Homeএখন খবরসংক্রমনের ভয়ে বাড়ি ফিরতে আপত্তি মহারাষ্ট্র ও কর্ণাটকের পড়ুয়ারা, ২টি হোস্টেলে সরিয়ে...

সংক্রমনের ভয়ে বাড়ি ফিরতে আপত্তি মহারাষ্ট্র ও কর্ণাটকের পড়ুয়ারা, ২টি হোস্টেলে সরিয়ে নিল খড়গপুর আইআইটি কর্তৃপক্ষ

নিজস্ব সংবাদদাতা: সামাজিক দুরত্ব বজায় রেখেই হোস্টেলে থেকে যাওয়া অবশিষ্ট ছাত্রছাত্রীদের ২টি হোস্টেলে সরিয়ে নিল খড়গপুর আইআইটি। উল্লেখ্য জুনের ২০ তারিখের মধ্যে ছাত্রছাত্রীদের হোস্টেল খালি করে বাড়ি ফিরে যাওয়ার নোটিশ জারি করেছিল আইআইটি খড়গপুর কর্তৃপক্ষ। সেই মত ৩২০০ ছাত্রছাত্রীর বেশিরভাগই বাড়ি চলেও যায় কিন্তু প্রায় ৪০০ ছাত্রছাত্রী বাড়ি যেতে রাজি হয়নি বা যাওয়ার মত অবস্থায় নেই। মূলতঃ মহারাষ্ট্র, কর্নাটক ও জম্মুর ছাত্রছাত্রীরাই বাড়ি যেতে আপত্তি করে থেকে যায়। অবশেষে নিজেদের কঠিন অবস্থান থেকে সরে আসেন কর্তৃপক্ষ। আইআইটির রেজিস্টার অধ্যাপক ভৃগুনাথ সিংহ বলেন, বাড়ি যেতে যদি পড়ুয়াদের সমস্যা থাকে, ইনস্টিটিউট তাঁদের কখনই জোর করবে না।

    তবে আইআইটি কর্তৃপক্ষ এই ছাত্রছাত্রীদের ২টি হোস্টেলে সরিয়ে এনেছেন। মদনমোহন মালব্য হোস্টেল যেখানে ৪টি ব্লকে ১৬০০জন থাকতে পারেন সেখানে ছাত্রদের ও সিস্টার নিবেদিতা হোস্টেলে ছাত্রীদের থাকার ব্যবস্থা করা হয়েছে। উল্লেখ্য আইআইটির খড়গপুর ক্যাম্পাসে মোট ২১টি হোস্টেল রয়েছে যার মধ্যে ১৬টি ছাত্রদের ও ৫টি ছাত্রীদের। পড়ুয়াদের দায়িত্বে থাকা ডিন অধ্যাপক সোমেশ কুমার একটি মেল বার্তায় পড়ুয়াদের জানান, এটা লক্ষ্য করা যাচ্ছে যে একেকটি হোস্টেলে খুবই সামান্য পরিমাণ পড়ুয়া রয়ে গেছেন। তাঁদের নিরাপত্তা ও স্বাচ্ছন্দ্যর কথা মাথায় রেখে এমএমএম ও এসএনভি হোস্টেলে আনার সিদ্ধান্ত নেওয়া হল।

রেজিস্ট্রার বলেন, ‘শিক্ষার্থীরা আমাদের সন্তানের মতো। তাই এখন বাড়ি যাওয়ার ক্ষেত্রে যদি তাদের অসুবিধে থাকে আমরা জোর করতে পারি না। তবে পরবর্তী সেমিস্টার শুরু হতে এখনও দু মাসেরও বেশি সময় বাকি আছে। তাই পড়াশোনার চাপ তেমন নেই। তাই শিক্ষার্থীদের কাছে আমাদের আর্জি, তাঁরা হোস্টেল ছেড়ে পরিবারের সঙ্গে থাকুন। নতুন উদ্যম নিয়ে আবার সেপ্টেম্বর মাসে ফিরে আসুন।’

এদিকে লকডাউনে থেকে যাওয়া পড়ুয়াদের কথা ভেবেই হোস্টেল কর্মীদের আইআইটি ক্যাম্পাসে রেখেই ছাত্রছাত্রীদের জন্য পরিষেবা দেওয়ানো হয়েছিল। কোভিড সম্পর্কিত নিরাপত্তার কারনে তাঁদের বাড়িতে যেতে দেওয়া হয়নি। মানবিক কারনে তাঁদের ছুটি দিয়েছেন কর্তৃপক্ষ। সকলেই বাড়ি চলে গেছেন। তাই কর্তৃপক্ষের সহায়তায় পড়ুয়াদের সবকিছু করতে হবে।

ছাত্রাবাসের ১২৫০০ জন শিক্ষার্থীর মধ্যে লক ডাউনের শুরুতে মার্চ মাসের শেষে ৫৪০০জন হোস্টেলে ছিলেন। এঁদের মধ্যে ৩০০০ শিক্ষার্থী মে মাসে নিজেদের বাড়ি চলে যান। ২৪০০ জন হোস্টেলে থেকে যান। যাঁদের ১৪ জুন ইনস্টিটিউটের তরফে নোটিশ দিয়ে ২০ জুনের মধ্যে হোস্টেল খালি করার কথা বলা হয়েছিল। যদিও নিজেদের রাজ্যে ভয়াবহ করোনা সংক্রমনের মুখে বাড়ি ফিরতে সাহস পাচ্ছেননা মহারাষ্ট্র ও কর্ণাটকের পড়ুয়ারা।দেশের প্রান্তিক এলাকার জম্মুর পড়ুয়ারা পড়েছেন যাতায়াতের সমস্যায়।

RELATED ARTICLES

Most Popular