নিজস্ব সংবাদদাতা: গরিব, নিম্ন মধ্যবিত্ত ৩ হাজার মানুষকে করোনা প্রতিষেধক দেওয়ার উদ্যোগ নিলেন আইআইটি খড়গপুর (IIT-Kharagpur) অধ্যাপক-অধ্যাপিকারা এবং এরজন্য প্রাথমিক পর্যায়ে প্রায় ১৮ লক্ষ টাকা খরচ করতে চলেছেন। যদি ধরে নেওয়া হয় যে প্রতি টিকা পিছু ৬০০টাকা খরচ হয় তবে খরচটা অন্ততঃ সেরকমই দাঁড়াচ্ছে। কারন আপাতত কোভিশিল্ডের বেসরকারি বাজার দর সেরকমই।
আইআইটির শিক্ষক সমাজ ঠিক করেছে নিজেদের পয়সায় ভ্যাকসিন নেওয়ার ক্ষমতা নেই এমন মানুষ যাঁরা বিভিন্নভাবে আইআইটিকে কেন্দ্র করে জীবিকা অর্জন করেন এমন ব্যক্তিদের নিজেরাই ভ্যাকসিন কিনে দেবেন।প্রশ্ন হচ্ছে এঁরা কারা? এঁরা আইআইটি খড়গপুরের (IIT-Kharagpur) ক্যাম্পাসের অভ্যন্তরে যে সমস্ত দোকান আছে তার কর্মচারী, সবজি এবং মাছ বিক্রেতা, বাগানের মালি, পরিচারিকা, ঠিকায় কাজ করে এমন সাফাইকর্মী, ক্যান্টিন কর্মচারী, নিরাপত্তারক্ষী, রিক্সাওয়ালা ইত্যাদি ব্যক্তিরা।
উদ্যোগটা নিয়েছে আইআইটি-খড়গপুর টিচার আ্যশোসিয়েশন। তাঁদের বক্তব্য সরকারি স্তরে ভ্যাকসিন দেওয়ায় অপ্রতুলতার কারনে যে দীর্ঘ লাইন পড়ছে তার ফলে এঁদের অনেকেরই ভ্যাকসিন নেওয়ায় অনেকেরই অনীহা তৈরি হচ্ছে। যে কারনে একটি সহজ সরল ব্যবস্থায় এঁদেরকে ভ্যাক্সিনেট করার উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে।আইআইটি খড়গপুর টিচার আ্যশোসিয়েশনের বক্তব্য, আইআইটির অভ্যন্তরে প্রায় ৭০০জন অধ্যাপক অধ্যাপিকা রয়েছেন যাঁর বেশিরভাগই বিশেষ করে যাঁরা ৪৫ বছরের উর্দ্ধে তাঁরা সবাই সরকারি দক্ষিণ্যেই ভ্যাকসিন নিয়েছেন।
অধ্যাপকদের বক্তব্য তাঁরা সরকারের দেওয়া ভ্যাকসিন নিয়েছেন বিনামূল্যেই কিন্তু এটা কিনে নেওয়ার যথেষ্ট ক্ষমতা তাঁদের ছিল বা আছে। তাই তাঁদের এটা কর্তব্যের মধ্যে পড়ে যে আইআইটির সঙ্গে যুক্ত ওই সমস্ত ব্যক্তিদের জন্য এই ভ্যাকসিনের কাজটি করা। পাশাপাশি ক্যাম্পাসের মধ্যে থাকা গবেষক পড়ুয়া বা রিসার্চ স্কলারদেরও প্রতিষেধক দেবেন তাঁরা। জানা গেছে করোনা উৎপাদক সংস্থা বা তাদের বিপণন সংস্থার কাছ থেকে সরাসরি এই ভ্যাকসিন কিনে নেবে টিচার আ্যশোসিয়েশন।
লকডাউনের সময় আইআইটি ক্যাম্পাসের সঙ্গে জড়িয়ে থাকা মানুষদের সাহায্য করার আবেদন জানিয়ে প্রাক্তনিদের কাছে সাহায্য করার আবেদন জানিয়েছিল আইআইটি খড়গপুর (IIT-Kharagpur) কর্তৃপক্ষ। সেই ডাকে সাড়া দিয়ে প্রাক্তনীরা এগিয়ে আসেন সাহায্য করতে যা দিয়ে এঁদের বেশ কয়েক দফায় রেশন দেওয়া হয়। যদিও এই উদ্যোগ তেমনটা নয়। আইআইটি খড়গপুরের রেজিস্টার তমাল নাথ জানিয়েছেন, “এই উদ্যোগ আইআইটি নেয়নি নিয়েছেন অধ্যাপকরা। তাঁরা সম্পূর্ণ নিজেদের উদ্যোগেই এই প্রতিষেধক দেওয়া হচ্ছে।” জানা গেছে শুক্রবার থেকে কয়েক দফায় এই ভ্যাকসিন দেওয়া হবে জিমখানায়।