Homeএখন খবরলকডাউনে রেকর্ড ভেঙে খড়গপুরে রাতেই গ্রেপ্তার ২৫, 'হোম ডেলিভারি' না লেখায় তোলা...

লকডাউনে রেকর্ড ভেঙে খড়গপুরে রাতেই গ্রেপ্তার ২৫, ‘হোম ডেলিভারি’ না লেখায় তোলা হল ব্যবসায়ীকেও

নিজস্ব সংবাদদাতা: লকডাউন বলবৎ করতে নজির বিহীন তৎপরতা দেখাল খড়গপুর পুলিশ। শনিবার সন্ধ্যায় মাত্র ৪ ঘন্টার অপারেশন চালিয়ে খড়গপুর শহর থেকে ৪০ জনকে পুলিশ তুলে আনে থানায় আর তার মধ্যে অন্ততঃ ২৫ জনকে গ্রেপ্তার করা হতে পারে বলে রাত অবধি পুলিশ জানিয়েছে। আটক হওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে শহরের বেশ কয়েকজন সম্ভ্রান্ত ব্যক্তিও রয়েছেন বলে জানা গেছে। তবে তাঁদের শেষ অবধি গ্রেপ্তার করা হয়েছে কিনা তা গভীর রাত অবধি জানা যায়নি।

খড়গপুর শহরে শনিবারের সন্ধ্যায় এদিন ব্যাপক অভিযান চালানো হয় খরিদা ,ইন্দা,মালঞ্চ, কৌশল্যা, বুলবুলচটি, ঝপেটাপুর, ছোট ট্যাংরা, প্রেমবাজার, তালবাগিচা, নিমপুরা এলাকায়। সাঁজোয়াল, ভবানীপুর, সুভাষপল্লী সহ কয়েকটি এলাকায় পুলিশ গলিতে গলিতে ঢুকে অভিযান চালিয়েছে। তবে এদিনের অভিযানে সব চেয়ে আগ্রাসী ভূমিকায় দেখা গেছে জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার, খড়গপুরের দায়িত্বে থাকা কাজি সামসুদ্দিন আহমেদের নেতৃত্বে থাকা দলটি। অতিরিক্ত পুলিশ সুপারের মেজাজও ছিল শুক্রবারের বিপরীত। শুক্রবার তাঁর নেতৃত্বে থাকা পুলিশ কর্মীরা লকডাউন অমান্য করা মানুষদের মালা পরিয়েছিল আর শনিবার তাঁদেরই দেখা গেল জমায়েত হওয়া মানুষদের পুলিশ ভ্যানে তুলতে। না, এদিন কোনও যুক্তিতেই পুলিশের হাতে পড়া মানুষকে ছাড়া হয়নি। সোজা নিয়ে যাওয়া হয়েছে টাউন থানায়।

এদিনের অভিযানের প্রস্তুতিতেই ছিল পুলিশের কঠোর হওয়ার ইঙ্গিত। নিজের অফিস থেকে অভিযানে বেরুনোর আগেই অতিরিক্ত পুলিশ সুপারের নির্দেশ ছিল বাইক বাহিনীর সঙ্গে ফাঁকা পুলিশ ভ্যানও যাবে। শহরের অপরিসর রাস্তাতেও ঢুকতে পারে এমন প্রস্তুতি নিয়েই ছোট ভ্যান নেওয়া হয়েছিল এবং কোনও যুক্তি ছাড়াই পুলিশ ঘর থেকে বেরুনো মানুষকে এদিন আগে ভ্যানে তুলেছে।

জানা গেছে প্রধানমন্ত্রী ও মূখ্যমন্ত্রী ক্রমশই লকডাউন মানা হচ্ছেনা বলে গত ২দিন ধরে যে উষ্মা প্রকাশ করেছিলেন তারই প্রতিক্রিয়া হিসেবে এবার ক্রমশঃ কঠোর হতে চলেছে পুলিশ। শনিবার তারই মহড়া হল। এবার প্রতিদিনই গ্রেপ্তার চলবে বলে জানিয়েছে পুলিশ। ইতিমধ্যেই কেন্দ্র রাজ্যগুলিকে জানিয়ে দিয়েছে লকডাউন ভেঙে কেউ গ্রেপ্তার হলে তাঁর ২ বছরের জেল হতে পারে এবং ১৪দিন কোনও জামিন হবেনা এমন ভাবে মামলা দায়ের করা দরকার।

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কাজি সামসুদ্দিন আহমদের ক্রোধ থেকে এদিন রেহাই পাননি বেশ কয়েকজন ওষুধ ব্যবসায়ী যাঁদের ইতিমধ্যেই বলা হয়েছিল দোকানের সামনে ফোন নম্বর সহযোগে ‘এখানে হোম ডেলিভারি করা হয়’ এমন কথা লেখার জন্য। একা বাড়িতে থাকা বৃদ্ধ বৃদ্ধা অসুস্থ ব্যক্তিদের কথা মাথায় রেখেই কিছু দোকানকে এমনটাই লিখতে পরামর্শ দিয়েছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার। সেরকমই একটি দোকানে হানা দিয়ে সেই লেখা দেখতে না পেয়ে আটক করে ওই ব্যক্তিকে থানায় নিয়ে যাওয়া হয়। সব মিলিয়ে পুলিশের এই ভূমিকায় ফের শহরে লকডাউন কঠোর ভাবে প্রয়োগ হতে যাচ্ছে মনে করে খুশি শহরবাসী।

RELATED ARTICLES

Most Popular