নিজস্ব সংবাদদাতা: তিনবছর আগে খড়গপুর পৌরসভার সঙ্গে তাঁর একটি বৈঠক হয়েছিল বলে জানালেন খড়গপুর শহর বিজেপি নেতা তথা খড়গপুর সদর বিধানসভার সম্ভাব্য প্রার্থী তালিকায় থাকা প্রেমচাঁদ ঝা। শুক্রবার রাতেই ‘বখরা বৈঠক’ শিরোনামে এই ভিডিওকে সামনে রেখেই একটি মিডিয়া খবর করেছে যে তৃনমূল প্রার্থী প্রদীপ সরকার ও ঝা য়ের মধ্যে লেনদেন নিয়ে একটি বৈঠক হয়েছিল চেয়ারম্যানের এন্টি চেম্বারে।
(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});
ওই খবরেই দাবি করা হয়েছে যে দুই নেতার একটি গোপন বোঝাপড়াও রয়েছে। আর সেই খবর প্রকাশের পরই ক্ষোভ আরও বেড়েছে বিজেপির মধ্যে। শনিবার সকাল থেকেই ভিডিও ক্লিপ ছড়িয়ে গেছে বিজেপি কর্মীদের হোয়াটসঅ্যাপে। সেই বৈঠকের কথাই স্বীকার করে নিলেন ঝা।
(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});
শনিবারই বিজেপির তরফে ওই ভিডিওর সমর্থনে ঝা য়ের একটি বক্তব্য ভিডিও রেকর্ড করে প্রকাশ করা হয়েছে মিডিয়া গ্রুপে। সেখানে ঝা বলছেন এরকম একটা বৈঠক হয়েছিল কিন্ত সেটা কোনও লেনদেন সংক্রান্ত বৈঠক ছিলনা। ব্যবসায়িক স্বার্থেই তাঁকে সরকারের সঙ্গে একটি বৈঠকে বাধ্য হয়েই বসতে হয়েছিল। এরপরই ঝা বলেন, প্রদীপ সরকার কোটি টাকা বিনিয়োগ করে আমার ব্যবসার ২০শতাংশ অংশীদারত্ব চেয়েছিল যা আমি মানতে পারিনি ফলে ওই বৈঠক কার্যকরী হয়নি।
(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});
কি বলছেন ঝা? বলছেন ২০১৫-১৬তে রেলের নিমপুরা সাইডে রেল থেকে মালপত্র নামানোর ক্লিয়ারিং এজেন্টের বরাদ্দ পান তিনি এবং তাঁর কয়েকজন পার্টনার। কিন্ত এই কাজে বাধা দেয় ওখানকার তৃনমূল নিয়ন্ত্রিত শ্রমিক ইউনিয়ন। ওই ইউনিয়নের লোকেরাই মধ্যস্থতা করার জন্য প্রদীপ সরকারের দ্বারস্থ হয় এবং তাঁকে জোর করে এখানে আসতে। একজন ব্যবসায়ী হিসাবে তিনি প্রদীপ সরকারের কাছে আসেন।
(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});
সমস্যা মেটানোর নাম করে প্রদীপ তাঁকে জানায় যে, তিনি যদি তাঁর ব্যবসার ২০শতাংশ প্রদীপকে দিতে রাজি হন তবে ঝামেলা মিটে যাবে। যদিও প্রদীপের এই আবদার তিনি মানেননি এবং ওই প্রকল্প থেকেই সরে চলে আসেন। ঝা বলেন, ”তৃণমূলের এই সিন্ডিকেট রাজ গোটা শহর জুড়েই চলছে। আমার পক্ষে চেয়ারম্যানের প্রস্তাব মানা ছিলনা তাই ওই ব্যবসা থেকেই বেরিয়ে আসি।”
ঝা য়ের বক্তব্য তিনবছর আগের সেই বিষয় যা কেউ ভিডিও করেছিল তা এখন ছাড়া হচ্ছে তাঁকে রাজনৈতিক ভাবে অপদস্থ করার জন্য। ঝা য়ের এই দাবি অবশ্যই সঠিক কিন্তু ঘটনা এটাই যে ভিডিওটা বিজেপির পক্ষ থেকেই ছাড়া হয়েছে কারন ভোটের তৃনমূল এই ভিডিও ছাড়বেনা কারন এতে প্রদীপেরও ক্ষতি।
(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});
কারন প্রদীপের বিরুদ্ধে এই বখরা চাওয়ার অভিযোগ আগেও এসেছে। খড়গপুর শহরের এক পানশালার মালিক অভিযোগ করেছিলেন প্রতিশ্রুতি দিয়ে লাখ লাখ টাকা নিয়েও প্রদীপ তাঁর পানশালা খোলার ব্যবস্থা করেননি। সত্য মিথ্যা যাই হোক ভোটের বাজারে অভিযোগ আসাটাই বিড়ম্বনার। তাছাড়া প্রদীপ নিজেও চাইছেন যে প্রেমচাঁদ ঝাই প্রার্থী হোক কারন ঝা য়ের চেয়ে শক্তিশালী দুর্বল প্রতিপক্ষ কে হতে পারে? তাই ভিডিওটি ছাড়া হয়েছে বিজেপির একটি অংশের তরফে ঝা কে প্রার্থী হওয়া থেকে আটকাতেই।
(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});
ঝা য়ের পক্ষ আবার ওই ভিডিওর পক্ষে যুক্তি দিতে গিয়ে ঝায়ের বক্তব্য সমেত একটি ভিডিও ছেড়ে প্রদীপকে আক্রমনে নেমেছে ‘ঝা’ য়ের প্রদীপ বিরোধিতা প্রমানে যদিও গোটা শহরই জানে এই বিরোধিতার মানে। প্রদীপ নিজে অবশ্য ভিডিওটিকে দুটি বিবাদমান পক্ষের মধ্যে মীমাংসা করিয়ে দেওয়া নিয়ে তাঁর ভুমিকার একটা অংশ বলে জানিয়েছেন। এরকম ভুমিকা তাঁদের হামেশাই পালন করতে হয় আর এক্ষেত্রেও তিনি তাই করেছিলেন বলেই জানিয়েছেন। সেটা কে বা কারা ভিডিও করেছিল আর কেনই বা ছড়ালো তাঁর জানা নেই বলেছেন ঘনিষ্ট মহলে।