নিউজ ডেস্ক: রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বুধবার নন্দীগ্রামের বিরুলিয়ায় নির্বাচনী প্রচার করতে গিয়ে আহত হন। তারপর থেকেই সেই ঘটনা কোনো হামলা ছিল না নিছকই দুর্ঘটনা, তাই নিয়ে বিতর্ক চলছে রাজ্য রাজনীতিতে। তৃণমূলের দাবী, এটা পরিকল্পিত হামলা, বিরোধীরা বলছে ‘নাটক’-‘ভন্ডামি’। এরই মধ্যে নির্বাচন কমিশনের কাছে এই ঘটনার প্রাথমিক তদন্ত রিপোর্ট জমা দিয়েছে রাজ্য পুলিশ।
নন্দীগ্রামে মমতার ওপর কোন হামলা হয়নি; দুর্ঘটনা ঘটেছে। নির্বাচন কমিশনকে দেওয়া রিপোর্টে এমনই জানাল রাজ্য পুলিশ। তাঁদের দেওয়া রিপোর্ট অনুযায়ী, যেখানে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে এই ঘটনা ঘটে, সেখানে অত্যন্ত ভীড় ছিল। ভীড় নিয়ন্ত্রণ করতে না পারার ফলেই ধাক্কাধাক্কি শুরু হয়। তারপরেই ধাক্কা লাগে মুখ্যমন্ত্রীর;তিনি পড়ে যান।
রাজ্য পুলিশ বৃহস্পতিবারই নির্বাচন কমিশনের কাছে এই বিষয়ে প্রাথমিক তদন্ত রিপোর্ট পেশ করে রাজ্য। তার আগে নন্দীগ্রামে ওই এলাকা ঘুরে দেখে রাজ্য পুলিশের উচ্চপদস্থ টিম। টিমের নেতৃত্বে ছিলেন পূর্ব মেদিনীপুরের জেলাশাসক বিভু গোয়েল; এই টিম নন্দীগ্রামের বিরুলিয়া বাজার ঘুরে দেখে, যেখানে ঘটনাটি ঘটেছিল।
এছাড়া জেলাশাসকের সঙ্গে ছিলেন মেদিনীপুরের ডিআইজি কুনাল আগরওয়াল, পুলিশ সুপার প্রবীণ প্রকাশ, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার পার্থ ঘোষ। সেখানে স্থানীয়দের সাথে কথা বলেন তাঁরা। ঘটনা সম্পর্কে প্রত্যক্ষদর্শীদের বয়ান নেওয়ার চেষ্টা করেন। কীভাবে মুখ্যমন্ত্রী এভাবে চোট পেলেন, ঠিক কী হয়েছিল ওই সময় তা জানার চেষ্টা করেন তাঁরা। প্রাথমিক তদন্ত রিপোর্ট জমা দেওয়া হয় নির্বাচন কমিশনের কাছে। তবে এই ঘটনা যে হামলা, তার কোনও প্রত্যক্ষ প্রমাণ মেলেনি বলে জানানো হয়েছে রিপোর্টে।
রিপোর্ট সূত্রে জানা গিয়েছে, ভিড় সামলানোর মতো পুলিশ বা নিরাপত্তারক্ষী ছিল না। এদিকে, নির্বাচন কমিশনের কাছে তৃণমূলের অভিযোগ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে প্রাণনাশের জন্যই এই আক্রমণ করা হয়েছে। যদিও নন্দীগ্রামে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্বাচনী এজেন্ট শেখ সুফিয়ান স্থানীয় থানায় বুধবারের ঘটনার জন্য এফআইআর করেছেন বলে জানা গেছে। শেখ সুফিয়ান বুধবারের ঘটনায় ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩২৩ (স্বেচ্ছায় আঘাত করা) এবং ৩৪১(অন্যায় ভাবে বাধা দেওয়া) ধারায় অভিযোগ দায়ের করেছেন।