নিজস্ব সংবাদদাতা: ১৪দিন থাকতে হবে হাসপাতালের কোয়ারেণ্টাইন শয্যায় কিন্তু নেই পর্যাপ্ত খাবার দাবার, নেই চিকিৎসক। রোগীরা প্রয়োজনীয় পরিষেবা পাচ্ছেননা বলে অভিযোগ উঠছিল। কয়েকদিন ধরেই চলছে এই চূড়ান্ত অব্যবস্থা। অন্যদিকে করোনা আক্রান্ত রোগীদের সংখ্যা বাড়তে থাকায় হাসপাতালের উপর চাপও বাড়ছিল। এর মধ্যেই সরকারি নির্দেশ থাকা সত্ত্বেও কাজে যোগ দেননি দুই চিকিৎসক। ফলে দীর্ঘক্ষণ ধরে লাইন দিয়ে দাঁড়িয়ে থাকার পরেও চিকিৎসা করাতে পারছিলেন না সাধারণ মানুষ। ফলে প্রবল ক্ষোভ তৈরি হয়েছিল স্থানীয় মানুষের মনে। এই পরিস্থিতির কারণে যখন নাজেহাল কর্তৃপক্ষ তখনই হাসপাতালে ভাঙচুর করে পালাল কোয়ারেন্টাইনে থাকা ২৬ জন মানুষ। শনিবার ঘটনাটি ঘটেছে জম্মু ও কাশ্মীরের রাজধানী শ্রীনগরের রায়নাওয়ারি এলাকার জওহরলাল নেহেরু মেমোরিয়াল হাসপাতালে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, কাশ্মীরের ছত্রবাল এলাকার এক বাসিন্দার শরীরে করোনা ভাইরাসের সন্ধান পাওয়ার পরেই তার সংস্পর্শে থাকা ২৬ জনকে হাসপাতালে ভরতি করা হয়। আইসোলেশন ওয়ার্ডে কোয়ারেন্টাইনে ছিল তারা। শারীরিক পরীক্ষা হলেও এখনও রিপোর্ট হাতে আসেনি। এর মাঝেই শনিবার হাসপাতালে অব্যবস্থার অভিযোগে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন রোগী ও তাঁদের আত্মীয়রা। হাসপাতালের নিরাপত্তারক্ষীরা তাঁদের সরাতে গেলে উভয়পক্ষের মধ্যে বচসা বেঁধে যায়। আর তারপরই শুরু হয় গন্ডগোল। উত্তেজিত জনতা হাসপাতালে ভাঙচুর চালাতে থাকে। সেই সুযোগে কোয়ারেন্টাইন থাকা ২৬ জন হাসপাতালের দরজা ও জানলা ভেঙে বাইরে পালিয়ে যায়।
এদিকে ঘটনার পরই কড়া ব্যবস্থা নিয়েছে পুলিশ ও প্রশাসন। খবর পাওয়ার পরেই গোটা এলাকাজুড়ে তল্লাশি শুরু করে পুলিশ। দীর্ঘক্ষণ পরে ওই ২৬ জনকে আটকে করে ফের হাসপাতালে ফিরিয়ে আনা হয়। পাশাপাশি কর্তব্যে গাফিলতির অভিযোগে এক চিকিৎসককে বরখাস্ত করার পাশাপাশি অন্যজনকে সাময়িকভাবে সাসপেন্ড করা হয়। বিষয়টিকে কেন্দ্র করে স্থানীয় এলাকায় প্রবল উত্তেজনা দেখা দিয়েছে। পুলিশ অবশ্য গতিবিধির দিকে নজর রাখছে আর স্থানীয় প্রশাসন আশ্বস্থ করেছেন ঘটনার পুনরাবৃত্তি হবেনা।