ওয়েব ডেস্ক : শনিবার ট্রাম্পকে হারিয়ে আমেরিকার প্রেসিডেন্ট পদে বসেছেন জো বাইডেন। তবে এদিন আমেরিকায় নতুন ইতিহাস গড়লেন কমলা হরিশ। একে ভারতীয় কৃষ্ণাঙ্গ, তারওপর আবার তিনিই প্রথম মহিলা যিনি আমেরিকার উপরাষ্ট্রপতি পদে নির্বাচিত হয়েছেন। ফলে স্বাভাবিকভাবেই বর্ণবিদ্বেষকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রথম মহিলা উপরাষ্ট্রপতি হিসেবে নজির গড়লেন ভারতীয় আমেরিকান কমলা হরিশ। তবে আমেরিকার প্রশাসনে তিনি প্রথম হলেও তিনি যে একমাত্র মহিলা হবেন না, সেবিষয়ে আশাবাদী কমলা। শনিবার নিজের জয় নিশ্চিত হতেই কমলা জাতির উদ্দেশ্যে জানিয়েছেন, “আমি প্রথম মহিলা যে এই দায়িত্ব পেয়েছি। কিন্তু আমি একমাত্র মহিলা হব না।”
সম্প্রতি আমেরিকায় বর্ণবিদ্বেষের জেরে একের পর এক খুনের ঘটনা প্রকাশ্যে এসেছে। বহু ভারতীয় কিংবা এশিয়া মহাদেশের বিভিন্ন দেশের মানুষ যারা পড়াশুনো কিংবা চাকরি সূত্রে আমেরিকায় বাস করেন। বর্ণবিদ্বেষের জেরে তাদের সাথে ইউরোপিয়ানদের অশান্তি অনেকক্ষেত্রেই খুনে রূপান্তরিত হওয়ার ঘটনাও একাধিকবার সামনে এসেছে। এই পরিস্থিতিতে দাঁড়িয়ে কমলা হরিশ, যে কিনা কৃষ্ণাঙ্গ এবং একই সাথে ভারতীয় যে কিনা আমেরিকার প্রথম মহিলা উপরাষ্ট্রপতি পদে দায়িত্ব সামলাবেন। তবে কমলা হরিশের এই জয় আগামী দিনে আমেরিকার বহু পিছিয়ে পড়ক মহিলাদের এগিয়ে আসতে পথ দেখাবে বলেই মনে করা হচ্ছে। এদিন নির্বাচনে জেতার পর কমলা হরিশ খুদে আমেরিকানদের উদ্দেশ্যে বলেন, “আজ রাত্রে আমাকে যে সমস্ত খুদেরা দেখছে তাদের উদ্দেশ্যে বলছি এই দেশ সম্ভাবনার দেশ।” শুধু তাই নয়, এদিন একইসাথে বর্ণবিদ্বেষকে দূরে সরিয়ে সকলকে এগিয়ে আসার ডাক দিয়েছেন কমলা। অন্যদিকে, শনিবার যুদ্ধে জয়লাভ করে আমেরিকার পরবর্তী রাষ্ট্রপতি জো বিডন জানান, “ঐক্য বজায় রাখতে হবে দেশের অভ্যন্তরে।”
এদিন আমেরিকার নতুন মহিলা উপরাষ্ট্রপতি কমলা হরিশ নিজের মা শ্যামলা গোপালান হরিশকে শ্রদ্ধা জানান। জানা গিয়েছে, শ্যামলা হরিশ আদতে ভারতীয় ছিলেন। এমনকি তিনি এদেশের তামিলনাড়ুর বাসিন্দা ছিলেন। এদিন কমলা জানান, ২০০৯ সালে তাঁর মা শ্যামলা হরিশের মৃত্যু হয়। মায়ের মৃত্যুর সময় কমলা মাত্রে ১৯ বছর বয়সী ছিলেন। শনিবার জাতির উদ্দেশ্যে বক্তব্য রাখতে গিয়ে কমলা নিজের বক্তব্যে তাঁর মা শ্যামলা হরিশের কথা উল্লেখ করে বলেন, “আমার মা হয়ত এই দিনটির কথা কোনদিন ভাবেননি। কিন্তু তিনি বিশ্বাস করতেন আমেরিকাতে এই ধরনের একটি আন্দোলন সম্ভব।”