বিশ্বজিৎ দাস:মহামারীকালে বিনা টিকিটে ট্রেনে ওঠায় ধৃত ২৭ লক্ষ যাত্রী।করোনা ভাইরাসের কারণে গত বছর লকডাউনের কারণে ১৪ এপ্রিল থেকে ৩ মে দেশে সমস্ত যাত্রীবাহী ট্রেন সম্পূর্ণ বন্ধ ছিল।এরপরে শ্রমিক স্পেশ্যাল ট্রেন চালানো হয়েছিল। তারপর গুটি কয়েক ট্রেনকে স্পেশ্যাল তকমা দিয়ে চালানো শুরু হয়।
আমাদের এই দেশ ভারতবর্ষ এ বছর সংখ্যাটা ধীরে ধীরে বাড়ার সময় ফের করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে বিধ্বস্ত হয়ে পড়ে। ফের যাত্রী সংখ্যা তলানিতে এসে পড়লে একে একে বন্ধ হয় বহু ট্রেন। আন্তঃরাজ্য ট্রেনগুলি পুরোপুরি বন্ধ হয়। সম্প্রতি করোনা গ্রাফ একটু নিম্নমুখী হতে ফের ট্রেনের সংখ্যা বাড়ানো শুরু হয়েছে। পনেরো মাসেরও বেশি সময় ধরে ট্রেন চলাচলের এই টালমাটালেও এত সংখ্যক বিনা টিকিটের যাত্রী ধরা পড়াটা রীতিমতো ভাবিয়ে তুলেছে রেলকে।
প্রসঙ্গত,মহামারীর সময় দেশজুড়ে ট্রেন বন্ধ ছিল বেশ কয়েকমাস। কখনও নির্দিষ্ট কয়েকটি রুটে পণ্যবাহী কিংবা সীমিত সংখ্যক যাত্রী নিয়ে জরুরি ভিত্তিতে রেল চলাচল করেছে। তবে বিনা টিকিটে ট্রেনে ভ্রমণের প্রবণতা কমেনি তখনও।
রেল বোর্ডের তথ্য অনুযায়ী, গত এক বছরে বিনা টিকিটে ভ্রমণ করতে গিয়ে আটক হয়েছেন ২৭ লক্ষ মানুষ।যা দেখে রেল বোর্ডের কর্তাদেরও চোখ কপালে উঠেছে।তথ্যের অধিকার আইন অর্থাৎ RTI-এ উত্তরপ্রদেশের এক যাত্রী এই তথ্য জানার আবেদন করে রেল বোর্ডের কাছে।
বিনা টিকিটে ট্রেনে সফর করায় গত এক বছরে কতজনকে আটক করেছে রেল, এই ছিল তাঁর জানার বিষয়। তাঁকে জবাব দিতে গিয়ে রেল বোর্ডের হাতে এসেছে এই তথ্য। বোর্ড জানায়, গত বছর মার্চ থেকে চলতি বছরের মার্চ পর্যন্ত বিনা টিকিটে রেলের ভ্রমণ করতে গিয়ে ধরা পড়েছেন ২৭ লক্ষ যাত্রী। জরিমানা বাবাদ রেলের ঘরে এসেছে ১৪৩.৮২ কোটি টাকা।