Homeএখন খবরভোটের বাজারের চাইতেও সবজির বাজার গরম, বেটা 'রাজে' মায়ের হেঁসেলে চোখের...

ভোটের বাজারের চাইতেও সবজির বাজার গরম, বেটা ‘রাজে’ মায়ের হেঁসেলে চোখের জল

নিজস্ব সংবাদদাতা: সিম , ঢেঁড়শ, পটল, ঝিঙে ৭০ থেকে ৮০টাকা প্রতি কেজি। বরবটি আর বাঁধাকপি ৪০ টাকা প্রতি কেজি। কুঁদরি আর পেঁপে ৩০টাকা। খড়গপুর শহরের গোলবাজার আর গেট বাজারে সবজির এরকমই দাম। দুর্গা ও  কালি পুজোর সময় বৃষ্টি এবং হাল আমলের বুলবুলের জন্য ক্ষেতের সবজির ওপর আঘাত এসেছে ঠিকই কিন্তু বাজার দরে এতটা আগুন যা কিনা রান্নাঘরে মায়ের চোখের জল ঝরছে?

(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});
না ভুলেও পেঁয়াজ বা টমেটোর কথা বলা যাবেনা কারন তা’হলে ওরা আবার নাসিক , রাঁচি দেখাবে। ওরা মানে ওই খড়গপুর শহরের রিকশা বা টোটোর পেছনে ঝুলতে থাকা ‘বেটা’র দল। খড়গপুরের সবজি ভান্ডার খুব বেশি দুরে নয়। শহর থেকে ১০কিলোমিটারের মধ্যেই গোকুলপুর , বড়কলা , নানকার , বরগাই , খালশিউলির মত ছোট বড় গ্রাম এই শহরকে সবজি যোগায়।

(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});
সেখানে গেলেই দেখতে পাওয়া যায় ওই সিম , ঝিঙে , পটল , বরবটি, ঢেঁড়শ ইত্যাদির জন্য চাষি কিলো প্রতি ১০/১৫ টাকা পায়না। তাহলে সেই সবজি বাজারে এসে এত টাকা হয়ে যায় কেন? সোজা কথায় ফড়েদের জন্য। ফড়েদের এই অস্বাভাবিক দাপট রোখার দায়িত্ব কার? কর্পোরেশন, পৌরসভা, সরকারের। বাজারের এই বল্গাহীন দালাল রাজ দেখে মনে হয় ওই সব প্রতিষ্টান আছে?

(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});
বাজারের ওপর নিয়ন্ত্রন, ভেজাল আর বেআইনি মজুত দেখার জন্য রাজ্য সরকারের এনফোর্সমেন্ট বিভাগ রয়েছে । কি করছে তারা? আজ থেকে বছর ১৫আগেও খড়গপুর পৌরসভার খাদ্য ইনসপেক্টর ছিল যাঁরা মাঝে মধ্যে ভেজাল টেজাল ধরতে বাজার পরিদর্শন করতেন। বর্তমানে সব ঘুমোচ্ছে। বাজার গুলোতে ফড়ে আর দালালদের দাপট রমরমা। আর দুবেলার বাজার করতে প্রান বেরিয়ে যাচ্ছে প্রান্তিক মানুষ থেকে মধ্যবিত্তের।

(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});
খড়গপুরের ভোটের বাজারে রাস্তা, নর্দমা, আলো ইত্যাদি উঠে আসছে। সে আসুক কিন্তু মানুষ খেতে না পেলে কি হবে ? যে গরীব রিকশা কিংবা টোটোওয়ালার যানের পেছনে ‘আপকা বেটা’ ছবি লাগিয়ে ভোট চাওয়া হচ্ছে সেই ‘বেটা’  প্রদীপ সরকার কিংবা তাঁর দলের সরকার কি আদৌ ভাবেন তাঁদের কথা? হাভাতে মানুষগুলোর পিঠে দেগে দেওয়া ‘আপকা বেটা’ যে কত ভারি তা কেবল তারাই জানে যাঁরা তা বয়ে চলেছেন।

(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});
প্রদীপ সরকারের মেন্টরের দল খুবই সঠিক  ভাবেই ‘ আপকা বেটা’ কথাটা বেছে নিয়েছেন কারন খড়গপুর শহরে অ বাংলাভাষি মানু্ষের সংখ্যা যথেষ্ট। তাই ‘বেটা’র ট্যাগ লাইনে তাঁদের হেঁসেলে ঢোকার চেষ্টা। কিন্ত হেঁসেলে যখন যাবেন তখন শুধুই ভোটের জন্য কেন ভাতের হাঁড়িটাও উঁকি দেওয়া জরুরি। আর সমস্যাটা সেখানে আরও কঠিন। এই অ-বাংলাভাষিদের বৃহৎ অংশই শাকাহারী। তাই সবজির আগুন বাজারে পুড়ে মরছেন তারাই বেশি। তাই বেটা র ঘরে উত্তাপটা ভোটের চাইতেও সবজির বাজারেই বেশি। আর বাজার করতে করতে ‘বেটা’র কথা মনে পড়ে গেলে প্রদীপের বিপদই বেশি ।

RELATED ARTICLES

Most Popular