সোমবার |
নিজস্ব সংবাদদাতা: রামের ভরসায় দুই দলই কিন্তু রাম কাকে ভরসা করবেন বোঝার উপায় নেই। একমাত্র ফল বেরুনোর পরই সেটা বোঝা যাবে। কিন্ত রামের পুজারি যে হাসতে জানেন এটা জানা গেল বুধবারই, গোলবাজার রামমন্দিরে খড়গপুর সদর উপনির্বাচনে বিজেপি প্রার্থী প্রেমচাঁদ ঝাকে নিয়ে রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের প্রবেশের পরই।
বুধবার |
তৃনমূল প্রার্থী সোমবার এই একই রামমন্দিরে পুজো দিয়ে নিজের মনোনয়ন জমা দিতে গেছিলেন। সারা রাজ্য জুড়েই বিজেপির রমরমা বাজার ঠেকাতে ইদানিং তৃনমূলও হিন্দু হয়ে উঠছে। মুসলিম তোষণ কমিয়ে এখন রাম হনুমান ইত্যাদিতে আশ্রয় নিয়েছেন তাঁরা।
(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});
প্রদীপ সরকারও তাঁর ব্যতিক্রম নন। তিনি শহরের দশেরা কমিটির সভাপতি, রামনবমীর জুলুসে তরবারি তুলে নিয়েছেন, বাদ দেননি হনুমান জয়ন্তীকেও। আর খড়গপুর শহরে রামভক্ত একটা বড় অংশকে কাছে পেতেই রামমন্দিরে পুজো দিয়েই সোমবার মনোনয়ন জমা দিতে গেছেন।
(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});
রামমন্দিরের পুরোহিত তাঁকে চরনামৃত দিয়েছেন, তাঁর মাথায় রেখেছেন পবিত্র রাম পাত্রটিও কিন্ত পুরোহিতের মুখে কোনও হাসি ছিলনা। কেমন কৃত্তিম গাম্ভীর্য ভরা মুখ। অনেকে ভেবেছিলেন পুরোহিত ওরকমই, তিনি হাসেননা।
(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});
কিন্তু ভুল ভাঙল বুধবার, মনোনয়ন জমা দেওয়ার আগে ঝা কে নিয়ে ঢুকলেন দিলীপ ঘোষ। আর দেখেই পুরোহিতে মুখ চওড়া হাসি দেখে ভিরমি খাওয়ার যোগাড়। সে হাসি দেখলে মনে হবে এঁর মত কেউ হাসতেই জানেনা!
(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});
চরনামৃত দেওয়া, রাম পাত্র মাথায় ছুঁয়ে দেওয়া সবই করলেন সেই চওড়া হাসি নিয়েই। না হাসি নিয়ে কারও কিছু বলার নেই। হাসি যার যার নিজের ব্যপার। কথায় বলে সাপের হাসি বেদেয় চেনে । খালি এখন এটাই দেখার রামের হাসি কোন দিকে যায়!