Homeএখন খবরএবার বেফাঁস হুগলির বিধায়ক! বললেন রাজ্য সরকারের উন্নয়নে ঘাটতি রয়েছে

এবার বেফাঁস হুগলির বিধায়ক! বললেন রাজ্য সরকারের উন্নয়নে ঘাটতি রয়েছে

নিজস্ব সংবাদদাতা: ‘জানুয়ারি মাসটা নিজের দলটাকে সামলাক তৃনমূল!’ এমনই কটাক্ষ করেছিলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। আর সত্যি সত্যি সেই জানুয়ারি মাসটাই যেন বিষময় হয়ে উঠছে তৃনমূলের কাছে। ডিসেম্বরে শুভেন্দু পর্বের ধাক্কা সামলানোর ওঠার আগেই জানুয়ারি মাসে একের পর বেগড়বাঁই করে চলেছেন তৃনমূলের বিধায়ক থেকে সাংসদ, মায় ছোট বড় নেতারা।
বৃহস্পতিবারই ফোঁস করেছেন বোলপুর সাংসদ শতাব্দী রায়। পদত্যাগ করেছেন সরকারি কমিটি থেকে। ঘোষণা করেছেন দিল্লি যাচ্ছেন বলে। শতাব্দীকে আটকানোর মরিয়া প্রচেষ্টায় তাঁকে নিয়ে অভিষেকের সঙ্গে মিটিং করাচ্ছেন কুনাল ঘোষ যদিও তাতে বরফ কতটা গলবে সে বিষয়ে সন্দেহ রয়েছে। আর এরই মধ্যে তৃনমূলের মাথা ব্যথা বাড়িয়ে শুক্রবারই বিজেপির পশ্চিমবঙ্গ পর্যবেক্ষক দাবি করেছেন তৃনমূলের ৪১ জন বিধায়ক মরিয়া হয়ে আছেন বিজেপিতে আসার জন্য। সেই ঘোষণার কয়েকঘন্টার মধ্যেই হুগলির উত্তরপাড়ার বিধায়ক সংশয় প্রকাশ করে জানিয়েছেন সংগঠনের সাম্প্রতিক আদৌ কোনও কার্যকরী ভূমিকা নিতে পারবে কিনা!

এরই পাশাপাশি তৃণমূল বিধায়ক প্রবীর ঘোষাল অভিযোগ করেছেন তাঁর এলাকায় রাস্তাঘাট তেমন ভাবে হয়নি বলে। সরকারি কাজের পদ্ধতি নিয়েও ক্ষোভ জানিয়ে এদিন তিনি বলেছেন, ‘‘উন্নয়নে ঘাটতি থেকে গিয়েছে। সেটা মানুষের মধ্যে একটা বিরূপ প্রতিক্রিয়া তৈরি করেছে। আর সেটা শুধু আমার কেন্দ্রে নয়, বিভিন্ন জায়গায়। এগুলোর সমাধান করতে না পারলে এ বার বিধানসভা ভোটের লড়াই কঠিন হবে।’’

তৃণমূলের হুগলি জেলা সভাপতি দিলীপ যাদব এই প্রসঙ্গে বলেছেন, মমতা ব্যানার্জীর নেতৃত্বে গত ১০বছরে যা উন্নয়ন হয়েছে তা করার কথা কেউ ভাবতেই পারেনি। এরপরও কিছু বলার থাকলে প্রবীর দলের নির্দিষ্ট ফোরামে জানাতে পারেন। দিলীপ বলেন, ‘‘প্রবীর আমাদের দলের বিধায়ক। উনি যদি কিছু যদি বলে থাকেন, তা হলে দলের মধ্যে নির্দিষ্ট ফোরাম আছে সেখানে থেকেই তার প্রতিক্রিয়া দেওয়া হবে।”

হুগলিতে ইতিমধ্যেই বেসুরো হয়েছেন মন্ত্রী বেচারাম মান্না, বিধায়ক রবীন্দ্রনাথ ভট্টাচার্যরা। আপাতত তাঁদের অবশ্য ম্যানেজ করা গেছে বলে মনে করছে দল। হুগলির সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়কে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে জেলার অন্তর্দ্বন্দ্ব সহ নেতা কর্মীদের মধ্যে ক্ষোভ বিক্ষোভ সামাল দেওয়ার জন্য। এই পরিস্থিতিতে কল্যাণ প্রবীরের ক্ষোভ মিটিয়ে উঠতে পারেন কিনা সেটাই এখন দেখার। উল্লেখ্য লোকসভা নির্বাচনে যথেষ্ট পরিমাণে খারাপ ফল হয়েছে তৃনমূলের।

RELATED ARTICLES

Most Popular