সেই জমি দেখছেন সিআইডি কর্তারা |
নিজস্ব সংবাদদাতা: ২৫শে নভেম্বর খড়গপুর বিধানসভা নির্বাচনের আগেই ১৩ই নভেম্বর হাইকোর্টে বড়সড় পরীক্ষার মুখে বিজেপি প্রার্থী প্রেমচন্দ্র ঝা। বুধবারই হাইকোর্ট তুলে নিতে পারে তাঁকে গ্রেপ্তার না করার রক্ষাকবচ আর সেটা হলে পুলিশ গ্রেপ্তার করতে পারে।
(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});
নির্বাচনে তাঁর প্রার্থী পদ চুড়ান্ত হওয়ার পরেই একটি জমি মামলায় জড়িয়ে গিয়ে গ্রেপ্তারের মুখে পড়ে আত্মগোপন করেন ঝা। দ্বারস্থ হন হাইকোর্টের। হাইকোর্ট তাঁর জামিন না মঞ্জুর করে বুধবার অবধি তাঁকে গ্রেপ্তার না করার জন্য পুলিশকে নির্দেশ দেয়। তারপরই মনোনয়ন জমা দিয়ে প্রচারে নামেন ঝা।
(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});
উল্লেখ্য খড়গপুর শহরের তলঝুলির বাসিন্দা স্বাধীনতা সংগ্রামী পরিবারের জমি বেআইনিভাবে রেকর্ড করে বড় এক প্রোমোটার কে বিক্রি করে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল বিজেপির জেলার সহ-সভাপতির বিরুদ্ধে। অভিযোগ যে এক স্বাধীনতা সংগ্রামের পরিবারের কোটি কোটি টাকার জমি বেআইনিভাবে বিক্রি করে দিয়েছে বিজেপি প্রার্থী।
(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});
বিষয়টি নিয়ে স্থানীয় পুলিশের টালবাহানা লক্ষ্য করে প্রধানমন্ত্রী দপ্তরের দৃষ্টি আকর্ষন করেন ওই পরিবারের সদস্য সুকান্ত বেরা। প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর থেকে রাজ্য সরকারের চিঠি দিয়ে বিষয়টি জানতে চাওয়া হয়। নড়েচড়ে বসে পুলিশ। মামলা দায়ের পর গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারিও হয় ঝা য়ের বিরুদ্ধে।
(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});
ঝা য়ের বিপদ আরও বাড়িয়ে এই জমি মামলার ঘটনায় মঙ্গলবারই শহরে এসেছে সিআইডি। কলকাতা ভবানী ভবন থেকে সিআইডির দুই আধিকারিক এসে স্বাধীনতা সংগ্রামী পরিবারের সুকান্ত বেরা সঙ্গে নিয়ে বিতর্কিত জমি পরিদর্শন করেন তাঁরা। প্রয়োজন হলে তারা আবার আসবেন বলে জানা গেছে।
(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});
বিজেপির আশংকা ঠিক যেমন করে লোকসভা নির্বাচনের সময় ঘাটাল নির্বাচনি এলাকার প্রার্থীকে জিজ্ঞাসাবাদের নাম করে প্রচার থেকে বিরত রাখার চেষ্টা করা হয়েছিল সেই একই কায়দায় রোখার চেষ্টা করা হবে। এবং এক্ষেত্রে সুকান্ত বেরাকে সামনে রেখেই এগুচ্ছে পুলিশ।
(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});
সুকান্ত নিজে অবশ্য বলছেন, তৃণমূলের প্ররোচনা নয় আমারই অভিযোগের ভিত্তিতে সিআইডির টিম আজ এই জমি দেখতে এসেছিল আমি এই নিয়ে প্রধানমন্ত্রী এবং মুখ্যমন্ত্রী সিবিআই সমস্ত দপ্তরে চিঠি পাঠিয়েছিলাম ।তৃণমূলের জেলা সভাপতি অজিত মাইতি বলেন, ঝাকে আজ নয় কাল জেলে যেতেই হবে কারন মানুষ জানে সে একজন মাফিয়া এবং দালাল এই জমির জন্য ও যা ইচ্ছে তাই করতে পারে।
(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});
বিজেপি অবশ্য এটাও জানিয়েছে ঝা গ্রেপ্তার হলে লাভ হবে তাঁদেরই। শাসকের প্রতিহিংসার তত্ত্ব আরও পরিষ্কার হয়ে যাবে মানু্ষের কাছে। ঝা জেলে থাকলে খড়গপুরের ২৪ঘন্টা প্রচার করবেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি তথা এলাকার সাংসদ দিলীপ ঘোষ।