নিউজ ডেস্ক: দেশে করোনার সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউ ধীরে ধীরে কমতে শুরু করেছে। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের সর্বশেষ তথ্য অনুসারে, গত ২৪ ঘন্টায় ১ লক্ষ ৬৫ হাজার ৫৫৩ টি নতুন করোনার কেস সামনে এসেছে এবং ৩,৪৬০ সংক্রামিত মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন। একই সময়ে, করোনায় সুস্থ হয়েছেন ২ লক্ষ ৭৬ হাজার ৩০৯ জন মানুষ। অর্থাৎ, আগের দিন ১,১৪,২১৬ অ্যাক্টিভ কেস কমেছে । এর আগে শুক্রবার ১৭৩,৭৯০ লক্ষ কেস এসেছিল এবং বৃহস্পতিবার ১৮৬,৩৬৪ লক্ষ নতুন কেস এসেছিল।
রবিবার, দেশে টানা ১৭ তম দিনে করোনার ভাইরাসের নতুন কেস থেকে বেশি পুনরুদ্ধারের সংখ্যা সামনে এসেছে। গত ৪৬ দিনে করোনার ভাইরাসের সবচেয়ে কম সংখ্যক নতুন কেস এসেছে রবিবার। ২৯ শে মে অবধি সারা দেশে ২১ কোটি ২০ লক্ষ ৬৬ হাজার ৬১৪ করোনার ভ্যাকসিন ডোজ দেওয়া হয়েছে। শনিবার ৩০ লক্ষ ৩৫ হাজার ৭৪৯ টি ভ্যাকসিন দেওয়া হয়েছে। একই সময়ে, ৩৪ কোটি ৩১ লক্ষেরও বেশি করোনার পরীক্ষা করা হয়েছে। আগের দিন প্রায় ২০ লক্ষ করোনার নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছিল, যার সুস্থতার হার ৮ শতাংশের বেশি।
আজ করোনার সর্বশেষ পরিস্থিতি-
মোট করোনার কেস – ২ কোটি ৭৮ লক্ষ ৯৪ হাজার ৮০০।
মোট টেস্ট – ২ কোটি ৫৪ লক্ষ ৫৪ হাজার ৩২০।
মোট অ্যাক্টিভ কেস – ২১ লক্ষ ১৪ হাজার ৫০৮ ।
মোট মৃত্যু- ৩ লক্ষ ২৫ হাজার ৯৭২ জন।
দেশে করোনার মৃত্যুর হার ১.১৬ শতাংশ এবং সুস্থতার হার ৯০ শতাংশেরও বেশি। অ্যাক্টিভ কেসগুলি ৮ শতাংশেরও নিচে নেমে এসেছে। করোনার অ্যাক্টিভ কেসের দিক থেকে ভারত বিশ্বের দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে। সংক্রামিত মোট সংখ্যার দিক থেকেও ভারত দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে। আমেরিকার পরের বিশ্বে ভারতে মৃত্যুর সংখ্যা সবচেয়ে বেশি।
অন্যদিকে, বঙ্গেও নিম্নমুখী করোনা সংক্রমণ, বাড়ছে সুস্থতার হারও।রাজ্যে সরকারের দেওয়া বিধিনিষেধ বোধ হয় কাজ করছে। রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের দেওয়া শনিবারের বুলেটিন অনুযায়ী, গত ২৪ ঘন্টায় করোনা সংক্রমিত হয়েছেন ১১ হাজার ৫১৪ জন এবং মৃত্যু হয়েছে ১৪৮ জনের। গত একদিনে করোনামুক্ত হয়েছেন ১৮ হাজার ৭৭৪ জন। এরপরেই রাজ্যে অ্যাকটিভ করোনা রোগীর সংখ্যা কমে দাঁড়িয়েছে ১ লক্ষ ২ হাজার ৩৯৮ জনে। এদিকে, গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা পরীক্ষা হয়েছে ৬৩ হাজার ৫১৮ জনের। যার মধ্যে পজিটিভ ১১ হাজার ৫১৪ জন।