজারের রাস্তায় রাস্তায় ঢাউস তুবড়ি আর চরকিবাজির আলো উঠছে নামছে। আয়মা , ছোট ট্যাংরা, ঝাপেটাপুরের গাছ বোম, বুড়িমা চকলেট
(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});
আর কালিপটকার তাণ্ডবে কান পাতা দায়। সব কিছু মিলিয়ে মনে হবে যেন সারা খড়গপুরেই নেমে এসেছে অকাল রাবন দহন।
উপরের ওই এলাকাগুলি বলাবাহুল্য অবাঙালি অধ্যুষিত। যেমনটা অধূষ্যিত ঝুলি, নিউ সেটেলমেন্ট, মথুরাকাটি। সেখানে অবশ্য আতসবাজির সাথে সাথে চলছে মাইক বাজিয়ে নাচ গান। রাতে খাওয়া দাওয়ার আয়োজন।
মাত্র ৬মাস আগেই এই সব এলাকাই উজাড় করে ভোট দিয়েছিল দিলীপ ঘোষ। প্রত্যাশা দিলীপ ঘোষ তাঁদের ভুগোল বদলে দেবে। রেল এলাকার ২৮টি বস্তিতে জল আলো আর একটু ভদ্র সভ্য শৌচাগারের ব্যবস্থা করে দেবেন, গোলবাজারের ব্যবসায়ীদের জন্য বিদ্যুৎ , পানীয় জল আর দোকানগুলোর মেরামত করিয়ে দেবেন।
(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});
এই এলাকার মানুষ বিশ্বাস করেছিলেন সাড়ে তিনবছর ধরে বিধায়ক দিলীপ যা করেননি, সাংসদ হওয়ার পর দিল্লি গিয়ে রেলের কাছ থেকে তা আদায় করে আনবেন। তাই সাড়ে তিনবছর আগে সাড়ে পাঁচ হাজার ব্যবধানে জেতা দিলীপ ৬মাস আগে জিতেছিলেন ৪৬হাজার ভোটে। কিন্তু মানুষ দেখলেন রেল এলাকায় নিজের জন্য একটি বাংলোর পাকা বন্দোবস্ত ছাড়া আর কিছুই করতে পারেননি।
(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});
এবার প্রেমচন্দ্র ঝার হয়ে ভোট প্রচারে গিয়ে সেই ক্ষোভ হাড়ে হাড়ে টের পেয়েছিলেন দিলীপ। গোলবাজারের ব্যবসায়ীরা যাঁরা বেশিরভাগই অবাঙালি তাঁরা তাঁদের ক্ষোভ উগরে দিয়েছিলেন। কিন্ত সেই ক্ষোভ যে তলায় তলায় এতদুর বিস্তৃত হয়েছিল তা ঘুনাক্ষরেও টের পাননি সাংসদ। যখন টের পেলেন তখন অকাল রাবন দহন শুরু হয়ে গেছে।