Homeঅন্যান্যফের পাচারের আগেই ধরা পড়ল ৬০০ কেজি ইলিশ, বাংলাদেশ সীমান্ত জুড়ে ইলিশের...

ফের পাচারের আগেই ধরা পড়ল ৬০০ কেজি ইলিশ, বাংলাদেশ সীমান্ত জুড়ে ইলিশের ব্যাপক চোরা চালান

নিজস্ব সংবাদদাতা: আকাল পড়েছে পশ্চিম বাংলার ইলিশের বাজারে। বাঙালি পাতে মাথা খুঁড়ছে এক টুকরো ইলিশের জন্য কিন্ত যোগান এতটাই কম যে ইলিশের বাজারে উঁকি মারারও উপায় নেই মধ্যবিত্ত বাঙালির। অন্যদিকে ইলিশের বান ডেকেছে বাংলাদেশ আর মায়ানমারে।এপার বাংলায় ইলিশের যখন চড়া দর ওপার বাংলায় তেমনই দাম নেই ইলিশের।ওপাশ থেকে তাই এপাশে লুকিয়ে চলছে ইলিশ পাচার। চলতি মাসে দ্বিতীয় বার তাই বড়সড় পরিমানে ইলিশ উদ্ধার হল মুর্শিদাবাদে ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত থেকে। শনিবার বিএসএফের বাজেয়াপ্ত করা ইলিশের পরিমান ৬০০, যার মূল্য প্রায় ১০ লাখ টাকা বলেই জানা গিয়েছে।

সীমান্তরক্ষী বাহিনীর তরফে জানানো হয়েছে, শনিবার ফরাজিপারা সীমান্তে স্পিডবোটে টহল দিচ্ছিলেন জওয়ানরা। সেই সময় তাঁরা দেখতে পান, জলে পাটের জাগের তলায় প্লাস্টিকে লুকিয়ে ভারতে ইলিশ আনা হচ্ছে। বাংলাদেশের দিক থেকে চার-পাঁচজন জলের তলায় ডুবে সেই ইলিশ মাছ নিয়ে আসছিল। বিষয়টি বিএসএফের নজরে পড়তেই পাচারকারীরা পালিয়ে যায়।  স্থানীয়দের দাবি, প্রতি বছর এই সময় চোরাপথে বাংলাদেশ থেকে ভারতে ইলিশ নিয়ে আসা হয়। এবারও সেই ধারায় ছেদ পড়েনি। বিশেষত এবার ভারতীয় সীমান্তে ইলিশের সেভাবে দেখা মেলেনি। ফলে চোরাপথে বাংলাদেশ থেকে ইলিশের আসছিল।

সূত্রের খবর, গোয়েন্দা মারফত খবর পেয়ে ইলিশ পাচার রুখতে আগে থেকেই নজরদারি চালানো হচ্ছিল। শনিবার দুপুরে একটি নদী থেকে ৬০০ কিলোগ্রামের ইলিশ পাকড়াও করা হয়। ভারতে যার বাজারমূল্য ৯.৬ লাখ টাকা। তবে শুধু মুর্শিদাবাদ নয়, রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে বাংলাদেশ থেকে চোরাপথে ইলিশ নিয়ে আসার চেষ্টা করা হচ্ছে। এ মাসের গোড়াতেই পেট্রাপোল সীমান্তে পদ্মার ইলিশবোঝাই একটি ট্রাককে পাকড়াও করে বিএসএফ।

গত ৬ই আগস্ট পেট্রোপোলে বুধবার এই ইলিশ ভর্তি ট্রাক বাজেয়াপ্ত করা হয়। ৯টি ব্যাগে করে ইলিশ লুকিয়ে চালকের কেবিনে করে আনা হচ্ছিল। চালকের কোনও শুল্ক বিভাগের ছাড়পত্র ছিল না বলে জানা গিয়েছে। সেই ইলিশ মাছের আনুমানিক বাজার মূল্য ১২ লাখ টাকা বলে জানা গেছিল। উত্তর ২৪ পরগণার এক বাসিন্দা অন্য পণ্যবাহী ট্রাক নিয়ে বাংলাদেশে যায় এবং ইলিশ নিয়ে ফিরে আসে

উল্লেখ্য ২০১২ সালে ভারতে বাংলাদেশ থেকে ইলিশ রপ্তানির ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছিল যা গত বছরই তুলে দেওয়া হয়। কিন্তু তারপরেও চলে পাচার। কারন নিয়মমত লেনদেনের সময় ইলিশের যে পরিমান বেঁধে দেওয়া হয় তাতে এ পারের বাঙালির উদর তৃপ্তি হয়না।তাছাড়া বাংলাদেশের ইলিশের প্রতি মানুষের একটা দুর্বলতা আছে। যদিও বাংলাদেশের সব ইলিশকেই পদ্মার ইলিশ বলে চালানো হয়।

RELATED ARTICLES

Most Popular