নিউজ ডেস্ক: করোনার সংক্রমণ চোখের পলকে ছড়িয়ে পড়ছে সমগ্র দেশে।পশ্চিমবঙ্গেও আক্রান্তের সংখ্যা রোধ করা প্রায় অসম্ভব হয়ে উঠেছে। করোনার ঊর্ধ্বগতির মধ্যেই ২২ এপ্রিল অর্থাৎ বৃহস্পতিবার অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে রাজ্য বিধানসভার ষষ্ঠ দফা ভোট। উত্তর চব্বিশ পরগনা, নদীয়া, পূর্ব-বর্ধমান এবং উত্তর দিনাজপুর এই চার জেলায় ৪৩ আসনে ভোটগ্রহণ হবে।
স্বাস্থ্যবিধি মেনে বৃহস্পতিবার স্থানীয় সময় সকাল ৭ টা থেকে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টা পর্যন্ত ভোটগ্রহণ চলবে। এ দফায় ভাগ্য নির্ধারণ হবে ৩০৬ জন প্রার্থীর। মূলত এই চার জেলা তৃণমূলের ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত। তাই ষষ্ঠ দফার এই ভোটকে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ মনে করছে শাসক তৃণমূল।
২০১৯ সালে লোকসভার ভোট অনুযায়ী এখানে এগিয়ে রয়েছে বিজেপি। তবে, ২০১৬ সালে শেষ বিধানসভা ভোটে এককভাবে এখানে নিজেদের দখল ধরে রেখেছিল তৃণমূল কংগ্রেস। ৪৩ আসনের মধ্যে ২১ টি আসনেই এবার হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের আভাস পাওয়া যাচ্ছে।
২৯৪ আসনের বিধানসভায় সরকার গড়তে প্রয়োজন ১৪৮ আসন। ষষ্ঠ দফার ভোটের মধ্যদিয়ে ২২৩ আসনের ভোট সম্পন্ন করবে নির্বাচন কমিশন। । ফলে রাজ্যটির রাজনৈতিক দল গুলোর কাছে এই দফার ভোটের মধ্যদিয়ে জয় পরাজয়ের অঙ্কটাও নিশ্চিত হয়ে যাবে বলেই মনে করা হচ্ছে।
বাংলায় ষষ্ঠদফার ভোটের পারদ চড়িয়েছে একাধিক হেভিওয়েট প্রার্থী। একনজরে দেখে নেওয়া যাক ষষ্ঠ দফার ভোটের তাবড় তাবড় প্রার্থীদের।
উত্তর ২৪ পরগনার মতুয়াগড়ে ঠাকুরবাড়ির সদস্য সুব্রত ঠাকুর গাইঘাটা বিধানসভা কেন্দ্রে বিজেপি প্রার্থী। বনগাঁর বিজেপির সাংসদ শান্তনু ঠাকুরের ভাই সুব্রত। এছাড়াও উত্তর ২৪ পরগনার বাগদায় বিশ্বজিৎ দাস বিজেপির হয়ে লড়ছেন। তিনি সদ্যই তৃণমূল ছেড়েছেন। বাদুড়িয়াতে কংগ্রেস প্রার্থী আব্বুস সাত্তার যেমন নজর কাড়ছেন, তেমনই দমদম উত্তরে সিপিএমের তন্ময় ভট্টাচার্যের প্রতিপক্ষ তৃণমূলের হেভিওয়েট তথা রাজ্যের মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য।
ষষ্ঠ দফার ভোটে নজর কাড়ছেন বিজপুরের বিজেপি প্রার্থী শুভ্রাংশু রায়। মুকুল রায়ের পুত্র শুভ্রাংশু লোকসভা ভোটের আবহেই তৃণমূল ছেড়ে যান। এদিকে, অর্জুন গড় ভাটপাড়ায় বিজেপির টিকিটে লড়ছেন বিজেপি সাংসদ অর্জুন সিংয়ের পুত্র পবন সিং।
তৃণমূল প্রার্থী রাজ চক্রবর্তীর ভোট পরীক্ষা ব্যারাকপুর কেন্দ্রে। ষষ্ঠদফার ভোটে তিনি যেমন নডর কাড়ছেন, তেমনই নোয়াপাড়ায় অর্জুন সিংয়ের ভগ্নীপতি সুনীল সিং লড়ছেন বিজেপির হয়ে।
কৃষ্ণনগর উত্তর কেন্দ্রে এবার তারকা বনাম তারকা লড়াই। একজন রুপোলী পর্দায় নবাগতা তারকা, অন্যজন বাংলার রাজনীতির পোড় খাওয়া তারকা। এই কেন্দ্রে বিজেপির চাণক্য মুকুল রায়ের সঙ্গে ভোট যুদ্ধে নেমেছেন তৃণমূল প্রার্থী কৌশানী মুখোপাধ্যায়।
রায়গঞ্জ কেন্দ্রে মুখোমুখি এক প্রান্তে তৃণমূলের কানাইয়ালাল আগারওয়াল ও অন্য প্রান্তে কংগ্রেসের দাপুটে নেতা মোহিত সেনগুপ্ত।
হাবড়া কেন্দ্র ষষ্ঠ দফার ভোটে নজর কাড়ছে। এখানে নিজের গড়ে তৃণমূলের প্রার্থী রাজ্যের মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। খাদ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে বিজেপির প্রার্থী রহুল সিনহা। এই এলাকার পাল্লা কোনদিকে ভারী থাকে সেদিকে সকলের নজর থাকবে। অন্যদিকে খড়দায় বামেদের তরফে তরুণ প্রার্থী দেবজ্যোতি দাসের সঙ্গে সম্মুখ সমরে রয়েছেন তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দেওয়া শীলভদ্র দত্ত।
আসানসোল দুর্গাপুর- ১৪ কোম্পানি,বনগাঁ- ৬৯ কোম্পানি,বারাসত- ৫৯ কোম্পানি,ব্যারাকপুর- ১০৭ কোম্পানি,বসিরহাট- ৪০ কোম্পানি,বিধাননগর কমিশনারেট- ৩ কোম্পানি,দক্ষিণ দিনাজপুর- ৩ কোম্পানি,ইসলামপুর- ৮২ কোম্পানি,কৃষ্ণনগর- ১৬২ কোম্পানি,পূর্ব বর্ধমান- ১৪৩ কোম্পানি,রায়গঞ্জ- ৯৬ কোম্পানি।মোট ৭৭৯ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন থাকবে বলে নির্বাচন সূত্রে খবর।