নিজস্ব সংবাদদাতা: ৫৩ সেকেন্ডের একটি ভিডিও সোরগোল ফেলে দিয়েছে গোটা রাজ্যে বিশেষ করে পূর্ব বর্ধমান জেলায়। এই জেলার কাটোয়া মহকুমা হাসপাতালের ডেপুটি সুপারের বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল ঠিকাদার বা অন্যান্য সূত্রে কাজ পাইয়ে দেওয়ার নামে মহিলাদের দিয়ে মধু চক্রে সামিল করা কিংবা নিজে স্বয়ং যৌনতায় লিপ্ত হতেন। অভিযোগ ছিল বটে কিন্তু সবটাই ছিল মৌখিক, ভাসা ভাসা। কিন্তু সোমবার রাতে সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল এক ভিডিয়ো ঘুম কেড়ে নিয়েছে সবার। যে ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে এক মহিলার আচ্ছাদিত অংশের কাপড় সরিয়ে মহিলার নিতম্বে চুম্বন করছেন হাসপাতালের ডেপুটি সুপার অনন্য ধর। ভিডিও ভাইরাল হওয়ার কিছুক্ষনের মধ্যেই ডেপুটি সুপার অনন্য ধর আত্মঘাতী হওয়ার চেষ্টা করেন। ওই হাসপাতালেই তাঁর চিকিৎসা চলছে।
কাটোয়া মহকুমা হাসপাতালের ভিতরে মধুচক্র চলে বলে দীর্ঘদিনের অভিযোগ স্থানীয়দের। তাঁদের দাবি, ডেপুটি সুপার অনন্য ধর মহিলাদের কাজ দেওয়ার নামে হাসপাতালে ডেকে এনে তাঁদের যৌনতায় লিপ্ত হতে বাধ্য করেন। তবে কোনও প্রমাণ ছিল না কারও কাছে। দিন কয়েক আগে প্রকাশ্যে এসেছে একটি ভিডিয়ো। যাতে দেখা যাচ্ছে ডেপুটি সুপারের কীর্তি। তবে প্রাথমিক ভাবে দেখা যাচ্ছে, একটি ঘরে এক মহিলাকে তাঁর স্পর্শ করছেন ডেপুটি সুপার। কাপড় তুলে তার নিতম্বে চুম্বন করছেন। মহিলার তাতে সম্মতি নেই বলেই আচরণ দেখে মনে হচ্ছে। কিন্তু অনেকটাই অসহায় তিনি। অস্বস্তিকর পরিস্থিতির মধ্যে দ্রুত ঘরটি থেকে বেরিয়ে যান তিনি।
আগুনের মত ছড়িয়ে পড়া ওই ভিডিওটি অবশ্য এখনকার নয়। সম্ভবত বিগত শীতের। ভিডিয়োয় দেখা যাচ্ছে মহিলার গায়ে চাদর। ডেপুটি সুপার সোয়েটার পরা। অর্থাৎ ভিডিয়ো শীতকালের। এই ভিডিয়ো প্রকাশ্যে আসার পর ঘুমের ওষুধ খেয়ে আত্মঘাতী হওয়ার চেষ্টা করেন অনন্যবাবু। তিনি বর্তমানে কাটোয়া মহকুমা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
ভিডিওতে স্পষ্ট বোঝাই যাচ্ছে ওই কামাতুর পঞ্চাশোর্ধ্ব পুরুষটি হলেন কাটোয়া মহকুমা হাসপাতালের ডেপুটি সুপার অনন্য ধর। যদিও পুরো বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। ভাইরাল এই ভিডিওর সত্যতা যাচাই করেনি দ্য খড়গপুর পোস্ট।
এ বিষয়ে রতন শাসমল ডেপুটি সুপারের আত্মহত্যার কথা স্বীকার করে নেন। তিনি জানান ডেপুটি সুপারের শারীরিক অবস্থা বর্তমানে স্থিতিশীল। বিধায়ক রবীন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায় বলেন, “ভিডিও সত্য হলে ডেপুটি সুপারের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। মিথ্যা হলে যে বা যারা ভিডিওটি ছড়িয়েছে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
পূর্ব বর্ধমান জেলার বিস্তীর্ণ এলাকায় এই ভিডিয়ো ছড়িয়ে পড়েছে মোবাইল ফোনে। ডাক্তারবাবুর কীর্তি দেখে স্তম্ভিত অনেকে। অনেকে বলছেন, আগেই প্রকাশ্যে আসা উচিত ছিল এই ভিডিয়ো।