নিজস্ব সংবাদদাতা: প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়ায় স্থগিতাদেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট। আপাতত ৪ সপ্তাহের জন্য অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ দিয়েছে আদালত। ফলে বিধানসভা ভোটের আগে নিয়োগপ্রক্রিয়া শেষ হওয়ার কোনও সম্ভাবনা রইল না। কারন এরই মধ্যে ঘোষণা হয়ে যাবে নির্বাচন আর সেই সময়ে নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্ভব নয়।
একে রাজ্যে দিনের পর দিন বন্ধ হয়ে পড়েছে একাধিক নিয়োগ। বিশেষ করে শিক্ষক নিয়োগ নিয়ে ভুরি ভুরি অভিযোগ ছিল। তার মধ্যেই নতুন নিয়োগের প্রস্তুতি নিয়েছিল সরকার। শুরু হয়ে গিয়েছিল কাউন্সিলিং এবং নিয়োগ কিন্তু শেষ রক্ষা হলনা। ভোটের আগে বাজিমাত নাকি বুমেরাং সেটাই এখন দেখার কারন এই নিয়োগের ওপরেও স্থগিতাদেশ দিয়ে দিল হাইকোর্ট। আপাতত চার সপ্তাহ কোনও নিয়োগ হবেনা। সব মিলিয়ে প্রশ্ন উঠে গিয়েছে সরকার নাকি সার্কাস চলছে?
১৬,৫০০ শিক্ষকপদে নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু হয়েছিল। কিছু পদ বাদ দিয়ে ১৫ হাজারেরও বেশি পদে নিয়োগ শুরু করেছিল প্রাথমিক শিক্ষা সংসদ। কাউন্সিলিংয়ের পর কয়েকশজন কাজে যোগও দিয়ে দেন কিন্তু সেই পদ্ধতিতে অস্বচ্ছতা রয়েছে বলে দাবি করে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন একদল চাকরিপ্রার্থী। তাদের অভিয়োগ, কোনও মেধাতালিকা বা প্যানেল প্রকাশ না করে শুধুমাত্র SMS করে যোগ্য ব্যক্তিদের তলব করা হয়েছে। যার ফলে কে কত নম্বর পেয়ে চাকরি পেলেন তা জানা সম্ভব হচ্ছে না। এর ফলে নিয়োগপ্রক্রিয়ায় দুর্নীতির সম্ভাবনাও রয়েছে।
ভোটের মুখে প্রাথমিকে নিয়োগ করে যুবসমাজে বেকারত্ব নিয়ে জমা ক্ষোভ কিছুটা প্রশমণের পরিকল্পনা ছিল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারের। আদালতের নির্দেশে তা ভেস্তে গেল। বিরোধীদের দাবি, প্রাথমিকে চাকরি দেওয়ার নামে পরীক্ষার্থীদের কাছ থেকে লক্ষ লক্ষ টাকা আদায় করেছেন তৃণমূল নেতারা। সেই টাকা ‘ভাইপো’র কাছে পৌঁছেছে বলেও দাবি করেন শুভেন্দু অধিকারী। আর পুরো বিষয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে শিক্ষক শিক্ষাকর্মী ও শিক্ষানুরাগী ঐক্য মঞ্চের রাজ্য সম্পাদক কিঙ্কর অধিকারী বলেছেন, রাজ্যের হাজার হাজার বেকার যুবক যুবতীদের ভবিষ্যৎ নিয়ে ছিনিমিনি খেলছে সরকার। নিয়োগ পদ্ধতি নিয়ে সরকারের আরও সতর্ক হওয়া উচিত ছিল।