নিজস্ব সংবাদদাতা: বছরের শুরুতেই সংবাদ শিরোনামে উঠে এল সেই জেএনইউ। রবিবার ক্যাম্পাসের ভিতরে ঢুকে নৃশংস ভাবে মারা হয়েছে ছাত্র সংসদের সভাপতি ঐশী ঘোষ সহ একাধিক কর্মকর্তাদের ওপর। মারের হাত থেকে রেহাই পাননি অধ্যাপিকাও। ঐশীর মাথার খুলি ফেটে গিয়েছে। তাঁকে ট্রমা আইসিসিইউতে ভর্তি করা হয়েছে।
(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});
সমগ্র ঘটনার পেছানে বিজেপির ছাত্র সংগঠন অখিল ভারতীয় বিদ্যার্থী পরিষদ (এভিবিপি)ও তাদেরই ভাড়া করা গেরুয়া শিবিরের গুন্ডারা রয়েছে বলে দাবি করেছে জেএনইউ ছাত্র সংসদের সদস্যরা। যদিও এই আভিযোগ অস্বীকার করেছে এভিবিপি।
(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});
প্রাথমিক সুত্র অনুযায়ী জানা গেছে, মুখে কালো কাপড় বেঁধে প্রায় ৫০ জনের একটি দল ক্যাম্পাসে প্রবেশ করে। তাদের হাতে ছিল ব্যাট, লাঠি। আন্দোলনকারীদের সভা চলাকালীন ওই দুষ্কৃতী দল ক্যাম্পাসে ঢুকে হামলা চালায়। পড়ুয়াদের মারধরের পাশাপাশি হস্টেলের ভিতরে ঢুকেও ভাঙচুর চালানো হয়।মোটা ভারি অস্ত্রের পাশাপাশি ধারালো কিছু দিয়ে আঘাত করা হয়েছে ঐশীর মাথায়। এমনটাই মনে করা হচ্ছে।
(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});
গুরুতর জখম অবস্থায় এইমসের ট্রমা কেয়ার ইউনিটে ভর্তি করা হয়েছে তাঁকে। একটি ভিডিওয় ঐশী জানান, “মুখোশ পরা গুন্ডারা আমার উপর নৃশংস ভাবে আক্রমণ করেছে। প্রচণ্ড মেরেছে আমায়। রক্ত পড়ছে।” ছাত্র সংসদের তরফে জানানো হয়েছে, মুখঢাকা দুষ্কৃতীরা সকলেই এবিভিপির সদস্য। সবরমতী গার্লস হস্টেলে ঢুকে রীতিমত তাণ্ডব চালানো হয়েছে, ভাঙচুর করা হয়েছে হস্টেলের সম্পত্তি।
(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});
ঐশীর পাশাপাশি গুরুতর ভাবে আহত হয়েছেন অধ্যাপিকা সুচরিতা সেন। আহত হয়েছেন সাধারণ সম্পাদক সতীশ চন্দ্র যাদবও।
নাগরিকত্ব আইনের প্রতিবাদে এবং জামিয়া মিলিয়ায় প্রহৃত পড়ুয়াদের সমর্থনে বেশ কয়েক দিন ধরেই বিক্ষোভ আন্দোলন চলছে জেএনইউ-তে। এই অবস্থায় গেরুয়া বাহিনীর নজরে রয়েছে এই বিশ্ববিদ্যালয়। এমনটা অবশ্য নতুন নয়। সরকারবিরোধী যে কোনও আন্দোলনের সময়েই শাসকের লক্ষ্য হয়ে উঠেছে জেএনইউ।
(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});
এবারেও অভিযোগ উঠেছে, দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের এবিভিপি-র গুন্ডারা ব্যাপক মুখ ঢেকে লোহার রড নিয়ে হামলা চালায় বিশ্ববিদ্যালয়ে। মাথা ফেটে যায় ঐশী-সহ বহু পড়ুয়ার। অভিযোগ উঠেছে, পুলিশ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তারক্ষীরা নিষ্ক্রিয় ছিল। রবিবার সন্ধ্যার এই ঘটনায় দেশজুড়ে নিন্দা ছড়িয়েছে।
(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রের খবর, হামলার সময়ে ছাত্রীরা সবরমতী হস্টেলের মহিলা শাখায় গিয়ে নিজেদের বাঁচানোর চেষ্টা করেন। সেখানেও ঢুকে পড়ে আক্রমণকারীরা। গোটা করিডরে ভাঙচুর চালায়। বাইরের কার পার্কিংয়েও চালানো হয় ভাঙচুর। তখনই আহত হন ঐশী। ঘটনার পরই তীব্র প্রতিক্রিয়া ছড়িয়ে পড়েছে দেশের বিভিন্ন ক্যাম্পাসগুলিতে। আগামীকাল দিল্লি উত্তাল হওয়ার আশংকা রয়েছে।