Homeএখন খবরঅভিযোগ নিজের সিদ্ধান্ত অমান্য করছেন প্রশাসনই , ফের ব্যস্ত সময়ে ভারি যান,...

অভিযোগ নিজের সিদ্ধান্ত অমান্য করছেন প্রশাসনই , ফের ব্যস্ত সময়ে ভারি যান, যানজটে জেরবার বালিচক

নিজস্ব সংবাদদাতা: দীর্ঘ লড়াইয়ের পর স্বপ্ন পূরন হতে চলেছে পশ্চিম মেদিনীপুরের ডেবরা, সবং, পিংলা সহ আশেপাশের সাতটি আটটি ব্লকের লক্ষ লক্ষ মানু্ষের। দক্ষিনপূর্ব রেলের খড়গপুর হাওড়া শাখার বালিচকের কাছে শুরু হয়েছে উড়ালপুল নির্মানের কাজ। কিন্তু সেই নির্মানকাজের জন্য রাজ্য সড়কটি সংকীর্ন হয়ে পড়ায় নিত্য যানজটে জেরবার হতে হচ্ছে যাতায়াত করা সাধারন মানুষকে। ঘটছে ছোট বড় দুর্ঘটনাও।
গত কয়েক মাস ধরেই সাধারন মানু্ষের কাছে চলাচলের জন্য দুর্বিসহ হয়ে দাঁড়িয়েছে ডেবরা-বালিচক যাতায়তের এই রাস্তা বিশেষ করে যে অংশে এই সেতু নির্মানের কাজ চলছে সেখান থেকে দু’প্রান্তেরই প্রায় ১কিলোমিটার করে দুরবর্তী পথ। ৫মিনিটের রাস্তা পের হতে সময় লাগছে ২৫ থেকে ৩০মিনিট, কখনও বা অনির্দিষ্ট কাল। ফলে একদিকে যেমন সময় নষ্ট অন্যদিকে তেমন স্কুল কলেজ অফিস আদালতে সময় মত পৌঁছানো মুশকিল হয়ে দাঁড়িয়েছে বলে আভিযোগ সাধারন মানু্ষের।

স্থানীয় বালিচক স্টেশন উন্নয়ন কমিটির পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে যে কমিটির পক্ষ থেকে স্থানীয় প্রশাসনকে আবেদন জানানো হয়েছিল যে এলাকার অত্যাবশ্যকীয় পণ্য ছাড়া বড় বড় পণ্যবাহী গাড়ি, বড় বড় খড়ের গাড়ি, টুরিস্ট গাড়ি গুলিকে বালিচক দিয়ে যাতায়াত না করিয়ে অন্য রাস্তা দিয়ে ঘুরিয়ে যানজট নিয়ন্ত্রণ করা হোক। এবিষয়ে তারা ব্লক ও মহকুমা প্রশাসকের পাশাপাশি পূর্ত দপ্তরের দ্বারস্থ হয়েছিলেন। প্রশাসনের থেকে জানানো হয়েছিল সকল পক্ষকে নিয়ে দ্রুত এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত গ্রহণের জন্য মিটিং ডাকা হবে। কিন্তু কাউকে না জানিয়ে চুপিসারে প্রশাসনের পক্ষ থেকে মিটিং ডাকা হয়। এরপর মাধ্যমিক পরীক্ষার কয়েকদিন সকাল ৯ টা থেকে রাত ৯ টা পর্যন্ত বাস ও ছোট যানবাহন বাদ দিয়ে অন্যান্য যান নিয়ন্ত্রণ করা শুরু হয়। কিন্তু কমিটির আভিযোগ প্রথম কয়েকদিন নিয়ন্ত্রণ করার পর পরিস্থিতি যেই কে সেই।

 

একইভাবে বড় বড় খড়ের গাড়ি, টুরিস্ট বাস, পন্যবাহী লরিসহ বড় বড় সমস্ত যানবাহন যথারীতি বালিচকের উপর দিয়ে যাতায়াত করে চলেছে। স্বাভাবিকভাবেই যানজটে জেরবার গোটা এলাকা। আর সব জেনেও প্রশাসন নির্বিকার। তারা যে সিদ্ধান্ত নিজেরাই গ্রহন করেছিল কার্যত তাকে লঙ্ঘন করেছে নিজেরাই।
তা কার্যকরী করার ক্ষেত্রে কোন ভূমিকা চোখে পড়ছে না। কমিটির অন্যতম নেতৃত্ব কিংকর অধিকারী বলেন,” আমরা আবারও দাবি জানাচ্ছি অবিলম্বে প্রশাসন সকল পক্ষকে নিয়ে মিটিং করে দ্রুত কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণ করুন। অন্যথায় আগামী ১৬ মার্চ p.w.d. দপ্তরের এসিস্ট্যান্ট ইঞ্জিনিয়ার এবং আগামী ১৯ শে মার্চ মেদিনীপুরে পিডব্লিউডি দপ্তরের এক্সিকিউটিভ ইঞ্জিনিয়ার এবং খড়গপুর মহকুমা শাসকের কাছে ফের ডেপুটেশনে যাবে কমিটি।”

RELATED ARTICLES

Most Popular