ভবানী গিরি: কথা দিয়েও মেলেনি গত বছরের উৎসবের মুখে বোনাস। এবছরও পুজো শুরু হয়ে যাওয়ার পরও মেলেনি বোনাস। নেই সরকার ঘোষিত করোনা পরিস্থিতিতে বাড়তি বেতনের পাওনা, নেই সুরক্ষা ইত্যাদি বহু বঞ্চনার প্রতিবাদে পঞ্চমীর দিনেই অবস্থান আন্দোলনে বসলেন গোপীবল্লভপুর সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালের অস্থায়ী কর্মীরা।
কর্মীরা দাবি করেছেন এই করোনা পরিস্থিতিতে গত ৭ মাস তাঁরা পর্যাপ্ত সুরক্ষা ছাড়াই কাজ করে এসেছেন। একই দিকে অর্থনৈতিক অনিশ্চয়তা অন্য দিকে শারীরিক নিরাপত্তা হীনতার মধ্যে তাঁদের ঠেলে দিয়েছে ভারপ্রাপ্ত ঠিকাদারি সংস্থা।
তাই প্রতি মাসের ৭ তারিখের মধ্যে বেতন প্রদান,সরকার নির্ধারিত হারে পূজার বোনাস প্রদান, করোনা কালিন সঠিক সুরক্ষা সামগ্রী প্রদান সহ একাধিক দাবিতে বুধবার দুপুর থেকে অবস্থানে বসলেন গোপীবল্লভপুর সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালের অস্থায়ী কর্মীরা।
একটি বেসরকারি ঠিকাদার সংস্থার নিযুক্ত মোট ১১৪ জন অস্থায়ী কর্মী এদিন গোপীবল্লভপুর সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালের সামনে অবস্থানে বসেছেন। এদের মধ্যে রয়েছেন হাসপাতালের ওয়ার্ডবয়,হাউস কিপিং, সিকিউরিটি সহ একজন প্রেস কন্ট্রোল কর্মী রয়েছে। এদিন গোপীবল্লভপুর সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালের অবস্থানরত অস্থায়ী কর্মী রাজু কুন্ডু,রবী শঙ্কর মাইতিরা অভিযোগ করেন- দীর্ঘ তিন বছর ধরে ঠিকাদার সংস্থা কোন বেতন বৃদ্ধি করেন এবং সরকার নির্ধারিত ৮.৩৩ শতাংশ হারে পূজার বোনাস দেওয়ার কথা থাকলেও সঠিক বোনাস প্রদান থেকে বঞ্চিত করছে ঠিকাদার সংস্থা তাই এই অবস্থান কর্মসূচি।
তাঁরা সরকারের কাছে আবেদন করেছেন ঠিকাদারের আওতা থেকে মুক্ত করে সরকার তাঁদের সিভিক পুলিশ বা ভিলেজ পুলিশদের মত নিজের আওতায় রাখুন। এদিকে উল্লেখ্য গত বছরও এই কর্মীদের অবস্থান বিক্ষোভে বসতে হয়েছিল। কর্মীদের দাবি তখন ঠিকাদারি সংস্থার আধিকারিকরা এসে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন যে তাঁদের দাবি গুলি বিবেচনা করা হবে কিন্তু কার্যত তা হয়নি। কিছুদিন আগে শালবনী হাসপাতালের কর্মীরাও বেশ কিছু দাবি নিয়ে বিক্ষোভে সামিল হয়েছিলেন। সার্বিকভাবেই এই ঠিকাদার সংস্থাগুলির বিরুদ্ধে সরব হওয়ার জন্য হাসপাতাল গুলির কর্মীরা যৌথ আন্দোলনের পথে যাওয়ার কথা ভাবছে বলে জানা গিয়েছে একটি সূত্রে।