নিউজ ডেস্ক: দীর্ঘ অপেক্ষার পর অবশেষে ভারত বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক রেলপথে চলাচল শুরু করল মালবাহী গাড়ি। দুই দেশের মধ্যে ফের রেল যোগাযোগ শুরু হওয়ায় খুব খুশি জলপাইগুড়ির মানুষ। রবিবার সকালে পাথর বোঝাই একটি মালবাহী ট্রেন জলপাইগুড়ি টাউন স্টেশন ও হলদিবাড়ি হয়ে বাংলাদেশের উদ্দেশ্যে রওনা দেয়। মালগাড়িতে মোট ৪৫টি বগি ছিল। দীর্ঘ প্রতিক্ষার অবসান ঘটিয়ে হলদিবাড়ি-চিলাহাটি আন্তর্জাতিক রেলপথ ধরে পন্যবাহী ট্রেন চলাচল শুরু হওয়ায় দুই দেশের মধ্যে নতুন যোগসূত্র স্থাপন হবে বলে মনে করছেন স্থানীয় মানুষ।
এদিন রেল যোগাযোগের মধ্য দিয়ে ফের এক হল দুই বাংলা। দীর্ঘ প্রায় ৫৬ বছর পর চিলাহাটি-হলদিবাড়ি রেলপথে বাণিজ্যিকভাবে চালু হল ট্রেন চলাচল। উল্লেখ্য, এর আগে গত ১৭ ডিসেম্বর বাংলাদেশ থেকে হলদিবাড়িতে এসেছিল একটি পণ্যবাহী ট্রেন। সেই ট্রেনকে স্বাগত জানাতে হলদিবাড়ি স্টেশনে এদিন হাজারো মানুষের ঢল নামে।
চিলাহাটি-হলদিবাড়ি রেল সংযোগ এমনই একটি রুট যা ১৯৬৫ সাল পর্যন্ত কার্যকর ছিল। হলদিবাড়ি-চিলাহাটি রেল সংযোগটি ১৯৬৫ সাল পর্যন্ত চালু ছিল। ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধের পর সেটি বন্ধ হয়ে যায়। এরপর সীমান্ত এলাকার প্রায় নয় কিলোমিটার পথে রেললাইন তুলে নেওয়া হয়। ২০১১ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভারত সফরের সময় দুই দেশের বন্ধ রেল সংযোগগুলো চালুর সিদ্ধান্ত হয়। এর মধ্যে চিলাহাটি-হলদিবাড়ি পথও ছিল। এর পরিপ্রেক্ষিতে রেলওয়ে ২০১৮ সালে বাংলাদেশ অংশের নয় কিলোমিটারে ব্রডগেজ রেললাইন ও অবকাঠামো নির্মাণে ৮০ কোটি টাকার প্রকল্প নেয়।
অন্যদিকে, ভারতের অংশে সাড়ে তিন কিলোমিটার রেললাইন নির্মাণে প্রকল্প নেয় ভারতের সরকার।ঢাকা ও কলকাতার মধ্যে দর্শনা হয়ে যাত্রীবাহী মৈত্রী এক্সপ্রেস ট্রেন চালু আছে। খুলনা থেকে বেনাপোল হয়ে কলকাতায় চলাচল করে বন্ধন এক্সপ্রেস। তবে করোনা সংক্রমণের কারণে দুই পথেই যাত্রীবাহী ট্রেন চলাচল বন্ধ আছে।
গত বছরের ১৭ই ডিসেম্বর প্রধানমন্ত্রী পর্যায়ের ভার্চুয়াল দ্বিপাক্ষিক শীর্ষ সম্মেলনের সময় ভারত ও বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী যৌথভাবে হলদিবাড়ি-চিলাহাটি রেল সংযোগ উদ্বোধন করেন। চালু হওয়া এই রেল সংযোগ ভারত-বাংলাদেশ রেল যোগাযোগ এবং দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্যকে শক্তিশালী করবে।