অচিরা যাদব |
নিজস্ব সংবাদদাতা: অসামান্য পড়াশুনা। তিনসুকিয়ায় স্কুল ও কলেজের পড়া শেষ করে গুয়াহাটি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর পাশ করে সে। আর দিল্লির জহরলাল ইউনিভার্সিটি বা জেএনইউ থেকে করেছেন পিএইচডি যার থিসিস পেপার ছিল আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসবাদ। হলদিয়ার এক প্রাক্তন কাস্টম আধিকারিকের স্ত্রী ওই মহিলাকে জালিয়াতির দায়ে গ্রেপ্তার করল পুলিশ। সোমবার রাতে আইপিএস অফিসার সেজে এলাকায় দাপিয়ে বেড়াত ওই মহিলাকে সোমবার রাতে গ্রেপ্তার করল কলকাতা গোয়েন্দাপুলিশ।
(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ধৃতের নাম অচিরা যাদব। তার স্বামী মহেন্দ্র প্রসাদ যাদব ছিলেন কাস্টমস অফিসার। ২০১৭ সালে তাঁর মৃত্যু হয়। ততদিন পর্যন্ত স্বামীর সঙ্গে কসবা ও হলদিয়ায় কাস্টমসের কোয়ার্টারে থাকত অচিরা। স্বামীর মৃত্যুর পর ২০১৭ সালের ফেব্রুয়ারি থেকে সে পূর্ব যাদবপুরের পূর্বালোকে থাকা শুরু করে। তার সঙ্গে থাকত দু জন পরিচারক। রয়েছে সবসময়ের এক গাড়িচালক। কোনও ছেলেমেয়ে নেই অচিরার।
ব্যবহার করতেন এই গাড়ি |
কলকাতা পুলিশের কাছে বেশ কিছু দিন ধরেই অভিযোগ আসছিল। এক মহিলা নিজেকে শীর্ষ গোয়েন্দাকর্তা পরিচয় দিয়ে বিভিন্ন লোকজনকে চাকরি দেওয়া থেকে শুরু করে নানা রকমের কাজ পাইয়ে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিচ্ছে। অনেককে সে ধমকাচ্ছে বলেও অভিযোগও ওঠে। এর মধ্যেই সত্যব্রত বসু রায় নামে বছর তেইশের এক যুবক অভিযোগ করেন, ওই মহিলা তাঁকে সরকারি চাকরি পাইয়ে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে পাঁচ লাখ টাকা নিয়েছেন। বাঁশদ্রোণীর বাসিন্দা ওই যুবকের চাকরি তো হয়ইনি, উপরন্তু টাকা ফেরত চাইলে মহিলা তাঁকে হুমকি দেয়।
(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});
সত্যব্রতের অভিযোগের তদন্তে নেমে সোমবার রাতে কলকাতা পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ এবং পূর্ব যাদবপুর থানা মহিলাকে আটক করে জেরা শুরু করে। জানা যায়, সে কোনও সরকারি চাকুরে নয়। কলকাতা পুলিশের এক তদন্তকারী অফিসার বলেন, মহিলার স্বামী শুল্ক দফতরে কাজ করতেন। সেই সূত্রেই তার কলকাতা বন্দর এবং শহরের বিভিন্ন জায়গায় কর্মরত বেশ কিছু আমলার সঙ্গে আলাপ-পরিচয় ছিল।
(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});
সেই পরিচয় কাজে লাগিয়েই সে নিজেকে ‘ইনটেলিজেন্স ব্যুরো’র আইজি পদমর্যাদার আধিকারিক বলে পরিচয় দিত। তার কাছ থেকে একটি ভুয়ো পরিচয়পত্রও পেয়েছে পুলিশ। কেন সে এই প্রতারণা করত তা এখনও স্পষ্ট নয়।
রীতিমত নীলবাতিওয়ালা গাড়িতে ঘুরত ৪৭ বছরের অচিরা আর তার দাপটে ভয়ে তটস্থ হয়ে থাকত স্থানীয় মানুষজন। অবশেষে জানা গেল, পুরোটাই জালিয়াতি।