নিজস্ব সংবাদদাতা: বেঁচে থাকলে তাঁর চেয়ে বেশি খুশি কে হতেন? দীর্ঘ সংসদীয় জীবনে সর্বাধিক লড়াই লড়েছেন বামেদের সঙ্গেই অথচ সেই বামেরাই আজ তাঁর ছবি সামনে রেখে নির্বাচনি ময়দানে, সঙ্গি তাঁরই সৈনিকরা! সোমবার, ৪নভেম্বর এমনই নজির বিহীন ঘটনার স্বাক্ষী রইল খড়গপুর শহর, সৌজন্যে তৃনমূল এবং বিজেপি।
(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});
রবিবারই মেদিনীপুর শহরে ভারতে কমিউনিস্ট পার্টি প্রতিষ্ঠার ১০০বছর পূর্তি অনুষ্ঠানে এসে সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক জানিয়েছিলেন, ‘শুধুই উপনির্বাচন নয়, আগামী দিনে সমস্ত লড়াই আমরা লড়তে চাই কংগ্রেসের সংগে, একসাথেই। কোনও গোপন বোঝাপড়া নয় এটা আমাদের পার্টি কংগ্রেসের সিদ্ধান্ত।” কার্যত সেই মিলিত লড়াইয়ের রূপ সোমবার দেখা গেল খড়গপুর শহরে।
পুর্ব ঘোষনা মতই এদিন কংগ্রেসের সঙ্গে বড় বাতি থেকে পদযাত্রা শুরু করে মহকুমা শাসকের দপ্তরের দিকে রওনা দেয় সিপিআই ও সিপিএম নেতৃত্ব ও কর্মীরা। চাচা জ্ঞান সিং সোহনপালের ছবিকে সামনে রেখে একই গাড়িতে আজ সওয়ারি হয়েছিলেন কংগ্রেসের প্রার্থী চিত্তরঞ্জন মণ্ডল, সিপিআই ও সিপিএমের রাজ্য কমিটির সদস্য বিপ্লব ভট্ট ও তাপস সিনহা।
(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});
উপস্থিত ছিলেন খড়গপুর শহরের সিপিএম নেত্রী স্মৃতিকণা দেবনাথ প্রমূখরা।এদিন মনোনয়ন পত্র জমা দিতে এসে কংগ্রেস প্রার্থী তথা খড়্গপুর পৌরসভার কাউন্সিলর প্রাক্তন শিক্ষক চিত্তরঞ্জন মণ্ডল বলেন, ” আমাদের লড়াই হচ্ছে তৃণমূলের সংগেই, বিজেপি এই লড়াইয়ে খুব বড় ফ্যাক্টর হবে বলে মনে করছিনা।”
শহরে যথেষ্টই নজর কেড়েছে বাম-কংগ্রেসের যৌথ মিছিল। শুরুতেই ভালো জমায়েত করতে সক্ষম হয়েছে দুই পক্ষই। এখন প্রশ্ন লোকসভায় হারিয়ে যাওয়া ভোট তাঁরা ফিরে পাবেন কিনা। যদি পান তবে চাচার আসন পুনরুদ্ধার সম্ভব হয়ে যেতেও পারে।