Homeএখন খবরমোদি রাজ্যে দারিদ্র ঢাকতে ট্রাম্পের পথে বস্তি ঘিরে তোলা হচ্ছে ...

মোদি রাজ্যে দারিদ্র ঢাকতে ট্রাম্পের পথে বস্তি ঘিরে তোলা হচ্ছে ইটের প্রাচীরে

এভাবেই ঢেকে দেওয়া হচ্ছে বস্তি 

নিজস্ব সংবাদদাতা: ২৪ তারিখ গুজরাট সফরে আসছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।  ‘হাউডি মোদি’র ধাঁচে আমেদাবাদে ঝাঁ-চকচকে অনুষ্ঠানে স্বাগত জানানো হবে তাঁকে। রাজনৈতিক নেতা নেত্রী , মন্ত্রী শান্ত্রী, আমলা অধ্যাপক, ছাত্র ছাত্রী সহ  উপস্থিত থাকবেন কয়েক হাজার অতিথি। এই অনুষ্ঠানের নাম দেওয়া হয়েছে ‘কেম ছো ট্রাম্প’। জানা গেছে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে গুজরাটের প্রথাগত ডান্ডিয়াও খেলবেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। সব মিলিয়ে আমেদাবাদজুড়ে রীতিমতো এলাহী আয়োজনের ব্যবস্থা করা হয়েছে। শহরজুড়ে গনগনে আলো।

(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});
কিন্তু সমস্যা হয়েছে দারিদ্র। আমেরিকায় গিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি গুজরাটকে লন্ডন বা ওয়াশিংটন বানিয়ে ফেলেছেন মার্কা কথা বলে ফেলেছেন কিনা জানা নেই তবে ঘটনা হচ্ছে এ দেশের আর পাঁচটা মহানগরের মতই।  আমেদাবাদ শহরের মাঝ বরাবর ঝুঁপড়ি বেঁধে বাস করেন প্রচুর মানুষ। এঁদের অধিকাংশই দারিদ্রসীমার নীচে বসবাসকারী। আমেদাবাদ থেকে গান্ধিনগর, যে রাস্তায় মার্কিন প্রেসিডেন্টের যাবেন সেই রাস্তাতেই পড়ে এমন দুটো বস্তি দেব শারন ও সারনি আবাস। প্রায় ৫০০ কাঁচাবাড়ি রাস্তার পাশে। জন সংখ্যা ২৫০০। ট্রাম্পের চোখে পাছে এই ঝুপড়ি নজরে পড়ে যায় তাই দারিদ্র আড়াল করতে তাই উঠে পড়ে লেগেছে আমেদাবাদ পুরসভা।

আবার হবে গো দেখা 

আমেদাবাদ পুরসভা মনে করছে মার্কিন প্রেসিডেন্টের সামনে বসতিবাসীর এই দুর্দশা প্রকাশ্যে চলে এলে তা আমেদাবাদ শহর তথা দেশের জন্য ভাল বিজ্ঞাপন হবে না। তাই, যেন তেন প্রকারণে ট্রাম্পের সফরের সময় বস্তি দুটিকে আড়াল করতে চাইছে প্রশাসন। আর সে কারনেই ওই রাস্তা বরাবর আধ কিলোমিটারেরও বেশি প্রায় ৬০০ মিটার ধরে ৭ফুট উঁচু প্রাচীর তুলে দেওয়া হচ্ছে। শহরের মাঝ বরাবর আমেদাবাদ বিমানবন্দর থেকে সর্দার প্যাটেল মোটেরা স্টেডিয়াম পর্যন্ত রাস্তা মেরামত করা হচ্ছে। এরই পাশাপশি ১৬টি রাস্তা মেরামতের কাজ চলছে আর সব মিলিয়ে ব্যয় হচ্ছে ৫০ কোটি টাকা।

(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});
এভাবে তাদের আসল চেহারা ঢেকে দেওয়ায় ক্ষুব্ধ বস্তিবাসি এক যুবক সংবাদমাধ্যমকে প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়ে  বলছেন, “এভাবে সরকার আসলে গরিবদের অপমান করছে।আমাদের নিয়ে যদি সরকারের এতই সমস্যা, তাহলে গরিবি দূর করতে কার্যকরী পদক্ষেপ করলেই তো হয়।”

চলছে রাস্তার পাশাপাশি প্রাচীর নির্মাণ 

বসতির অন্য বাসিন্দাদেরও একই কথা। তবে তাঁরা বলছেন, এই বঞ্চনা নতুন কিছু নয়। এর আগে যখন জাপানের প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবে এলেন, বা চিনের শি জিংপিং এলেন, তখনও তাঁদের বসতি ঢেকে দেওয়া হয়েছিল। তবে, এতদিন ওই বসতি এলাকায় দেওয়া হত পর্দা।

(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});
এবার একেবারে সরাসরি কংক্রিটের দেওয়াল তোলা হচ্ছে। বাসিন্দারা বলছেন, এই বসতিতে এমনিতেই তাঁদের জীবন দূর্বিষহ। এবার তা আরও কঠিন হবে। শহরের ভিতরে ঢুকতে হলে, অনেক ঘুরে ঘুরে যেতে হবে।পুরসভার চেয়ারম্যানকে এ বিষয়ে জিজ্ঞাসা করা হলে, তাঁর সাফ কথা, ‘এ বিষয়ে আমি কিছু জানি না।’

RELATED ARTICLES

Most Popular