নিজস্ব সংবাদদাতা: উচ্চমাধ্যমিকের প্রথম দিনেই বিভ্রাট ঘটল পশ্চিম মেদিনীপুর জেলায়। প্রথম দিনের প্রথম পত্র অর্থাৎ বাংলা প্রশ্ন পত্র হাতে পাওয়ার কিছুক্ষনের মধ্যেই অসুস্থ হয়ে অজ্ঞান হয়ে গেল এক ছাত্রী। তড়িঘড়ি ওই ছাত্রীকে নিকটবর্তী স্বাস্থ্যকেন্দ্রে সরিয়ে নিয়ে যায় পুলিশ ও পরীক্ষাকেন্দ্রের দায়িত্বে থাকা আধিকারিকরা।ঘটনাটি ঘটেছে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার ক্ষীরপাই এলাকার।
পরীক্ষাকেন্দ্র সূত্রে জানা গিয়েছে চন্দ্রকোনা থানার অন্তর্গত কল্যানশ্রী জ্ঞানদা দেবী উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ছাত্রী পুজা দাসের পরীক্ষা দেওয়ার আসন নির্ধারিত হয়েছিল ক্ষীরপাই হাইস্কুলে। প্রথম পত্র বাংলার প্রশ্ন পত্র বন্টন হয়েছিল নির্ধারিত সময়েই। যথারীতি পুজাকেও সেই প্রশ্নপত্র বিলি করা হয়। কিছুক্ষন পরেই সে অসুস্থতা বোধ করতে থাকে এবং অল্প সময়ের মধ্যেই অজ্ঞান হয়ে নিজের অসনেই ঢলে পড়ে।
পরীক্ষাকেন্দ্রের দায়িত্বে থাকা এক পরীক্ষক জানান, ” প্রচণ্ড ঘামছিল ওই পরীক্ষার্থী। কিছু একটা অসুবিধা হচ্ছে জানতে পেরেই আমরা ছুটে যাই। ততক্ষনে জ্ঞান হারিয়ে ফেলে ছাত্রীটি। এরপরই বিষয়টি আমরা পরীক্ষা কেন্দ্রের দায়িত্বপ্রাপ্ত আধিকারিককে জানাই।”
খবর পেয়ে তড়িঘড়ি স্কুলে ছুটেকৌশিক ঘোষ আসেন স্থানীয় বিদ্যালয় পরিদর্শক ও আধিকারিকরা। ছুটে আসে কেন্দ্রের প্রহরায় থাকা পুলিশ কর্মী, পঞ্চায়েত সমিতির আধিকারিকরা। তাঁদের উদ্যোগেই পুজাকে নিয়ে যাওয়া হয় ক্ষীরপাই স্বাস্থ্যকেন্দ্রে। সেখানেই চিকিৎসা চলছে ছাত্রীর। উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা সংসদের এক অধিকর্তা জানান, আমরা নজর রাখছি ওই ছাত্রীর ওপর। যদি সুস্থ হয়ে ওঠে তবে পৃথকভাবে পরীক্ষা নেওয়ার ব্যবস্থা করা হবে যদিও শেষ খবর পাওয়া অবধি পরীক্ষা দিতে পারেনি ওই ছাত্রী। পরীক্ষা ভীতি নাকি শারীরিক কোনও কারনে অসুস্থ হয়ে পড়েছে ওই ছাত্রী তা জানা যায়নি।
উল্লেখ্য এবার পশ্চিম মেদিনীপুর জেলায় উচ্চমাধ্যমিকে মোট পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ৪০হাজার ২২০জন। এরমধ্যে ছাত্র ১৮ হাজার ৭১৩জন ও ছাত্রী ২১হাজার ৫০৭জন। জেলার তিন মহকুমার ৭৬টি পরীক্ষাকেন্দ্রে পরীক্ষা নেওয়ার ব্যবস্থা করেছে সংসদ। পরীক্ষাকেন্দ্র সংলগ্ন প্রতিটি স্বাস্থ্যকেন্দ্রকেই প্রস্তুত থাকতে বলা হয়েছে পরীক্ষার্থীদের অসুস্থতা জনিত পরিষেবা ও প্রয়োজনে বিশেষ ভাবে পরীক্ষা নেওয়ার সুবিধা রাখার জন্য।