অটোমেটিক ট্রান্সমিশন যুক্ত গাড়িতে বারবার ক্লাচ ব্যবহার করতে হয় না। ফলে গাড়ি চালানোর সময়ে সমস্যা অনেক কম হয়ে থাকে। মহিলারাও অটোমেটিক ট্রান্সমিশন যুক্ত গাড়ি বেশি পছন্দ করেন। আসুন
দেখে নেওয়া যাক কি সেই গাড়ি।
Maruti Suzuki 800 ছিল ভারতের সবথেকে পুরনো অটোমেটিক ট্রান্সমিশন যুক্ত গাড়ি। গত ১৯৮৩ সাল থেকে ২০১৪ অবধি এই গাড়ি তৈরি করা হয়েছিল এবং ২৬ লক্ষ Maruti 800 বিক্রি হয়েছে।
১৯৮৩ সালে ভারতে লঞ্চ হয়েছিল Maruti 800। তারপর থেকে, প্রত্যেক বছর এই গাড়ি দেদার বিক্রি হওয়া শুরু হলো। প্রথমদিকে এই গাড়ি SS80 নামে পরিচিত ছিল। তারপরে লঞ্চ করা হলো এই গাড়ির DX মডেল,
যেখানে গ্রাহকদের টানা ৩ বছর অব্দি অপেক্ষা করতে হয়েছিল গাড়ি পেতে। লঞ্চ হওয়ার সময় এই গাড়ির দাম ছিল ৪৮,০০০ টাকা। কিন্তু সেই সময় একটি গাড়ির জন্য ক্রেতারা ১ লক্ষ টাকা দিতে রাজি ছিলেন।
এই গাড়িটি ছিল ভারতের প্রথম অটোমেটিক গাড়ি। সেকেন্ড জেনারেশন মারুতি 800 গাড়িতে ব্যবহার করা হয়েছিল অপশনাল অটোমেটিক গিয়ার বক্স। গত ১৯৮৭ থেকে ১৯৯২ অবধি কোম্পানি এই ধরনের গাড়ি তৈরি করেছিল তার পর এর প্রোডাকশন বন্ধ করে দেওয়া হয়। এই গাড়িটি মূলত লঞ্চ করা হয়েছিল প্রতিবন্ধীদের জন্য। এখানে স্পেশাল হ্যান্ড ব্রেক, আলাদা গিয়ার শিফট লিভার, অটোমেটিক ট্রান্সমিশন, কন্ট্রোল সুইচ, আলাদা ধরনের স্টিয়ারিং এবং লাইট চেঞ্জিং সুইচ দেওয়া হয়েছিল। সেই সময়ে অটোমেটিক গাড়ি খুব একটা জনপ্রিয় ছিল না।
এই ধরনের গাড়ি গুলি শুধুমাত্র বিশেষ অর্ডারে তৈরি করা হতো। বিশেষ কয়েকজন ডিলারের মাধ্যমে অনেকে এই গাড়িটি কিনেছিলেন। সেই সময় মারুতির এই ছোট গাড়িটি এতটা বেশি জনপ্রিয় ছিল যে, এই গাড়ি Maruti 800 এর প্রথম গ্রাহক হরপাল সিং কে এই গাড়ির চাবি দিয়েছিলেন তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী। হরপাল সিং এই গাড়িটি ব্যবহার করেছিলেন টানা ২১ বছর অব্দি।
এটি ছিল দেশের প্রথম ফ্রন্ট হুইল ড্রাইভ গাড়ি এবং টপ স্পিড ছিল ১২০ কিমি/ঘন্টা। এই গাড়িতে মনোকক চেসিস সিস্টেম ব্যবহার করা হয়েছিল, এখানে তিনটি সিলিন্ডার যুক্ত ৭৯৬ সিসির পেট্রোল ইঞ্জিন ব্যবহৃত হয়েছিল এবং তার সাথে ব্যবহার হয়েছিল ২ স্পিড টর্ক কনভার্টার। এর ইঞ্জিন ৬,০০০ আরপিএম গতিতে ৩৯ bhp এ পাওয়ার জেনারেট করতে পারত। মাত্র ৬২০ কিলোগ্রাম ওজনের এই গাড়ি ০ থেকে ১০০ কিলোমিটার প্রতি ঘন্টা গতি অর্জন করতে মাত্র ২১ সেকেন্ড সময় নিত। এই গাড়ির টপ স্পিড ছিল ১২০ কিমি/ঘন্টা।