নিজস্ব সংবাদদাতা: দলীয় প্রার্থীকে নিয়ে ভোট প্রচারে বেরিয়ে শহীদ হওয়া সন্তানের মায়ের সঙ্গে আলাপচারিতা সেরে গেলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। খড়গপুর শহরের ইন্দা আনন্দনগরের বাসিন্দা ৬৭বছরের শুক্লা ঘোষের সঙ্গে সংক্ষিপ্ত কথাবার্তায় তাঁর শারীরিক অবস্থারও খোঁজ খবর নেন ঘোষ।
(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});
শুক্লা ঘোষ ১৮বছর আগে তিনমাসের মাথায় হারিয়ে ছিলেন একমাত্র কন্যার স্বামী এবং নিজের একমাত্র ছেলেকে। ২০০১ সালের সেই মর্মস্পর্শী ঘটনার অনেকটাই খড়গপুরবাসী জানেন আবার অনেকটাই জানেননা। হ্যাঁ, ২০০১সালের ১১ই সেপ্টেম্বর খড়গপুরের মাফিয়া ডন বাসব রামবাবুর সাকরেদের হাতে নিহত গৌতম চৌবেই শুক্লা ঘোষের একমাত্র কন্যা হেমার স্বামী।
(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});
একমাত্র কন্যার সেই অকাল বৈধব্যর যন্ত্রনা কাটতে না কাটতেই এসেছিল ৩১শে ডিসেম্বর ২০০১। অসমের তেজপুরে ভারতীয় বিমানবাহিনীতে কর্মরত শুক্লার একমাত্র পুত্র পৃথ্বীরাজ উলফা জঙ্গিদের হাতে নিহত হন। কংগ্রেস নেত্রী হেমা চৌবে জানালেন,
(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});
”আমার তখন ২৫বছর আর দাদার ২৭। এয়ারফোর্স ব্যারাক থেকে এক সহকর্মীর নিমন্ত্রন রক্ষা করতে বেরিয়েছিলেন দাদা। ফেরার পথে উলফা জঙ্গিদের কবলে পড়ে যান দাদা। চপার দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করা হয় দাদাকে। একদিকে আমার মর্মান্তিক ঘটনা অন্যদিকে দাদার মৃত্যু সংবাদ এ সমস্তই গেছে মায়ের ওপর দিয়ে। এত ঝড় ঝাপটার পরেও আজও সমান দৃঢ়তা নিয়ে আছেন যা আমার কাছেও জীবন সংগ্রামের অনুপ্রেরনা।”
(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});
শুক্লা ঘোষ আরও একটি কারনে উল্লেখযোগ্য। নির্মোহি আখড়ার হয়ে ১৯৯২সালে অযোধ্যায় কর সেবায় অংশ নিয়েছিলেন তিনি। রাম মন্দির নির্মানে সুপ্রিম কোর্টের আদেশের পর আবারও অযোধ্যায় যেতে চান তিনি। দিলীপ ঘোষকে সেকথাও জানালেন। তবে এরই মধ্যে রাজনীতির দুই বিপরীত মেরুতে থাকা হেমা চৌবের সাথে হাত মিলিয়ে নিলেন বিজেপি প্রার্থী প্রেমচন্দ্র ঝা। বয়সোচিত শিষ্টাচার মেনে দিলীপ ঘোষকে প্রণামও করেছেন হেমা ।