Homeএখন খবরসংঘাত নয়, থাকতে হবে সহাবস্থানে, সতর্কতায়! বন ও বন্য প্রান রক্ষায় শুরু...

সংঘাত নয়, থাকতে হবে সহাবস্থানে, সতর্কতায়! বন ও বন্য প্রান রক্ষায় শুরু হল জঙ্গল সাথী

নিজস্ব সংবাদদাতা : জঙ্গলে থাকতে হবে জঙ্গলের প্রানীর সাথেই, সচেতন হতে হবে সংঘাতে না গিয়ে। বন থাকলে বন্যপ্রান থাকবেই আর বনাঞ্চলে বাস করে সেই বন্যপ্রানীর ক্ষতি করলে বিপদ প্রকৃতির, বিপদ মানুষের। যতদিন যাচ্ছে জঙ্গল ছাড়িয়ে লোকালয়ে হাতির আনাগোনা লেগেই আছে। জঙ্গলে পর্যাপ্ত পরিমাণে খাবার না থাকার কারণে, খাবারের সন্ধানে জঙ্গলের হাতি লোকালয়ে হানা দিচ্ছে। সেই হাতি জঙ্গলে ফেরত পাঠাতে হিমসিম খাচ্ছে বন দপ্তর থেকে শুরু করে গ্রামবাসীরা।

সোমবার ঝাড়গ্রাম জেলার বিনপুর থানার সাতবাঁকী, মোহনপুর গ্রামে ঝাড়গ্রামের বন ও জঙ্গল বাঁচানোর একটি অনন্য কার্যক্রম ” জঙ্গল সাথী ” এর শুভ সূচনা করলেন ওয়ার্ল্ড লাইফ ট্রাস্ট অফ ইন্ডিয়ার সহযোগিতায় এবং জঙ্গলমহলের বিভিন্ন জায়গায় প্রকৃতি ও বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ নিয়ে দীর্ঘদিন কাজ করছে প্রকৃতি ও বন্যপ্রাণপ্রেমী সংগঠন ‘হিউম্যান এণ্ড এনভায়রনমেন্ট এলায়েন্স লীগ (হিল)’ এর উদ্যোগে। এলাকায় হাতি প্রবেশ করলে ওই এলাকার থেকে জঙ্গলে ফেরত পাঠানোর জন্য ওই এলাকার ২০ জন যুবকের হাতে হাতি পার্শ্ববর্তী জঙ্গলে ফেরত পাঠানো জন্য সার্চলাইট, সাইরেন, মাইক্রোফোন, গামবুট, রেন কোট, জঙ্গল সাথী ড্রেস তুলে দেওয়া হয় ।

হাতি বিশেষজ্ঞ অরিত্র ক্ষেত্রেই লোকালয়ে হাতি এলে ওই হাতির সাথে মানুষের সংঘাত না ঘটে সুস্থ ভাবে হাতি গুলোকে জঙ্গলে ফেরত পাঠাতে পারে সেই বিষয়ে তথ্য চিত্রের মাধ্যমে নানান মতামত প্রদান করেন। এছাড়াও হিলের পক্ষ থেকে উপস্থিত ছিলেন শুভ্রজ্যেতি চ্যাটার্জি, মেঘনা ব্যানার্জি, বাপি মাহাত।

হিলের ঝাড়গ্রাম জেলার সদস্য বাপি মাহাত জানায়, অবলা প্রাণী গুলো খাবারের সন্ধানে লোকালয়ে চলে আসছে, ওই হাতি দ্বারা গ্রামবাসীরা নিজেরা নিজেদের ফসল বাঁচাতে এবং নিজেদের কে সুরক্ষিত রাখতে পারে তারেই ক্ষুদ্র প্রশিক্ষণ কর্মশালা এবং বিভিন্ন সরঞ্জাম তুলে দেওয়া হয়। এই প্রশিক্ষণ কার্যকরী হলে ঝাড়গ্রাম জেলার যে সব এলাকায় হাতি বেশি আসে ওই এলাকায় এই প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে এবং হাতি তাড়ানোর সামগ্রী দেওয়া হবে।

এতদিন হাতি তাড়ানোর জন্য যে চিরাচরিত পদ্ধতি ব্যবহার করা হত তার বাইরে গিয়ে বিজ্ঞান সম্মত পদ্ধতি ব্যবহার করে আরও নিরাপদ উপায় রপ্ত করানোর পাশাপাশি বন্যপ্রান সম্পর্কে সচেতন করাই ছিল এদিনের কর্মসূচির মূল উদ্দেশ্য। ধিরে ধিরে সমস্ত জঙ্গলমহলেই এই প্রক্রিয়া চালু করা হবে বলে জানিয়েছেন উদ্যোক্তারা।

RELATED ARTICLES

Most Popular