নিজস্ব সংবাদদাতা: বুধবার গভীর রাতে আগুন লেগে পুড়ে ছাই হয়ে গেল দুটি দোকানের সম্পুর্ন এবং একটি দোকানের অর্ধেকেরও বেশি অংশ। ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ লক্ষাধিক বলেই জানা গেছে। রাতে দমকলের একটি ইঞ্জিন এসে আগুন নিয়ন্ত্রন না করলে আরও ভয়াবহ ক্ষতির মুখে পড়তে হত বাজারের ব্যবসায়ীদের এমনটাই জানিয়েছেন স্থানীয়রা।
ঘটনাটি ঘটেছে খড়গপুর রেলওয়ে মার্কেট বা গোলবাজারের দুর্গামন্দির সংলগ্ন এলাকায়।
গোলবাজারের মধ্যদিয়ে খড়গপুর রেলস্টেশন সংলগ্ন বাসস্ট্যান্ড থেকে প্রধান যে সড়কটি দুর্গামন্দিরের সামনে দিয়ে বড়বাতি চলে গেছে সেই রাস্তার দক্ষিণ প্রান্তে রাস্তার ওপরেই রয়েছে বেশকিছু পলিথিন এবং প্লাস্টিক সিটের দোকান। এরকমই একটি প্লাস্টিক সিটের দোকানে প্রথমে আগুন লাগে যা পরে ছড়িয়ে পড়ে তার পাশের দুটি দোকানে। মুহূর্তের মত দাউদাউ করে জ্বলে ওঠে ৩টি দোকান। স্থানীয়রা দেখতে পেয়েই ছুটে আসেন। প্রথমে বাঁশ ইত্যাদি দিয়ে পিটিয়ে আগুন দোকানগুলি থেকে আগুনকে বিচ্ছিন্ন করার চেষ্টা করা হয় কিন্তু পরে তা সম্ভব না হওয়ায় আশেপাশের মানুষ জল দিয়ে আগুন নেভানোর চেষ্টা চালায়।
জানা গেছে আশেপাশের বড় জলাধার না থাকায় মানুষ প্রথমে নিজেদের সঞ্চিত জলেই আগুন নেভানোর চেষ্টা করে। কিন্তু আগুন দ্রুত অন্য দোকানগুলিকেও গ্রাস করতে চলেছে দেখে খবর দেওয়া হয় দমকলে। এরপরই দমকলের একটি ইঞ্জিন এসে আগুন নেভাতে সক্ষম হয়।প্রাথমিকভাবে জানা গেছে শটসার্কিট হয়েই আগুন উৎপন্ন হয় যা পরে একটি এবং পরে অন্য দোকানগুলিকে গ্রাস করে।
দমকল কর্তারা জানিয়েছেন এই সব দোকানে বৈদ্যুতিক সংযোগের ব্যবস্থা খুবই অবৈজ্ঞানিক। একটি জায়গা থেকেই একাধিক সংযোগ নেওয়া হয়েছে তাও আবার কোনও একটি প্লাগ থেকেই। মাঝখানে একটি তার থেকে ফের সংযোগ নেওয়া হয়েছে তার জুড়ে জুড়ে। সম্ভবত সমস্যা হয়েছে এখান থেকেই। অভিযোগ উঠেছে এতবড় বাজারে পর্যাপ্ত জল সঞ্চয় না থাকায়। দমকল কর্মীরা জানিয়েছেন গোলবাজারের ৬০শতাংশ দোকানই জামা কাপড় শাড়ি ইত্যাদি পোশাক সামগ্রীর দোকান। সময় মত এই আগুন নিয়ন্ত্রণে না আসলে ক্ষতির পরিমাণ কোটি কোটি ছাড়িয়ে যেত।
ক্ষতিগ্রস্ত দোকানের এক মালিক জানিয়েছেন, দোকানে তারপোলিন, পলিথিন সিট, প্লাস্টিক নেট ,প্লাস্টিক দড়ি, নাইলন ইত্যাদি জিনিস মজুত ছিল। রোদ-ঝড়-বৃষ্টির মরশুমে এসবের চাহিদা বাড়ছে বলে মজুদের পরিমান বেশি ছিল। সবই পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। তবে স্থানীয় ব্যবসায়ীদের অভিমত বড়সড় দুর্ঘটনার হাত থেকে রক্ষা পেয়েছে গোলবাজার।