অশ্লেষা চৌধুরী: একঝাক তারকা নিয়ে বিজেপি প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করলেও দেখা যায় তাতে নাম নেই গতবারের তারকা প্রার্থী জয় বন্দ্যোপাধ্যায়ের। আর তাতেই দলের অপর ভীষন চটেছেন অভিনেতা। এমনকি বিজেপির দলীয় কার্যালয়ে টিকিটের কথা বলতে গিয়ে নাকি দু’ চার কথাও শুনতে হয়েছে তাকে।
জানা যায়, শিবপ্রকাশ জি নাকি তাঁকে বলেন, ‘আভি তুম শো যাও।’ তাঁর প্রতি এই অবহেলা দেখে ক্ষুব্ধ হয়ে যান বিজেপি নেতা। রীতিমতো চ্যালেঞ্জ জানিয়ে তিনি বলেন, তিনি যে শোনেওয়ালা পার্টি নন সেটা বুঝিয়ে দিতে হবে বিজেপি নেতাদের। তিনি যে কোনও ভাবেই ফেলে দেওয়ার নন সেটা বোঝাতে হবে বিজেপি নেতাদের এমনই হুঙ্কার দিয়েছেন জয় বন্দ্যোপাধ্যায়।
একঝাঁক টলি তারকা ও শিল্পী পাড়ায় বাবুলকে প্রার্থী করে বেশ কিছু চমক গেরুয়া শিবির দিতে চেয়েছিল কিন্তু সেই চমক দিতে গিয়ে কোথায় যেন তারাই চমকে গিয়েছেন; জায়গায় জায়গায় প্রার্থী নিয়ে অসন্তোষের খবর প্রকাশ্যে আসতে থাকে। দলীয় কার্যালয় ভাঙচুর থেকে শুরু শীর্ষ নেতৃত্বের ছবিতে কালি, বাদ যায়নি কিছুই। বুধবার শেষ পর্যায়ের প্রার্থী তালিকা ঘোষণার পরেও জেলায় জেলায় বিক্ষোভ শুরু হয়ে যায়। এর আগে দ্বিতীয় পর্যায়ের প্রার্থী তালিকা ঘোষণার পর কলকাতায় হেস্টিংসের কার্যালয়ের সামনে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেছিলেন হাওড়ার উদয়নারায়ণপুর, পাঁচলার বিজেপি কর্মী সমর্থকরা। আবার দক্ষিণ ২৪ পরগনার বিজেপি নেতারাও প্রার্থী বদলের দাবীতে বিক্ষোভ দেখিয়েছিলেন। অমিত শাহরা এসে বিষয়টি নিয়ে পর্যালোচনা করতে বাধ্য হয়েছিলেন। শেষ পর্যায়ের প্রার্থী তালিকা ঘোষণার পরেও জেলায় জেলায় বিক্ষোভ শুরু হয়ে গিয়েছে। বিজেপির দলীয় কার্যালয় ভাঙচুরের পাশাপাশি পথ অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখিয়েছেন বিজেপি কর্মীরা, যা এখনও চলছে।
গত বছর বিধানসভা ভোটেও জয় বন্দ্যোপাধ্যায়কে টিকিট দিয়েছিল বিজেপি। তবে এবারে টালিগঞ্জে বাবুলের অপর ভরসা রেখেছে বিজেপি নেতৃত্ব। এমনকি এক ঝাঁক তারকাদের না তালিকায় স্থান পেলেও জয়ের সেখানে কোনও জায়গা হয়নি। পুরনো কর্মী তিনি দলের, তাই টিকিট না পেয়ে বেজায় চটে গিয়ে দলের প্রতি একরাশ ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন।
এছাড়াও বিজেপির প্রার্থী তালিকায় সোমেন জায়া শিখা মিত্রের নাম ঘোষণা করা হয়েছিল। চৌরঙ্গী কেন্দ্রে শিখা মিত্রকে প্রার্থী ঘোষণা করা হয়েছে। কিন্তু তার পরেই শিখা মিত্র প্রকাশ্যে জানিয়েছেন তিনি কোনওদিন বিজেপিতে যোগ দেননি। কোনও ভাবেই বিজেপি প্রার্থী তিনি হতে চান না। শিখা মিত্রের এই বয়ানের পর অস্বস্তি বেড়েছে বিজেপি শিবিরে। একই ঘটনা ঘটেছে কাশিপুরের তৃণমূলের কো-অর্ডিনেটর তরুন সাহার ক্ষেত্রেও। তিনি শাসক শিবিরে থাকা সত্ত্বেও বিপির তালিকায় তাঁর নাম ঘোষণা করে দেয় বিজেপি। তবে তরুন বাবুর সাফ কথা তিনি তৃনমূলে ছিলেন, আছেন ও থাকবেন।