নিউজ ডেস্ক; কলকাতা:শুরুতেই হোঁচট খেল মূখ্যমন্ত্রীর ঘোষিত প্রাথমিকে ১৬হাজার ৫০০ শিক্ষক শিক্ষিকা নিয়োগের প্রক্রিয়া। বুধবার বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের ২৪ ঘন্টার মধ্যেই কলকাতা হাইকোর্টে মামলা দায়ের হল। এবার সরাসরি চ্যালেঞ্জ করে প্রশ্ন তোলা হয়েছে সরকারি বিজ্ঞপ্তির বৈধতা নিয়েই। মামলার শুনানি নয়া বছরের ৪ জানুয়ারি বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজের সিঙ্গল বেঞ্চে হবে বলে জানা গিয়েছে।
মামলাকারীরা জানান, প্রাথমিকের টেটে প্রশ্ন ভুল থাকা নিয়ে হাইকোর্টে মামলা দায়ের করেছিলেন প্রায় ১৩০ জন প্রার্থী। সেই মামলার পর ২০১৮ সালে চাকরিপ্রার্থীদের উত্তরপত্র পুনর্মূল্যায়নের নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি সমাপ্তি চট্টোপাধ্যায়। সেই মূল্যায়নের পর যে যে চাকরিপ্রার্থীরা যোগ্য হিসেবে বিবেচিত হবেন, তাদের হাতে নিয়োগপত্র দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি। নির্দেশের পর আরও কয়েকজন প্রার্থী উত্তরপত্র পুনর্মূল্যায়নের দাবি জানিয়েছিলেন। সেই মামলার এখনও নিষ্পত্তি হয়নি।এরইমধ্যে বুধবার প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের পর মামলাকারীরা তেতে ওঠেন।
উল্লেখ্য২৩ নভেম্বর নয়া নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে পশ্চিমবঙ্গ প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। তাতে ২০১৪ সালের টেট উত্তীর্ণদেরও আবেদনের সুযোগ দেয়। সেই বিষয়টি নিয়ে হাইকোর্টের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছিলেন চাকরি প্রার্থীরা।এই পরিপ্রেক্ষিতে পর্ষদের থেকে জবাব তলব করেছিলেন বিচারপতি। তাদের উত্তরপত্র পুনর্মূল্যায়নের নির্দেশ দিয়েছিল হাইকোর্ট। কিন্তু তা না করেই কীভাবে শিক্ষক নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হল তা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন। মামলাকারীদের অভিযোগ, যোগ্য প্রার্থীদের বঞ্চিত করার চেষ্টা করছে রাজ্য। হাইকোর্ট মামলাটি গ্রহণ করেছে এবং নয়া বছরের ৪ জানুয়ারি শুনানির দিন ধার্য করা হয়েছে।
ইতিমধ্যেই আপার প্রাইমারিতে নিয়োগ প্রক্রিয়া জোরালো ধাক্কা খেয়েছে হাইকোর্টের রায়ে। পুরানো প্যানেল বাতিল করে নতুন প্রক্রিয়া চালু করতে বলা হয়েছে সরকারকে। সরকার অত্যন্ত সতর্কতার সঙ্গে সেই কাজ করছে বলে জানা গেছে। তার মধ্যে নতুন করে এই বিপত্তি। মঙ্গলবার মূখ্যমন্ত্রীর ঘোষণা থেকে এটা পরিস্কার হয়ে গেছিল যে ২০২১য়ের নির্বাচনের আগেই এই নতুন ১৬হাজার ৫০০জনের নিয়োগ সেরে ফেলতে চাইছে রাজ্য যাতে ভোটে তার ডিভিড্যান্ট পাওয়া যায়।
কিন্তু শুরুতেই যেভাবে মামলাটি গ্রহণযোগ্য বলে আদালত গ্রহণ করেছে তাতে কী বিশ বাঁও জলে চলে গেল নিয়োগ? উঠেছে সেই প্রশ্ন। প্রশ্ন আরও যে বারংবার আদালতে মামলা হওয়ার পরেও কেন সমস্ত দিক খুঁটিয়ে দেখে নির্ভুল বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হলনা? সরকারকে যে আইনজ্ঞরা পরামর্শ দিচ্ছেন তাঁরাই ডোবাচ্ছেন না তো?