নিজস্ব সংবাদদাতা: ডেবরা: বুধবার পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার ডেবরা ব্লকের লোয়াদা তে ‘ মহাপ্রভু পরিবার ডেবরা মঠে’ র এর উদ্যোগে মঠ উদ্বোধন উপলক্ষে এদিন হাজারো মানুষের উপস্থিতি ছিলো চোখে পড়ার মতো। এদিন ‘মহাপ্রভু পরিবার ডেবরা মঠে’ র ফেস্টুন হাতে নিয়ে একটি বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা মধ্য দিয়ে কয়েকশো মঠ কর্মী এবং শ্রী চৈতন্য মহাপ্রভুর ভক্তবৃন্দ গোটা লোয়াদা এলাকা পদক্ষিণ করেন। সভায় শ্রী চৈতন্য মহাপ্রভুর নাম জপ ও গীতা পাঠের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠানের সূচনা করা হয়, এবং নাম গান শেষে প্রসাদ সেবার বিরাট আয়োজনের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠানের ইতি পড়ে। এদিনের অনুষ্ঠানে হাজারো প্রায় এলাকার মানুষ এবং দূর দূরান্ত থেকে বহু শ্রী চৈতন্য অনুগামী ভক্ত গুণীজনেরা এই মহাযজ্ঞে সামিল হয়েছেন, তাদের বাঁধ ভাঙ্গা উচ্ছ্বাস ও উন্মাদনা এলাকায় এক অন্য মাত্রা রূপ নিয়েছিল যা বৃহত কোনো সমাগমের থেকে কোনো অংশেই কম ছিল না।
ডেবরা শ্রী চৈতন্য মহাপ্রভু পরিবার’ এর কেন্দ্র কমিটির সভাপতি সুকৃতি মণ্ডল(গুরুজী) বলেন “আমরা শুধু ধর্ম ভাবাবেকই জাগ্রত নয় সমাজের কল্যাণের জন্য প্রয়োজনে মানুষের সেবা করা , মানুষের পাশে থাকা, নানান সমাজ সেবামূলক কার্য কলাপের মধ্য দিয়ে আমরা আমাদের চৈতন্য মহাপ্রভু পরিবারের পক্ষ থেকে মানুষের পাশে দাঁড়ানোর অঙ্গীকার করছি, হিন্দু জাগ্রত হউক।”
মহাপ্রভু পরিবার’ এর সম্পাদক – শ্রী নন্দ দুলাল অধিকারী জানিয়েছেন “আমাদের উদ্দেশ্য হলো হরিনাম বা মহাপ্রভুর নাম প্রচার করা, হিন্দুদের একত্রিত করে হিন্দু পরিবারের সদস্য করা।এটাই আমাদের মূল উদ্দেশ্য। ”
বিদ্যাসাগর ধাম কমিটির সভাপতি শ্রী সাধন মাইতি জানিয়েছেন ” আমরা সারা পশ্চিমবঙ্গ সহ জেলার প্রতিটি কোণায় কোণায় শ্রী চৈতন্য মহাপ্রভুর নাম প্রচারের উদ্দেশ্য মঠ বা আশ্রম গঠিত করে মাইক সহ করতাল বাদক ইত্যাদি আমাদের মহাপ্রভু পরিবার এর কেন্দ্র কমিটি থেকে প্রদান করা হবে। সারা বাংলায় তিন বেলা মহাপ্রভু র নাম, গান, যজ্ঞের প্রসার ঘটে হিন্দু বৈষ্ণবের জাগরণ ঘটুক। এটাই আমাদের মূল মন্ত্র। ”
এদিন শ্রী চৈতন্য মহাপ্রভু পরিবার এর পক্ষ থেকে মঠ উদ্বোধন ও প্রচার অভিযানে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্র কমিটির প্রধান উদ্যোক্তা সভাপতি শ্রী সুকৃতি মণ্ডল (গুরুজী), সম্পাদক – শ্রী নন্দ দুলাল অধিকারী, সহ – সভাপতি প্রদীপ মল্লিক, সহ সম্পাদক তপন দত্ত, এ্যাডভোকেট-তাপস কুমার মিত্র, কোষাধক্ষ- ড: আশীষ মৈটল্যা, ও বিদ্যাসাগর ধাম কমিটির সভাপতি শ্রী সাধন মাইতি, সহ এলাকার নানান গুণীজন ব্যাক্তিবর্গরা ।