নিউজ ডেস্ক: উত্তরজুড়ে ইয়াসের কতটা প্রভাব পড়বে তার উত্তর মেলেনি। তবে দার্জিলিং ও সিকিমে ভারী থেকে অতিভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানা গিয়েছে আলিপুর আবহাওয়া দপ্তর। ইয়াস নিয়ে শিলিগুড়ি পুরনিগমে জরুরি বৈঠক ডাকা হয়েছিল প্রশাসকমন্ডলীর পক্ষ থেকে। সোমবার বিভিন্ন দপ্তরের সঙ্গে আলচনায় বসে শিলিগুড়ি পুরনিগমের প্রশাসকমন্ডলীর সদস্যরা।দীর্ঘক্ষন বৈঠক হয়।
বৈঠক শেষে পুর প্রশাসক গৌতম দেব বলেন, দু-তিনদিনের মধ্যে বাংলায় ইয়াসের প্রভাব পড়বে। এখানে ঝড়বৃষ্টি হলে তার সঙ্গে কিভাবে মোকাবিলা করা হবে তা নিয়েই এদিন আলোচনা হয়েছে। বিভিন্ন দপ্তরকে প্রস্তুত থাকতে বলা হয়েছে। পুরনিগমের তরফে বেশকিছু জলের ট্যাঙ্কার তৈরি রাখা হয়েছে জল সরবরাহ স্বাভাবিক রাখতে। পিএইচই থেকে প্রায় ১ লক্ষ জলের পাউচ প্যাকেট তৈরি রাখা হচ্ছে।যদি কোনোভাবে ঝড়ে ক্ষতিগ্রস্থ হয় সেই জল যাতে পৌঁছানো যায় বিভিন্ন এলাকায়। এছাড়াও পুরনিগমে একটি কন্ট্রোল রুমও খোলা হচ্ছে। পাশাপাশি খাবার সামগ্রীও তৈরি রাখা হচ্ছে। ঝড়ে কোথাও যদি গাছ পড়ে যায় সেক্ষেত্রে যাতে তড়িঘড়ি সেই গাছ কেটে যোগাযোগ স্বাভাবিক রাখা যায় সে প্রচেষ্টাও চালানো হবে বলে জানিয়েছেন গৌতম দেব।
অন্যদিকে দার্জিলিং এর সাংসদ রাজু বিস্তা এক বিবৃতিতে জানিয়েছেন,ঘূর্ণিঝড় ইয়াসকে হালকাভাবে নিচ্ছেন না তিনি। কারণ এর আগে আয়লা, হারিকেনের মতো ঘূর্ণিঝড়ের দাপটে বৃষ্টিপাত প্রচুর হয়েছিল দার্জিলিং পার্বত্য অঞ্চলে।ক্ষয়ক্ষতি হয়েছিল অনেক। এনডিআরএফ টিমকে প্রস্তুত থাকতে বলা হয়েছে।
ইয়াস ঘূর্ণিঝড়ের আগে মালদা সেচ দপ্তরে আধিকারিকদের নিয়ে বৈঠক করলেন প্রতিমন্ত্রী সাবিনা ইয়াসমিন।
সোমবার দুপুর আড়াইটা নাগাদ মালদা শহরের গ্রীন পার্ক এলাকায় সেচ দপ্তরে পৌঁছান তিনি। বৈঠক করেন অধিক্ষক বাস্তুকার, মুখ্য বাস্তুকার এবং নির্বাহী বাস্তুকারের সঙ্গে।
ইয়াস ঘূর্ণিঝড় নিয়ে সতর্ক মালদা সেচ দপ্তর। ইতিমধ্যে প্রস্তুতি শুরু করেছে তারা।
খোলা হয়েছে কন্ট্রোল রুম সহযোগিতার জন্য একটি মোবাইল নাম্বার আপাতত দেওয়া হয়েছে দপ্তর এর পক্ষ থেকে।
ভারী বৃষ্টিপাতে বিভিন্ন জায়গায় হতে পারে রেন কাট তাই প্রস্তুতি হিসেবে বালির বস্তা মজুদ করছে সেচ দপ্তর
বলে জানান প্রতিমন্ত্রী সাবিনা ইয়াসমিন।