নিউজ ডেস্ক:কয়েকদিন আগেই শিলিগুড়ি শহরে এটিম ভাঙা ও ব্যাঙ্ক লুটের চেষ্টায় গ্রেপ্তার হয়েছিল ভারতীয় সেনার এক জওয়ান। সিকিমে ল্যান্স নায়েক পদে কর্মরত ওই জওয়ানের নেতৃত্বে আন্তঃরাজ্য এটিএম লুটের একটি চক্র গ্রেপ্তার হয়। সেই ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই ফের আরেক জওয়ান গ্রেপ্তার হল হাতির দাঁত পাচার কাণ্ডে অভিযুক্ত হয়ে। সঙ্গে গ্রেপ্তার হয়েছে আরও ৫জন। ইন্ডিয়ান রিজার্ভ ব্যাটলিয়ানে (IRB)কর্মরত গ্রেপ্তার হওয়া এই জওয়ান সিকিমে কর্মরত ছিলেন বলে জানা গেছে।
উত্তরবঙ্গ বনদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, একটি বিশেষ সূত্র মারফৎ খবর পাওয়ার ভিত্তিতে অভিযান চালানো হয় ডুয়ার্সের ওদলাবাড়ি এলাকায় আর সেখান থেকেই উদ্ধার একটি প্রমান মাপের পূর্ন বয়স্ক হাতির দাঁত। পাশাপাশি ওই অভিযানে একটি চারচাকা গাড়ি সমেত ছয়জনকে গ্রেপ্তার করে শালুগাড়া বনদপ্তর। এরা প্রত্যেকেই সিকিমের বাসিন্দা। সিকিম থেকে চোরা পথে এরা ওদলাবাড়িতে ঘাঁটি গেড়েছিল।
শালুগাড়া বনদপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, আন্তঃরাষ্ট্র পাচারকারীদের সঙ্গে যুক্ত এই দলটি উদ্ধার হওয়া এই হাতির দাঁতটি ওদলাবাড়ি থেকে নেপালের উদ্দেশ্যে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল। নেপাল থেকে হাতির দাঁতটি বিদেশে অন্য কোথাও পাচার করার ছক কষেছিল পাচারকারীরা। হাতির দাঁতের পাশাপাশি বন্যপশুর চামড়া ও অন্যান্য প্রত্যঙ্গও এরা পাচার করত কিনা এবং পোচিং বা বন্যপ্রাণী শিকারের সঙ্গেও এরা যুক্ত কিনা তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
ধৃত এই ৬ জনের মধ্যে একজন আইআরবি (IRB)জাওয়ান বলে জানা গেছে এবং এই জওয়ানই পাচার চক্রের মূল মাথা বলে বনদপ্তর সূত্রে খবর। হাতির দাঁতটির ওজন এক কেজি উনিশ গ্রাম। যার বাজারমূল্য প্রায় ১০ লক্ষ টাকা।
আন্তর্জাতিক পাচারের ঘটনা বেড়েই চলেছে।যা নিয়ে চিন্তিত বনাধিকারিকরা।কী উপায়ে পাচার রোধ সম্ভব তা নিয়ে আলোচনা চলছে বলে বনদপ্তর সূত্রে খবর।
ধৃতদেরকে আজ জলপাইগুড়ি আদালতে তোলা হয়। আদালতের কাছ নিজেদের হেফাজতে নিয়ে তাঁদের আরও জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারে পুলিশ এবং বনদপ্তর। কোন পথে কী ভাবে এই পাচার চক্র সক্রিয়, এর পেছনে আরও কেউ আছে কীনা, এর আগে আর কি কি বিষয় পাচার হয়েছে ইত্যাদি বেশ কিছু উত্তর জানতে চায় সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।
এই গ্রেপ্তারের ঘটনা কে বড়সড় সাফল্য বলে দাবি করে বন্দদপ্তরের এক আধিকারিক জানিয়েছেন, ‘”এদের হাত ধরে উত্তরবঙ্গে সক্রিয় একাধিক আন্তঃ রাষ্ট্রীয় পাচার চক্রের হদিস পাওয়ার সম্ভবনা তৈরি হয়েছে পাশাপাশি এক জওয়ানের জড়িত থাকার এই ঘটনা প্রমান করে দিচ্ছে পাচার চক্রের হাত কতটা শক্তিশালী।”