নিজস্ব সংবাদদাতা: রবিবার, নতুন বছরের দ্বিতীয় এনকাউন্টারে বড় সড় সাফল্য পেল ভারতীয় নিরপত্তা বাহিনী। কাশ্মীরের ত্রাল সেক্টরে নিরপত্তা বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে খতম হল হিজবুল মুজাহিদিনের এক শীর্ষ কমান্ডার সহ তিনজন কাশ্মীরি জঙ্গি।
(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});
কাশ্মীর পুলিশের মহানির্দেশক বিজয় কুমার একটি সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের বলেছিলেন, নিহতদের মধ্যে হিজবুল মুজাহিদিনের দু’জন জঙ্গি রয়েছে- উমর ফায়াজ লোন, ওরফে হামাদ খান, এবং আদিল মীর, ওরফে আবু দুজানা এবং তৃতীয়জন হলেন ফয়জান হামিদ ভাট।
কুমার জানান, শনিবার রাতে নিরপত্তা বাহিনী বিশেষ সূত্রে খবর পেয়ে দক্ষিণের পুলওয়ামা জেলার ত্রাল এলাকার গুলশানপোরায় একটি আবাসিক বাড়িকে ঘিরে ফেলে । খবর ছিল ওই বাড়িতেই লুকিয়ে আছে জঙ্গিরা। তিনি বলেন, এই ত্রয়ী আত্মসমর্পণের একটি প্রস্তাব নাকচ করে এবং বাহিনীকে লক্ষ্য করে গুলি চালায়।
(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});
রবিবার দুপুরে শেষ হওয়া বন্দুকযুদ্ধে প্রথমদিকে দু’জন জঙ্গি মারা যায় , তৃতীয় যিনি যুদ্ধের সময় অন্য বাড়িতে চলে এসেছিলেন, পরে সেও গুলির লড়াইয়ে নিহত হয়।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে এদের মধ্যে হামাদ হ’ল “মোস্ট ওয়ান্টেড” জঙ্গিদের মধ্যে একজন যে একাধিক পুলিশ কর্মী ও তাঁদের পরিবারকে খুন ও অপহরণের সঙ্গে যুক্ত ছিল ।
(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});
হামাদ ২০১০ সালের মাঝামাঝি সময়ে জঙ্গিবাদকে জনপ্রিয় করে তোলার জন্য কৃতিত্বপ্রাপ্ত ২২ বছর বয়সী জঙ্গি কমান্ডার বুরহান ওয়ানির ঘনিষ্ঠ সহযোগী। এই বুরহানের হত্যার ছয় মাসের মধ্যেই সরকারবিরোধী বিদ্রোহের সূচনা হয় এবং প্রচুর তরুন জঙ্গি দলে নাম লেখায়। এই তিন জঙ্গিই বুরহানের আদি শহর ত্রালের বাসিন্দা।
(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});
উল্লেখ্য রবিবারের এই এনকাউন্টার ২০২০ সালের দ্বিতীয় গুলির লড়াই। ৭ জানুয়ারী নিরপত্তা বাহিনীর হাতে পুলওয়ামা জেলায় গুলির লড়াইতে হিজবুল মুজাহিদিনের এক কিশোর জঙ্গি জাহিদ হাসান নিহত হয়েছিল। জাহিদ মাত্র এক সপ্তাহ আগে জঙ্গিদের দলে যোগ দেয়।