Homeএখন খবরকরোনার যুদ্ধে সর্বাধিক আক্রান্ত খড়গপুর, শীর্ষে ডেবরা! জেলায় আক্রান্ত ৬০ আশাকর্মী, ৩৮...

করোনার যুদ্ধে সর্বাধিক আক্রান্ত খড়গপুর, শীর্ষে ডেবরা! জেলায় আক্রান্ত ৬০ আশাকর্মী, ৩৮ নার্স, ১৫জন চিকিৎসক সহ ২৩৪

নিজস্ব সংবাদদাতা: করোনা যুদ্ধে সম্মুখভাগে দাঁড়িয়ে যাঁরা লড়াই করছেন সেই স্বাস্থ্য কর্মীদের কী অবস্থা তার খোঁজ খবর নিল ‘দ্য খড়গপুর পোষ্ট।’ সব সময় মানুষ তাঁর নিজের খবরই নিতে পছন্দ করে ঠিকই পাশাপাশি এটাও জানতে চান সাধারন মানুষের হয়ে লড়াই করছেন যে স্বাস্থ্য কর্মীরা, পুলিশ কর্মীরা তাঁদের অবস্থাটা কি? কিন্তু সব সময় তথ্য পাওয়া সম্ভব হয়না। গত ১মাস ধরে দ্য খড়গপুর পোষ্টের লক্ষ্য ছিল পুলিশ এবং স্বাস্থ্য কর্মীদের সেই চিত্রটা তুলে ধরব আমরা। অবশেষে চিকিৎসক ও স্বাস্থ্য কর্মীদের একটি তথ্য আমরা তুলে ধরছি।

পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা স্বাস্থ্য দপ্তরের অধীনে ১৯ সেপ্টেম্বর অবধি পাওয়া খবর অনুযায়ী মোট ২৩৪ জন চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মী আক্রান্ত হয়েছেন। এরমধ্যে খড়গপুর মহকুমাতেই আক্রান্ত হয়েছেন ১১২জন। পরেই রয়েছে মেদিনীপুর সদর যেখানে ৮০ জন আক্রান্ত হয়েছেন। ঘাটাল মহকুমায় আক্রান্ত হয়েছেন ৫১ জন। এছাড়া মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিকের দপ্তরে ১০ জন ও সহকারি মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিকের দপ্তরে ১জন আক্রান্ত হয়েছেন।

আক্রান্ত স্বাস্থ্য কর্মীদের মধ্যে সর্বাধিক রয়েছেন আশা কর্মীরা যাঁদের সংখ্যাটা ৬০জন। তারপরেই রয়েছেন নার্স। হাসপাতাল, স্বাস্থ্যকেন্দ্র, উপস্বাস্থ্য কেন্দ্র অর্থাৎ স্টাফ নার্স, নার্সিং স্টাফ, ওয়ার্ড সিস্টার, জিএনএম, এএনএম ইত্যাদি মিলিয়ে ৫৫জন আক্রান্ত হয়েছেন। তবে হাসপাতাল বা স্বাস্থ্য কেন্দ্রের মধ্যে কর্মরত নার্সরাই বেশি আক্রান্ত হয়েছেন, সংখ্যাটা ৩৮জন। জেলায় ২জন ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিক ও একজন হাসপাতাল সুপার সহ ১৫ জন কর্তব্যরত চিকিৎসক আক্রান্ত হয়েছেন যার মধ্যে দাসপুরে ৪চিকিৎসক ও ডেবরার ৩চিকিৎসক রয়েছেন। আক্রান্ত সুপার খড়গপুর মহকুমা হাসপাতালের যেখানকার সহকারি সুপারও আক্রান্ত। মোট ১৮ জন জিডিএ আক্রান্ত হয়েছেন যাঁর মধ্যে বেলদার একজনের মৃত্যু হয়েছে।

মহকুমা হিসাবে খড়গপুর মহকুমার ডেবরাতেই সর্বাধিক স্বাস্থ্য কর্মী আক্রান্ত হয়েছেন ২১ জন। এরপর বেলদায় ১৯জন, খড়্গপুরে ১৪জন, দাঁতনে ১২জন, পিংলায় ১০জন, হিজলী ও কেশিয়াড়ীতে ৯জন, বাগদায় ৭, সবংয়ে ৬, খণ্ডরুই ৪ ও চাঙ্গুয়ালে ১জন। ডেবরায় তিন চিকিৎসক ছাড়াও ৬জন নার্স, তিনজন এএনএম ও আক্রান্ত হয়েছেন ৪জন আশাকর্মী আক্রান্ত।
মেদিনীপুর সদরে সর্বাধিক আক্রান্ত দ্বারিগেড়িয়া ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে আক্রান্ত ২১, দে পাড়ায় ১৮, কেশপুর ১৩, শালবনী ও গড়বেতায় ১০জন করে, কেয়াকুলে ১৮জন। সব মিলিয়ে ৮০জন। অন্যদিকে ঘাটালে ৫১জন আক্রান্ত। দাসপুরে ১৭, চন্দ্রকোনায় ৯, বিদ্যাসাগর স্বাস্থ্য কেন্দ্রে ৮, ঘাটাল ৭, সোনাখালি ৬, ক্ষীরপাই ৫জন।

আগেই বলা হয়েছে স্বাস্থ্যকর্মীদের মধ্যে সর্বাধিক আক্রান্ত হয়েছেন আশাকর্মীরা। সংখ্যাটা প্রায় ৬০জন। সর্বাধিক আক্রান্ত হয়েছেন বেলদা ও দে পাড়া স্বাস্থ্য কেন্দ্রের অধীন ৭ জন করে। দাঁতন, পিংলা, কেশপুরে ৬ জন করে আক্রান্ত হয়েছেন। দ্বারিগেড়িয়ায় ৫, ডেবরায় ৪জন আক্রান্ত। বাদ বাকি কোথাও ৩, কোথাও ২ বা ১জন করে আক্রান্ত।

তবে এই চিত্রের বিপরীত চিত্রটিও যথেষ্ট আশা ব্যঞ্জক। আক্রান্তদের মধ্যে ১জনের দুঃখজনক মৃত্যু হয়েছে ঠিকই তবে এখনো অবধি করোনা মুক্ত হয়েছেন ৮৭জন, হাসপাতালে রয়েছেন ১২জন বাকিরা হোম আইসোলেশনে।
মনে রাখতে হবে এই চিত্রটি শুধু জেলা স্বাস্থ্য দপ্তরের অধীন স্বাস্থ্য কর্মীদের। এর বাইরে রয়েছে মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ যেখানে ৩০জনেরও বেশি আক্রান্ত হয়েছেন। এরমধ্যে বেশিরভাগই সুস্থ হলেও একজন স্বল্প বয়সী চিকিৎসক ও অধ্যক্ষের গাড়ির চালকের মৃত্যু হয়েছে।

RELATED ARTICLES

Most Popular