ওয়েব ডেস্ক : দিন কয়েক আগে মুর্শিদাবাদ ও কেরল থেকে ৯ আল কায়দা জঙ্গি গ্রেফতারের পর পরই NIA-র সন্দেহের প্রথম তালিকায় উঠে আসে মাদ্রাসাগুলি। মাদ্রাসার আড়ালে মূলতঃ জেহাদি কর্মকাণ্ড চলে বলেই অনুমান করা হয়। সে অনুযায়ী সীমান্তবর্তী মাদ্রাসা গুলিকে নজরে রেখেছিল NIA। শনিবার মুর্শিদাবাদের জলঙ্গির নওদাপাড়া গ্রাম থেকে ১০ নম্বর জঙ্গি শামিম আনসারি গ্রেফতার হওয়ার পর NIA-র সেই সন্দেহ একেবারেই সত্যি প্রমাণিত হল। NIA-র দাবি, শামিমকে গ্রেফতারের পর জেরার মুখে ভেঙে পড়ে তার আল কায়দা যোগ স্বীকার করে শামিম। এমনকি জেরায় একের পর এক বিস্ফোরক তথ্য জানায় ধৃত এই জঙ্গি। যা শুনে স্বাভাবিকভাবেই চক্ষু চড়কগাছ NIA আধিকারিকদের।
৯ জঙ্গিকে গ্রেফতারের পরই সন্দেহবশত NIA-র তরফে মুর্শিদাবাদের বেশকিছু এলাকায় লাগাতার তল্লাশি চালানো হয়েছিল। সে সময় সন্দেহবশত NIA ও রাজ্য পুলিশের যৌথ উদ্যোগে জলঙ্গি থেকে গ্রেফতার করা হয় শামিম আনসারিকে। এদিকে শামিমকে গ্রেফতারের পর তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করতেই উঠে আসে একের পর এক চাঞ্চল্যকর তথ্য। NIA-এর দাবি, জেরায় শামিম স্বীকার করেছেন, দিনের পর দিন মাদ্রাসার আড়ালেই চলত জঙ্গিদের সবরকম জেহাদি কর্মকাণ্ড। মুর্শিদাবাদের ডোমকল থেকে ধৃত আল মামুন মাদ্রাসা থেকেই মূলতঃ এ রাজ্যের সবরকম জেহাদি কর্মকাণ্ড চালানো হত৷ আর সেখানে নিয়মিত গিয়ে জেহাদি কর্মকান্ডে যুবকদের উদ্বুদ্ধ করতো শামিম আনিসারি।
NIA সূত্রে জানা গিয়েছে, জেরায় জঙ্গি শামিম আনসারি আরও জানিয়েছেন, জঙ্গি কর্মকান্ডে তারা সকলেই নিজেদের কােড নাম ব্যবহার করতো৷ ফলে শামিম কোড নাম মুন্না নামেই পরিচিত ছিল। জেরায় শামিম আরও জানায়, যেহেতু সে আল কায়দার স্লীপার সেল-এর সদস্য ছিল, সেকারণে মূলতঃ ১৮ থেকে ২০ বছর বয়সী যুবকদের মাদ্রাসায় আসার জন্য উদ্বুদ্ধ করে সেখানে তাদের নানা জেহাদি পাঠ পড়িয়ে দলে টানতো আনসারি। শুধু তাই নয় সীমান্ত লাগোয়া এলাকায় বসবাস করার সুবাদে জঙ্গিদের বাংলাদেশ বর্ডার পার করতে সাহায্য করত শামিম আনসারি। জানা গিয়েছে, শীঘ্রই মুর্শিদাবাদ থেকে গ্রেফতার হওয়া ৬ জঙ্গিকে মুখোমুখি বসিয়ে জেরা করা হতে পারে৷