নিজস্ব সংবাদদাতা: কিছুদিন আগে অবধি খড়গপুর রেলের ডিআরএম অফিস ছিল করোনার এপিসেন্টার বা ভর কেন্দ্র। এখন যেন তা বদলে ওয়ার্কশপে পৌঁছে গেছে। ২দিন করোনা পরীক্ষা হয়নি মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজে। ল্যাবের চার কর্মীর পজিটিভ আসার পরই ল্যাবকে জীবানুমুক্ত করার কাজ করার জন্য বন্ধ রাখা হয় ল্যাব। শুক্রবার ফের পরীক্ষা শুরু হয় ল্যাবে। আর সেই রিপোর্ট আসার পর চক্ষু চড়ক গাছ রেল কর্তাদের।
মোট ৭৭জনের প্রেরন করা নমুনা থেকে পজিটিভ এসেছে ২১ জনের আর অমীমাংসিত এসেছে ৩৫ টি নমুনা। অমীমাংসিতদের মধ্যে নিশ্চিত ভাবে কিছু পজিটিভ আসবেই কিন্তু সেটা বাদ দিলেও যা দেখা যাচ্ছে তাতে প্রায় প্রতি সাড়ে তিনজন ওয়ার্কশপ কর্মীর মধ্যে একজন পজিটিভ।
শুক্রবার যে ফলাফল এসেছে তার নমুনা দু’দফায় গত ২৪ ও ২৫ তারিখ সংগ্ৰহ করা হয়েছিল রেল হাসপাতালে এবং পুরো নমুনাই রেলের ওয়ার্কশপের কর্মী ও আধিকারিকদের। কোথাও কোথাও সপরিবারেই আক্রান্ত হয়েছেন তাঁরা। যেমন ইন্দা এলাকার একজন ওয়ার্কশপ আধিকারিক আক্রান্ত হয়েছেন সপরিবারে। পরিবার বলতে ৫৪ বছরের ওই আধিকারিক, তাঁর ৫১বছর বয়সী স্ত্রী ও ১৯ বছরের ছেলে। এই পরিবারের দাবি বাড়ির একটি। শ্রাদ্ধানুষ্ঠানে কলকাতা থেকে কিছু আত্মীয় এসেছিলেন। ফিরে গিয়ে তাঁরা আক্রান্ত হয়েছেন দেখেই তাঁরা নমুনা দিয়েছিলেন।
অন্যদিকে খরিদা বাঙালি পাড়ায় আক্রান্ত হয়েছেন এক ৪৮ বছর বয়সী রেলকর্মী ও তাঁর ১০ ও ৭ বছরের দুই কন্যা। পরিবারের গৃহিণী পশ্চিমবঙ্গ সরকারি কর্মচারী আগেই আক্রান্ত হয়ে বর্তমানে করোনামুক্ত। নিউ সেটেলমেন্ট এলাকায় এক রেলকর্মী পরিবারের তিন সদস্য আক্রান্ত হয়েছেন আবার মীরপুর এলাকায় এক রেলকর্মী ও তাঁর মা আক্রান্ত হয়েছেন। এছাড়া বিবেকানন্দপল্লী, ছোট ট্যাংরার পার্ক প্লাজা ও রেল সেটেলমেন্ট এলাকার একেকজন করে আক্রান্ত হয়েছেন।