বুধবার মনোনয়ন দিচ্ছেন ঝায়ের সাথে শমিতও |
নিজস্ব সংবাদদাতা: বাতিল হয়ে গেল বিজেপির দ্বিতীয় প্রার্থী শমিত দাসের মনোনয়ন ফলে অফিসিয়াল প্রার্থী হিসাবে প্রেমচন্দ্র ঝা ই রয়ে গেলেন লড়াইয়ের ময়দানে। বুধবার মনোনয়ন জমা দেওয়ার শেষ দিনে দুই প্রার্থীকে মনোনয়ন জমা দেওয়া করিয়ে চমকে দিয়েছিলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। বৃহস্পতিবার আবারও চমক খেল খড়গপুর, প্রার্থী হিসাবে টিকে রইল ঘোষের মনোনীত ঝা ই।
(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});
খড়গপুর মহকুমা শাসকের দপ্তর সূত্রে জানা গেছে, গতকাল মনোনয়ন জমা দেওয়ার একেবারে শেষ পর্বে মনোনয়ন জমা দিতে এসে দলীয় প্রতীক সংক্রান্ত ফর্মটি জমা দিতে পারেননি বিজেপি জেলা সভাপতি শমিত দাস। সেটা ভুলে রেখে এসেছিলেন। পরে সেটি আনলেও মনোনয়নের সময় পেরিয়ে যায়।
(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});
এরপর দ্বিতীয় উপায় ছিল নির্দল হিসাবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করা। সেক্ষেত্রে ১০জন সমর্থকের সই সম্বলিত মনোনয়নের দরকার হয় কিন্ত শমিত সেটা দেননি। ফলে মনোনয়ন বাতিল হয়ে গেল তাঁর। শমিত স্বীকার করে নিয়েছেন তাঁর মনোনয়ন বাতিলের কারন। বলেছেন, ”কিছু অসম্পূর্ণতা থেকেই বাতিল হয়ে গেছে মনোনয়ন।”
(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});
যদিও এই ঘটনা বিজেপির মত জাতীয় দলের কাছে একেবারেই আশা করা যায়না বরং গোটা প্রক্রিয়াকে দিলীপ ঘোষের কৌশল বলেই মনে করা হচ্ছে। প্রেমচন্দ্র ঝা কে ঘিরে দলের মধ্যে যে অসন্তোষ কাজ করছিল মনোনয়নের দিনই তা বিক্ষোভ হয়ে ফেটে না পড়ে সেটা রুখতেই এবং মনোনয়নের দিন সমস্ত গোষ্ঠির কর্মীকে ময়দানে নামাতেই দিলীপ ঘোষ এই দ্বৈত মনোনয়নের কৌশল গ্রহন করেছিলেন। আর মনোনয়নের ত্রুটি রেখে শমিতের মনোনয়ন স্বয়ংক্রিয় ভাবেই বাতিল হয়ে গেল।
(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});
দিলীপ ঘোষের এই কৌশলে বাজিমাত করার প্রক্রিয়া বুঝিয়ে দিল রীতিমত আঁটঘাট বেধেই ময়দানে নামছে বিজেপি। বিজেপির পরবর্তী কৌশল হবে বিদ্রোহী প্রার্থী প্রদীপ পট্টনায়ককে ময়দান থেকে সরানো অথবা দলে কোনঠাসা করে ফেলা। কারন ঝা য়ের কাছে প্রদীপই এখনও কাঁটা হয়ে রয়ে গেছে।