নিউজ ডেস্ক: এবার থেকে ভিন্ন রাজ্য থেকে বেঙ্গালুরুতে প্রবেশ করতে গেলে দেখাতে হবে কোভিড নেগেটিভ রিপোর্ট কার্ড। প্রতিনিয়ত দেশজুড়ে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে। রেকর্ড সংক্রমণ হচ্ছে; এই পরিস্থিতি স্বভাবতই প্রশাসনের উদ্বেগ বাড়াচ্ছে। মহারাষ্ট্রসহ দেশের ১০ টি রাজ্যের করোনা পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বিগ্ন প্রশাসন। এর মধ্যে অন্যতম হল কর্ণাটক। কর্ণাটকের প্রশাসন তাই সংক্রমণ রুখতে এক নতুন নিয়ম জারি করেছে।
এবার থেকে ভিন্ন রাজ্য থেকে বেঙ্গালুরুতে প্রবেশ করতে গেলে অনুপ্রবেশকারীকে কোভিড নেগেটিভ রিপোর্ট কার্ড দেখাতে হবে। সঙ্গে নেগেটিভ আরটিপিসিআর রিপোর্ট থাকলে তবেই বেঙ্গালুরুতে প্রবেশ করা যাবে। আগামী পয়লা এপ্রিল থেকে চালু হয়ে যাবে এই নিয়ম। কর্ণাটকের ইয়েদুরাপ্পা সরকার সম্প্রতি এমনই এক নির্দেশিকা প্রকাশ করেছে।
কর্ণাটকের প্রশাসনের দাবী, ভিন রাজ্য থেকে আগতদের মধ্যে প্রায় ৬০ শতাংশ মানুষই করোনার বাহক। তাই অন্য রাজ্য থেকে কর্নাটকে প্রবেশ করতে গেলে করোনার নেগেটিভ রিপোর্ট কার্ড বাধ্যতামূলক করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সেই রাজ্যের প্রশাসন। কর্মসূত্রে যারা বেঙ্গালুরুতে রয়েছেন এবং যারা কর্ণাটকের ভোটার হিসেবে রয়েছেন তাদের জন্য এই নিয়ম কার্যকর হবে।
কর্ণাটকের প্রশাসন দেশের ক্রমবর্ধমান করোনা পরিস্থিতি বিবেচনা করেই কার্যত স্বাস্থ্যমন্ত্রকের পরামর্শ অনুযায়ী এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে। মহারাষ্ট্রের পর কর্ণাটকের করোনা পরিস্থিতি দেশের পক্ষে উদ্বেগজনক হয়ে উঠছে। কর্ণাটকের ইয়েদুরাপ্পা সরকার তাই আগে থেকেই সতর্ক হতে চাইছে।
উল্লেখ্য, সোমবার কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক জানিয়েছে যে, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে মোট নতুন করোনা কেসের ৮৪ শতাংশ এসেছে আটটি রাজ্য থেকে। গত ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্ত হয়েছেন ৬৮,০২০ জন। করোনা সংক্রমণে মারা গিয়েছে ২৯১ জন। সংক্রমণে শীর্ষে মহারাষ্ট্র। করোনায় দেশের মধ্যে সব থেকে ক্ষতিগ্রস্ত রাজ্য হল মহারাষ্ট্র। সেখানে ইতিমধ্যেই রাত্রিকালীন কার্ফুর মেয়াদ ১৫ এপ্রিল পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে। কার্ফুর সময় রাত ৮ টা থেকে সকাল ৭ টা পর্যন্ত।